নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ৬ষ্ঠ বারের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।আজ বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষা বর্ষ বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা এখনো নেই। বরং পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ এগিয়ে চলছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মূল্যায়ন বা পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নভেম্বরের জন্য অপেক্ষা করতে চান। নভেম্বর থেকে পরবর্তী ৪০ দিন সময় পেলে পরীক্ষা বা মূল্যায়নের সুযোগ পাওয়া যাবে। অন্যথায় অটো প্রমোশন এর ইঙ্গিত দিয়েছেন সচিব।
এর আগে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। ৩ অক্টোবর ছুটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরেকদফা ছুটি বাড়ালো সরকার।
এর আগে বাংলাদেশে মার্চ মাসের আট তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হবার পর ১৬ই মার্চ সরকার ঘোষণা দেয়, ১৭ই মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও তখন স্থগিত করা হয়।
পরে সরকার যখন প্রথম দফা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে, তখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
ওই সময় পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারের শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়।
এরপর দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং সবশেষ এ ছুটি ৩১শে অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিলো।
তবে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস চলছে। অপরদিকে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ঘরে বসে শিখি’ শিরোনামে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হচ্ছে।