Dhaka ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২ পোল্যান্ডের বাংলাদেশের দূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম ‘পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠতে প্রস্তুত বাংলাদেশ’ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার সাক্ষী আবছার আটক ১৩ দিন বৃষ্টিবলয়ে থাকবে পুরো দেশ, হবে কালবৈশাখী-বজ্রপাত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক স্থগিত করলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লুট হওয়া অস্ত্র নিরাপত্তার জন্য হুমকি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

অভিমান করে ধোনির সঙ্গী হলেন সুরেশ রায়না

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০
  • ৯৮ Time View

আচমকাই শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের দু’টি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। খবরটি চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রিয় অধিনায়কের পথে হাঁটলেন ধোনিরই সতীর্থ বাঁ-হাতি ব্যাটস্যান সুরেশ রায়নাও।

শনিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ধোনির অবসরের পর নিজের ইনস্টাগ্রামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান রায়না।

ধোনি যেমন কাউকে জানতে দেননি তাঁর অবসরের কথা, রায়নাও তেমনি বুঝতে দেননি কাউকে। ধোনির খুব পছন্দের ক্রিকেটার ছিলেন রায়না। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কের প্রিয় সঙ্গীও ছিলেন রায়না।

জাতীয় দল ও আইপিএলে একত্রে দলকে বহু ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন ধোনি-রায়না জুটি। তাই ধোনিকে উদ্দেশ্য করে নিজের অবসরের বার্তা দেন রায়না, ‘তোমার সঙ্গে খেলার থেকে মধুর স্মৃতি আর হতে পারে না। নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ হচ্ছে। আমি তোমার সফরে নিজেকে শরিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধন্যবাদ ভারত।’

২০০৫ সালে ওয়ানডে দিয়ে ভারতের হয়ে অভিষেক হয় রায়নার। পরের বছর টি-২০তে। আর ২০১০ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তার।

দেশের হয়ে ১৮টি টেস্টে ১টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭৬৮ রান, ২২৬টি ওয়ানডেতে ৫টি সেঞ্চুরি ও ৩৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫৬১৫ রান ও ৭৮টি টি-২০তে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৬০৫ রান করেন ৩৩ বছর বয়সী রায়না। অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন রায়না। ভারতের হয়ে টি-২০তে প্রথম সেঞ্চুরির নজির গড়েন তিনি।

বল হাতেও পারদর্শী ছিলেন রায়না। প্রয়োজনীয় সময়ে ব্রেক-থ্রু এনে দিতে পটু ছিলেন রায়না। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়ে বহুবার রায়নাকে বল হাতে আক্রমণে এনে সাফল্য পেয়েছেন ধোনি। টেস্টে ১৩টি, ওয়ানডেতে ৩৬টি ও টি-২০তে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন রায়না।

ভারতের জার্সিতে সর্বশেষ ২০১৫ সালে টেস্ট, ২০১৮ সালে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচ খেলেন রায়না। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে তার।

২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারত দলে ছিলেন না রায়না। তবে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী দলে ছিলেন।

ধোনির অনুপস্থিতিত্বে ২০১৪ সালে রায়নার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল রায়নার দল।

যদিও বিদায়লগ্নটা সবার জন্যই বেদনার। কিন্তু প্রিয় অধিনায়ক ধোনির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলাটা রায়নার জন্য স্মরনীয়ই হয়ে থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রথমদিনে অনুপস্থিত প্রায় ২৭ হাজার, বহিষ্কার ২২

অভিমান করে ধোনির সঙ্গী হলেন সুরেশ রায়না

Update Time : ০৫:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২০

আচমকাই শনিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের দু’টি বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। খবরটি চাউর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রিয় অধিনায়কের পথে হাঁটলেন ধোনিরই সতীর্থ বাঁ-হাতি ব্যাটস্যান সুরেশ রায়নাও।

শনিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ধোনির অবসরের পর নিজের ইনস্টাগ্রামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান রায়না।

ধোনি যেমন কাউকে জানতে দেননি তাঁর অবসরের কথা, রায়নাও তেমনি বুঝতে দেননি কাউকে। ধোনির খুব পছন্দের ক্রিকেটার ছিলেন রায়না। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়কের প্রিয় সঙ্গীও ছিলেন রায়না।

জাতীয় দল ও আইপিএলে একত্রে দলকে বহু ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন ধোনি-রায়না জুটি। তাই ধোনিকে উদ্দেশ্য করে নিজের অবসরের বার্তা দেন রায়না, ‘তোমার সঙ্গে খেলার থেকে মধুর স্মৃতি আর হতে পারে না। নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ হচ্ছে। আমি তোমার সফরে নিজেকে শরিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধন্যবাদ ভারত।’

২০০৫ সালে ওয়ানডে দিয়ে ভারতের হয়ে অভিষেক হয় রায়নার। পরের বছর টি-২০তে। আর ২০১০ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তার।

দেশের হয়ে ১৮টি টেস্টে ১টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭৬৮ রান, ২২৬টি ওয়ানডেতে ৫টি সেঞ্চুরি ও ৩৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫৬১৫ রান ও ৭৮টি টি-২০তে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৬০৫ রান করেন ৩৩ বছর বয়সী রায়না। অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন রায়না। ভারতের হয়ে টি-২০তে প্রথম সেঞ্চুরির নজির গড়েন তিনি।

বল হাতেও পারদর্শী ছিলেন রায়না। প্রয়োজনীয় সময়ে ব্রেক-থ্রু এনে দিতে পটু ছিলেন রায়না। এজন্য প্রয়োজনীয় সময়ে বহুবার রায়নাকে বল হাতে আক্রমণে এনে সাফল্য পেয়েছেন ধোনি। টেস্টে ১৩টি, ওয়ানডেতে ৩৬টি ও টি-২০তে ১৩টি উইকেট নিয়েছেন রায়না।

ভারতের জার্সিতে সর্বশেষ ২০১৫ সালে টেস্ট, ২০১৮ সালে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচ খেলেন রায়না। ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে তার।

২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী ভারত দলে ছিলেন না রায়না। তবে ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ী দলে ছিলেন।

ধোনির অনুপস্থিতিত্বে ২০১৪ সালে রায়নার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল রায়নার দল।

যদিও বিদায়লগ্নটা সবার জন্যই বেদনার। কিন্তু প্রিয় অধিনায়ক ধোনির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলাটা রায়নার জন্য স্মরনীয়ই হয়ে থাকবে।