Dhaka ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অফিস-আদালত খুলবে রোববার, ঢাকায় ফিরছে মানুষ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
  • 34

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রোববার (১৫ জুন) থেকে পুরোদমে খুলছে অফিস-আদালত, বাণিজ্যিকসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ কারণে ভ্যাপসা গরম ও তীব্র পরিবহন সংকটের মধ্যেই আজ ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। রয়েছে ভোগান্তির অভিযোগও।

শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, সদরঘাট এবং কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে বাস যাত্রীরা গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে নামছেন। অনেকটা তড়িঘড়ি করে নেমে লোকাল বাস, সিএনজি বা রিকশা চেপে ফিরছেন গন্তব্যে। তবে অধিকাংশ যাত্রীই বিরক্ত।

রাজশাহী থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী আউয়াল কবির বিরক্তি নিয়ে বলেন, ‘ঈদের আগেও গ্রামে যেতে ভুগেছি। ঈদ শেষেও ঢাকা ফিরতেও সড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হলো, ৩ ঘণ্টা দেরি।’

একই সুর শ্যামলী পরিবহনের বাসে দিনাজপুর থেকে ঢাকা আসা যাত্রী হোসেন আলীর কথাতেও।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টার বাস, ভোর ছয়টার মধ্যেই পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেখানে পৌঁছলাম ১০টায়। যমুনা সেতুর কাছে আসার পর মনে হচ্ছে, গাড়ি নড়ছেই না। কারণ জানি না, সেতুর মুখে প্রচণ্ড জটলা ছিল। সেটা পাড়ি দিতেই এত দেরি।

সায়েদাবাদে গিয়েও চোখে পড়ে একই চিত্র। সেখানে দেখা যায়, সারি সারি দূর-পাল্লার বাস ঢাকায় ঢুকছে। প্রতিটি বাসই যাত্রীতে ভরা। কেউ কেউ স্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকে অভিযোগ তোলেন বাড়তি ভাড়ার।

এদিকে, ভোর থেকে সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এর ফলে ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাঁতীবাজার মোড় থেকে লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে আটকে আছে অসংখ্য যানবাহন। প্রতিটি গাড়িই যাত্রীতে ঠাসা। লঞ্চ থেকে নেমে বাসে উঠতে না পেরে অনেকেই আবার হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

রবিউল নামে এক যাত্রী বলেন, বরিশাল থেকে এসেছি। লঞ্চে যাত্রীর চাপ থাকলেও কষ্ট কম হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার অনেকটা ভালোভাবেই এসেছি। তেমন কোনো ঝামেলাই পড়তে হয়নি। তবে ঢাকায় এসে বাসে উঠতে পারছি না। তাই হেঁটেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি।

সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনেও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউ আবার একা। কারণ, কাল (১৫ জুন) থেকে কাজে যোগ দিতে হবে।

শফিক নামের এক যাত্রী বলেন, এবার লম্বা ছুটি পেয়েছি। কাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে। এজন্য আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। যাত্রীর চাপ থাকলেও পরিবার নিয়ে ভালোভাবেই ঢাকা আসতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

অফিস-আদালত খুলবে রোববার, ঢাকায় ফিরছে মানুষ

Update Time : ০৭:০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রোববার (১৫ জুন) থেকে পুরোদমে খুলছে অফিস-আদালত, বাণিজ্যিকসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ কারণে ভ্যাপসা গরম ও তীব্র পরিবহন সংকটের মধ্যেই আজ ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। রয়েছে ভোগান্তির অভিযোগও।

শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, সদরঘাট এবং কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে বাস যাত্রীরা গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে নামছেন। অনেকটা তড়িঘড়ি করে নেমে লোকাল বাস, সিএনজি বা রিকশা চেপে ফিরছেন গন্তব্যে। তবে অধিকাংশ যাত্রীই বিরক্ত।

রাজশাহী থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসের যাত্রী আউয়াল কবির বিরক্তি নিয়ে বলেন, ‘ঈদের আগেও গ্রামে যেতে ভুগেছি। ঈদ শেষেও ঢাকা ফিরতেও সড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হলো, ৩ ঘণ্টা দেরি।’

একই সুর শ্যামলী পরিবহনের বাসে দিনাজপুর থেকে ঢাকা আসা যাত্রী হোসেন আলীর কথাতেও।

তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৯টার বাস, ভোর ছয়টার মধ্যেই পৌঁছে যাওয়ার কথা, সেখানে পৌঁছলাম ১০টায়। যমুনা সেতুর কাছে আসার পর মনে হচ্ছে, গাড়ি নড়ছেই না। কারণ জানি না, সেতুর মুখে প্রচণ্ড জটলা ছিল। সেটা পাড়ি দিতেই এত দেরি।

সায়েদাবাদে গিয়েও চোখে পড়ে একই চিত্র। সেখানে দেখা যায়, সারি সারি দূর-পাল্লার বাস ঢাকায় ঢুকছে। প্রতিটি বাসই যাত্রীতে ভরা। কেউ কেউ স্বস্তি প্রকাশ করলেও অনেকে অভিযোগ তোলেন বাড়তি ভাড়ার।

এদিকে, ভোর থেকে সদরঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এর ফলে ওই এলাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাঁতীবাজার মোড় থেকে লঞ্চ টার্মিনাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে আটকে আছে অসংখ্য যানবাহন। প্রতিটি গাড়িই যাত্রীতে ঠাসা। লঞ্চ থেকে নেমে বাসে উঠতে না পেরে অনেকেই আবার হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

রবিউল নামে এক যাত্রী বলেন, বরিশাল থেকে এসেছি। লঞ্চে যাত্রীর চাপ থাকলেও কষ্ট কম হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার অনেকটা ভালোভাবেই এসেছি। তেমন কোনো ঝামেলাই পড়তে হয়নি। তবে ঢাকায় এসে বাসে উঠতে পারছি না। তাই হেঁটেই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি।

সকাল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনেও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনের যাত্রীর উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ এসেছেন সপরিবারে, কেউ আবার একা। কারণ, কাল (১৫ জুন) থেকে কাজে যোগ দিতে হবে।

শফিক নামের এক যাত্রী বলেন, এবার লম্বা ছুটি পেয়েছি। কাল থেকে কাজে যোগ দিতে হবে। এজন্য আগে থেকে ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল। যাত্রীর চাপ থাকলেও পরিবার নিয়ে ভালোভাবেই ঢাকা আসতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ।