Dhaka ০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১১৮ Time View

তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটা উড়িয়ে দিয়ে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাওয়া এ জয়ের সুবাদে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। 

সাউদাম্পটনে আজ রোববার টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। জোফরা আর্চারের দুর্দান্ত ডেলিভারিটি ডেভিড ওয়ার্নারের গ্লাভস স্পর্শ করে চলে যায় জস বাটলারের হাতে। যে কারণে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেন নি বাঁহাতি অজি ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে অ্যালেক্স ক্যারিও ফেরত যান সেই বাটলারের গ্লাভসে ধড়া দিয়েই। যার ফলে মাত্র তিন রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।

এরপর স্টিভ স্মিথ এক চার আর এক ছক্কায় দশ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। যাতে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মহাবিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ আর মার্কাস স্টয়নিস গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ৩৩ বলে ৪০ রান করে ক্রিস জর্ডানের  শর্ট বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন ফিঞ্চ। পরের ওভারে মার্কাস স্টয়নিস হন আদিল রশিদের শিকার। ২ চার আর ২ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৫ রান করেন স্টয়নিস।

এরপর হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যাশটন অ্যাগার। ১৮ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন ম্যাক্সওয়াল। আর আট নম্বরে নেমে এক চার আর এক ছক্কা হাঁকান প্যাট কামিন্স। ৫ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে, শেষ ওভারে রান আউট হওয়া অ্যাগার ফেরেন ২০ বলে ২৩ রান করে। যাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলতে সামর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।

১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে হারালেও তা লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি স্বাগতিকদের। প্যাট কামিন্সের দ্রুতগামী একটা বাউন্সার সামাল দিতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে হিট উইকেট হন বেয়ারস্টো। সেখান থেকে জস বাটলার আর ডাভিড মালান ৮৭ রান যোগ করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখেন। সাত চারে ৩২ বলে ৪২ রান করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মালান।

এরপর দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেললেও জয় বঞ্চিত করতে পারেনি অজিরা। টম ব্যান্টন ২ রানে আর অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৭ রান করে আউট হয়ে যান ওই সময়। এরপর মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর বাকি কাজটুকু সারেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। তার ৫৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল আটটি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কার মার। ওপরপ্রান্তে মঈন আলী অপরাজিত ছিলেন ৬ বলে ১৩ রান করে। যাতে ৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।

সঙ্গে ২-০তে সিরিজটাও জিতে নেয় স্বাগতিক দল। কেননা, শুক্রবার প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারের লড়াইয়ে মাত্র ২ রানে জিতে যায় ইংল্যান্ড। আগামী মঙ্গলবার রাতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখী হবে দু’দল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ইংল্যান্ডের সিরিজ জয়

Update Time : ০৩:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে অনেকটা উড়িয়ে দিয়ে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। জস বাটলারের ব্যাটিং নৈপুণ্যে পাওয়া এ জয়ের সুবাদে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিকরা। 

সাউদাম্পটনে আজ রোববার টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। জোফরা আর্চারের দুর্দান্ত ডেলিভারিটি ডেভিড ওয়ার্নারের গ্লাভস স্পর্শ করে চলে যায় জস বাটলারের হাতে। যে কারণে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেন নি বাঁহাতি অজি ওপেনার। দ্বিতীয় ওভারে অ্যালেক্স ক্যারিও ফেরত যান সেই বাটলারের গ্লাভসে ধড়া দিয়েই। যার ফলে মাত্র তিন রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।

এরপর স্টিভ স্মিথ এক চার আর এক ছক্কায় দশ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। যাতে ৩০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মহাবিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ আর মার্কাস স্টয়নিস গড়েন ৪৯ রানের জুটি। ৩৩ বলে ৪০ রান করে ক্রিস জর্ডানের  শর্ট বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হন ফিঞ্চ। পরের ওভারে মার্কাস স্টয়নিস হন আদিল রশিদের শিকার। ২ চার আর ২ ছক্কায় ২৬ বলে ৩৫ রান করেন স্টয়নিস।

এরপর হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যাশটন অ্যাগার। ১৮ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন ম্যাক্সওয়াল। আর আট নম্বরে নেমে এক চার আর এক ছক্কা হাঁকান প্যাট কামিন্স। ৫ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। অন্যদিকে, শেষ ওভারে রান আউট হওয়া অ্যাগার ফেরেন ২০ বলে ২৩ রান করে। যাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলতে সামর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে দুটি উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।

১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে হারালেও তা লক্ষ্যচ্যুত করতে পারেনি স্বাগতিকদের। প্যাট কামিন্সের দ্রুতগামী একটা বাউন্সার সামাল দিতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে হিট উইকেট হন বেয়ারস্টো। সেখান থেকে জস বাটলার আর ডাভিড মালান ৮৭ রান যোগ করে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রাখেন। সাত চারে ৩২ বলে ৪২ রান করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন মালান।

এরপর দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেললেও জয় বঞ্চিত করতে পারেনি অজিরা। টম ব্যান্টন ২ রানে আর অধিনায়ক ইয়ন মরগান ৭ রান করে আউট হয়ে যান ওই সময়। এরপর মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর বাকি কাজটুকু সারেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। তার ৫৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল আটটি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কার মার। ওপরপ্রান্তে মঈন আলী অপরাজিত ছিলেন ৬ বলে ১৩ রান করে। যাতে ৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।

সঙ্গে ২-০তে সিরিজটাও জিতে নেয় স্বাগতিক দল। কেননা, শুক্রবার প্রথম ম্যাচে শেষ ওভারের লড়াইয়ে মাত্র ২ রানে জিতে যায় ইংল্যান্ড। আগামী মঙ্গলবার রাতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখী হবে দু’দল।