আগামী প্রজন্মের উড়োজাহাজ ‘ফ্লাইং-ভি’ এর পরীক্ষামূলক সফল উড্ডয়ন সম্পন্ন হয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও অনন্য নকশার এই উড়োজাহাজের পাখায় স্থাপন করা হয়েছে যাত্রী কেবিন, কার্গো ও জ্বালানি ট্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশেষ নকশার কারণে এখনকার উড়োজাহাজের তুলনায় ফ্লাইং-ভি এর জ্বালানি খরচ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে।

ফ্লাইং-ভি, উড়োজাহাজটি অন্য সব উড়োজাহাজের মতো নয়। বেশ আলাদা। তার দুই পাখায় বসানো হয়েছে যাত্রী কেবিন, কার্গো ও জ্বালানি ট্যাঙ্ক। বোঝাই যাচ্ছে, একেবারেই আধুনিক নকশার উড়োজাহাজ এটি। এরইমধ্যে উড়োজাহাজটির প্রথম ফ্লাইট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নকশার কারণেই এটি অন্তত ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

উড়োজাহাজটি তৈরি করেছেন নেদারল্যান্ডসের ডেলফ্ট ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গবেষকেরা। তাঁদের সহযোগী ছিল ডাচ্ এয়ারলাইন- কেএলএম। উড়োজাহাজটির আর কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে, তা জানতে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি পরিচালনা করেন।

একদল গবেষক ও প্রকৌশলী জার্মানির একটি সুরক্ষিত এয়ারবেসে উড়োজাহাজটি নিয়ে পরীক্ষা চালান। সেখানেই উড্ডয়ন ও অবতরনের কাজ করা হয়। তবে, যাত্রী নিয়ে আকাশে ওঠার আগে উড়োজাহাজটির আরো পরিবর্তন-পরিবর্ধন প্রয়োজন। ফ্লাইং-ভিকে টেকসই হিসেবে তৈরি করতে আরও পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে