নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের আজ ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
এই রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িয়ে আছে বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়। গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে থাকা দলটির দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস যেমন আছে, তেমনি সময়ের ব্যবধানে যুক্ত হয়েছে বড় বড় অর্জন।
দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান সৃষ্টির দু’বছরের মাথায় গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য পূর্ব বাংলায় আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী মুসলিম লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন পুরনো ঢাকার রোজ গার্ডেন প্যালেসে মওলানা ভাসানীকে সভাপতি, শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ও শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করা হয়।
পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন নাম হয় আওয়ামী লীগ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ন্যায্য দাবি আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখে দলটি। যার ফলে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও জনকল্যাণমুখী দল হিসেবে মানুষের আস্থায় পরিণত হয় আওয়ামী লীগ।
৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশভাবে জয়ী আওয়ামী লীগকে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় বসতে দেয়নি। কিন্তু শেখ মুবিজুর রহমান এর হাত ধরে গণমানুষের অধিকার আদায়ের বড় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন ভূখন্ড- বাংলাদেশ।
স্বাধীনতার পর পঁচাত্তরে দুকন্যা বাদে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নানামুখী চাপে পড়ে আওয়ামী লীগ। তবে ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার- শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলের হাল ধরেন, ঘুরে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে টানা গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থেকে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দেশের সব বড় অর্জন এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।এবার আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে পদ্মা সেতু। শেখ হাসিনার হাতেই বাস্তবায়ন হয়েছে বাঙ্গালির আরেক গৌরবের এই স্বারক।