মহীতোষ গায়েন,কলকাতা ব্যুরো প্রধান,দৈনিক সুপ্রভাত উত্তরবঙ্গ :
করোনা পরিস্থিতির জন্য আগামীকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। এদিকে জোরালো দাবী উঠলো মিটিং, মিছিল, জনসভা, রোড শো বন্ধ করার।
গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৮০০০ অতিক্রম করেছে। সারা দেশে একদিনে সংক্রমিত হয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশী মানুষ।
ভয়াবহ এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার আগামীকাল থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল
বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা বহাল থাকবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন- “করোনা পরিস্থিতিতে সব দিক খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত।
এমনিতেই আমাদের স্কুল শিক্ষা দপ্তর মাত্র নবম, দশম, একাদশ দ্বাদশ চালু রেখে অন্য ক্লাস বন্ধ রাখে। সব দিক বিবেচনা করে আগামীকাল থেকে গরমের ছুটি এগিয়ে এনে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা দপ্তর ও মুখ্য সচিবের সাথে আলোচনার সাপেক্ষে নির্দেশিকা জারি হবে।”
আগামীকাল থেকে সরকারি, বেসরকারি ,সরকার পোষিত সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কাল থেকেই আর শিক্ষক শিক্ষিকাদের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে না আসার নির্দেশিকা আজই জারি হতে চলেছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে বাকি ৩ দফার পরিবর্তে একদফা নির্বাচন করার দাবি তোলেন এবং পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আজ চিঠি লিখেছেন।
দিল্লি সরকার আজ রাত ১০টা থেকে আগামী ৬দিনের জন্য শর্ট লকডাউন ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এ বিষয়ে আজ প্রেস কনফারেন্সে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে ভয়ংকর এই করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গে আজ দলমত নির্বিশেষে আমজনতা মিটিং ,মিছিল, পথসভা ,রোড শো বন্ধ ইত্যাদি বন্ধ রাখার জোরালো দাবি তুলেছে। তাদের বক্তব্য, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কোন রাজনৈতিক দলের নেই।
এ পরিস্থিতিতে আজ করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারি স্তরে সর্বদলীয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন এই করোনা ভাইরাস সম্প্রতি তার গতিবিধি পরিবর্তন করে বাতাসের মাধ্যমেও দ্রুত ছড়াচ্ছে।