বাংলাদেশ জাতীয় দলের পোসার মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) চেয়ে তিনি বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতেই বেশী পছন্দ করেন। দেশের হয়ে খেলাটা অনেক বেশি সম্মানের।
আইপিএলের চলতি আসরের দুটি ক্লাবের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। কোভিড-১৯ আতংকের মধ্যেই দুবাইয়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে লোভনীয় এই টুর্নামেন্ট। আইপিএলের নিলামে কাটার মাস্টার অবিক্রিত থেকে গেলেও পরে কোভিড-১৯ এর কারণে টুর্নামেন্ট থেকে সরে যায় বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটার। ফলে বাংলাদেশী এই পেসারের দিকে ঝুঁকে পড়ে কয়েকটি ক্লাব।
কিন্তু মুস্তাফিজকে ছাড়পত্র দিতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খানের মতে, কাকতালীয়ভাবে বাংলাদেশ দলের শ্রীলংকা সফরের সঙ্গে মিলে গেছে আইপিএলের সূচী। সফরকালে স্বাগতিক শ্রীলংকার সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টাইগাররা। বিগত কয়েক বছর মুস্তাফিজ লাল বলের নিয়মিত খেলোয়াড় না হলেও তার মতে টেস্ট পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তাকে রাখা হয়েছে।
দ্য ফিজ খ্যাত পরিচিতি পাওয়া এই কার্টার মাস্টার অবশ্য মোটা অংকের হাতছানির লোভ সংবরণ করে বলেছেন, ছাড়পত্র না পাওয়াতে তার কোন আক্ষেপ নেই, কারণ তিনি নিজেও আইপিএলের চেয়ে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে বেশী পছন্দ করেন।
তিনি আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইপিএল আমার দেশের চেয়ে বড় নয়। সুতরাং ছাড়পত্র না পাওয়ায় আমার কোন সমস্যা নেই। এটি নিয়ে আমার কোন আক্ষেপও নেই।’
অবশ্য আইপিএলের কোন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মুস্তাফিজকে প্রস্তাব দিয়েছিল তার নাম জানাননি। বরং তার ছাড়পত্রের জন্য বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে। কারণ জানি কাকতালীয়ভাবে শ্রীলংকা সফরের সময় আইপিএল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমার কাছে এই মুহূর্তে শ্রীলংকা সফর বেশী গুরুত্বপূর্ণ।’ ২৫ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার মনে করেন- টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন তার কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের ২৫তম জন্মদিনে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রচুর শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন বলেও জানান ফিজ। তিনি বলেন, ক্রিকেটার, বন্ধু ও ভক্তদের ভালবাসা পেয়ে আমি মুগ্ধ।’
এদিকে তিনজন সাপোর্টিং স্টাফের দেহে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় কয়েকদিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে একক অনুশীলন। কাটার মাস্টার বলেন, এতে কিছুটা খারাপ লাগলেও বিষয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি ১২ দিন অনুশীলন করেছি। মনে হচ্ছে- পুরোনা ছন্দ ফিরে পেয়েছি।’
তার মতে, কোন বোলারের অবস্থা মূল্যায়নের জন্য ম্যাচ খেলার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ক্রিকেট খেলা। আমাদের বোলিংয়ের উন্নতি ও ছন্দ খুঁজে পাবার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি ম্যাচ খেলার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি।’