গতকালেও মতো আজও  সারাদেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরণের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরণের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রার মত দিনের তাপমাত্রাও প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে বা ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার তা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ দিক দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে যা অস্থায়ী দমকা হাওয়ায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যেতে পারে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। আজ রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৫টা ৩৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ২৫মিনিটে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে ১০২ মিলিমিটার। এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ২৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে মৌসুমী বায়ুর ফলে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের ফলে সমুদ্র বন্দরসমূহে চলমান ৩ নং সতর্ক সংকত নামানো হয়নি। উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই দেশের সকল সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট বায়ু তাড়িত জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে ঢাকা ও তার পাশ্ববর্তী জেলার আকাশ সারাদিন মেঘলা থাকতে পারে বলে আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে