রবিউল ইসলাম দুর্গাপুর,রাজশাহী:

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা কাউছার আলীকে অবশেষে বদলী করা হয়েছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ আমলে নিয়ে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সমবায় অধিদপ্তরের এক আদেশে দুর্গাপুর থেকে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলায় তাকে বদলী করা হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী লোকজন। এমনকি অফিসেই মাদকের আসর বসানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হিসেবে ২০১৭ সালের ১৮ জুন যোগদান করেন কাউছার আলী। যোগদানের পর থেকেই সমিতির নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন দেয়ার নামে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া সরকারি খাস পুকুর দেয়ার নামে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগও উঠে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়াও অফিসেই মাদকের আসর বসানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে ভুক্তভোগী লোকজন গত ১২ অক্টোবর সমবায় অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

এ নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তে নামেন সমবায় অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের দুই কর্মকর্তা। তদন্ত শেষে কাউছার আলীর বিরুদ্ধে বদলী ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে সমবায় অধিদপ্তরে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেন ওই দুই তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর গত ১৯ নভেম্বর কাউছার আলীকে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলায় বদলী করে আদেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে স্বাক্ষর করেছেন সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক (প্রশাসন) মোঃ কামরুজ্জামান।

এদিকে, অভিযোগ উঠেছে বদলীর আদেশ পেয়েও দুর্গাপুরেই অবস্থান করছেন কাউছার আলী। এখনো তিনি পুকুর বাণিজ্য চালাচ্ছেন দেদারসে।
সমবায় অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় অফিসের যুগ্ম নিবন্ধক আব্দুল মজিদ কাইছার আলীর বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কাউছার আলীকে আপাতত বদলী করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে