Dhaka ০৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়াকে পাত্তাই দিলোনা ইংল্যান্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • ৩২ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক :

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-ওয়ানের শীর্ষ স্থানের লড়াইয়ে নেমে ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর জস বাটলারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই উড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

মাত্র ২৫ বলে ফিফটি পূরণ করা ইংলিশ ওপেনার অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৭১ রানের তাণ্ডুবে ইনিংস খেলে।

এমন মারকুটে ইনিংস খেলে বাটলার ক্রিকইনফোর দৃষ্টিতে সেরা খেলোয়াড় হলেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন ১৭ রানে ৩টি উইকেট নেয়া ক্রিস জর্দানই।

এর আগে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। যার জবাব দিতে নেমে মাত্র ২টি উইকেট হারিয়ে ৫০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের মতোই হ্যাটট্রিক জয়ে সেমিতেও এক পা দিয়ে রাখলো মরগ্যান বাহিনী।

এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে জিতলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পাকা করবে যে কোনো একটি দল। সেইসঙ্গে এগিয়ে যাবে সেমির পথেও। সেই লক্ষ্যে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড।

তবে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ৪ টপ অর্ডারকে হারিয়ে ফেলে অজিরা। পরবর্তীতে ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে ৩০ রানের ও অ্যাশটন আগারের সঙ্গে ৪৭ রানের দুটি কার্যকরী জুটি গড়ে দলকে একটা শক্ত অবস্থানে নেয়ার প্রয়াশ চালান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম বলে তিনিও ফিরলে সোয়া একশ রানেই আটকা পড়ে অজিরা। নির্ধারিত ২০ ওভারেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানই তুলতে সক্ষম হয় তাসমান পাড়ের দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে ফিঞ্চের ব্যাট থেকেই। তাঁর ৪৯ বলেই এই সহনশীল ইনিংসে ছিল মাত্র ৪টি চারের মার।

এছাড়া তাঁর দুই সহযোগী আগার ২০ ও ওয়েড ১৮ রান করেন। শেষ দিকে অবশ্য প্যাট কামিন্স ৩ বলে ১২ এবং স্টার্ক ৬ বলে ১৩ রান করলেই ওই রানে পৌঁছতে পারে অস্ট্রেলিয়া।

এদিন ইংল্যান্ডের পাঁচ বোলারই উইকেটের দেখা পান। মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরী করা ক্রিস জর্ডান। এছাড়া ২৩ ও ৪৫ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট লাভ করেন ক্রিস ওকস ও টিমাল মিলস। আর একটি করে উইকেট ঝুলিতে পোরেন আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।

জবাব দিতে নেমে জেসন রয়কে নিয়ে শুরু থেকেই মারমুখি হয়ে খেলতে থাকেন জস বাটলার। যাতে পাওয়ার প্লে-তেই ৬৬ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। অবশ্য এরপরেই ২২ রান করা রয়কে এবং ৯৭ রানের মাথায় ডেভিড মালানকে হারায় দলটি। তবে বাটলার ও জনি বেয়ারস্টোর তাণ্ডব ছড়ানো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১১ ওভার চার বলেই প্রয়োজনীয় ১২৬ রান তুলে নিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক পূরণের আনন্দে মাতে ইংলিশ শিবির।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলা বাটলার হাঁকান সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা। আর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারস্টো। ইংলিশদের দুটি উইকেট ভাগ করে নেয়া অ্যাশটন আগার ও অ্যাডাম জাম্পার উপর দিয়েই ঝড়টা বইয়ে দেন এই দুই ব্যাটার।

এর আগে সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্টেলিয়া। গ্রুপ-ওয়ানে সমান ৪ পয়েন্ট নিয়েও রান রেটে মরগ্যানদের থেকে পিছিয়ে আছে ফিঞ্চের দল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

অস্ট্রেলিয়াকে পাত্তাই দিলোনা ইংল্যান্ড

Update Time : ০৩:১৪:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক :

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-ওয়ানের শীর্ষ স্থানের লড়াইয়ে নেমে ইংলিশ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর জস বাটলারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই উড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

মাত্র ২৫ বলে ফিফটি পূরণ করা ইংলিশ ওপেনার অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৭১ রানের তাণ্ডুবে ইনিংস খেলে।

এমন মারকুটে ইনিংস খেলে বাটলার ক্রিকইনফোর দৃষ্টিতে সেরা খেলোয়াড় হলেও ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন ১৭ রানে ৩টি উইকেট নেয়া ক্রিস জর্দানই।

এর আগে ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। যার জবাব দিতে নেমে মাত্র ২টি উইকেট হারিয়ে ৫০ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের মতোই হ্যাটট্রিক জয়ে সেমিতেও এক পা দিয়ে রাখলো মরগ্যান বাহিনী।

এদিন দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে জিতলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পাকা করবে যে কোনো একটি দল। সেইসঙ্গে এগিয়ে যাবে সেমির পথেও। সেই লক্ষ্যে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড।

তবে ব্যাটিংয়ে নেমেই ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ২১ রানের মধ্যেই ৪ টপ অর্ডারকে হারিয়ে ফেলে অজিরা। পরবর্তীতে ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে ৩০ রানের ও অ্যাশটন আগারের সঙ্গে ৪৭ রানের দুটি কার্যকরী জুটি গড়ে দলকে একটা শক্ত অবস্থানে নেয়ার প্রয়াশ চালান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।

কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম বলে তিনিও ফিরলে সোয়া একশ রানেই আটকা পড়ে অজিরা। নির্ধারিত ২০ ওভারেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানই তুলতে সক্ষম হয় তাসমান পাড়ের দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান আসে ফিঞ্চের ব্যাট থেকেই। তাঁর ৪৯ বলেই এই সহনশীল ইনিংসে ছিল মাত্র ৪টি চারের মার।

এছাড়া তাঁর দুই সহযোগী আগার ২০ ও ওয়েড ১৮ রান করেন। শেষ দিকে অবশ্য প্যাট কামিন্স ৩ বলে ১২ এবং স্টার্ক ৬ বলে ১৩ রান করলেই ওই রানে পৌঁছতে পারে অস্ট্রেলিয়া।

এদিন ইংল্যান্ডের পাঁচ বোলারই উইকেটের দেখা পান। মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরী করা ক্রিস জর্ডান। এছাড়া ২৩ ও ৪৫ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট লাভ করেন ক্রিস ওকস ও টিমাল মিলস। আর একটি করে উইকেট ঝুলিতে পোরেন আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।

জবাব দিতে নেমে জেসন রয়কে নিয়ে শুরু থেকেই মারমুখি হয়ে খেলতে থাকেন জস বাটলার। যাতে পাওয়ার প্লে-তেই ৬৬ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। অবশ্য এরপরেই ২২ রান করা রয়কে এবং ৯৭ রানের মাথায় ডেভিড মালানকে হারায় দলটি। তবে বাটলার ও জনি বেয়ারস্টোর তাণ্ডব ছড়ানো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১১ ওভার চার বলেই প্রয়োজনীয় ১২৬ রান তুলে নিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক পূরণের আনন্দে মাতে ইংলিশ শিবির।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রানের ইনিংস খেলা বাটলার হাঁকান সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কা। আর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারস্টো। ইংলিশদের দুটি উইকেট ভাগ করে নেয়া অ্যাশটন আগার ও অ্যাডাম জাম্পার উপর দিয়েই ঝড়টা বইয়ে দেন এই দুই ব্যাটার।

এর আগে সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্টেলিয়া। গ্রুপ-ওয়ানে সমান ৪ পয়েন্ট নিয়েও রান রেটে মরগ্যানদের থেকে পিছিয়ে আছে ফিঞ্চের দল।