Dhaka ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় ফের বন্যার আশঙ্কা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২৫৮ Time View

অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ায় চলতি মৌসুমে চতুর্থবারের মত বন্যার উপক্রম। লালমনিরহাটে আরও বেড়েছে ধরলার পানি। বিভাগীয় জেলা রংপুরে তিনটি পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে নামলেও এখনও পানিবন্দী অন্তত ১০ হাজার মানুষ। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাইবান্ধায় আবারও বাড়ছে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি। এরই মধ্যে চরগুলোর নিম্নাঞ্চলসহ সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

জেলার ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘দফায় দফায় বন্যা হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা। এভাবে যদি বন্যা হতেই থাকে তাহলে আমরা দুর্ভিক্ষে পড়বো, বানের পানিতে ভেসে যাব।’

তবে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আমনের চারাসহ হাইব্রীড জাতের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে লালমনিরহাটে বেড়েছ ধরলার পানি। ৫০টি চর, দ্বীপচর ও নদী তীরবর্তী গ্রামে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ও সবজির ক্ষেত।

জেলার পানিবন্দী পরিবারগুলো বলছে, ‘এমনিতেই বন্যায় সবকিছু শেষ, তারপরও যতটুকু ফসল চাষ করা হয়েছে তাও নতুন করে ভেসে যাচ্ছে। বারবার বন্য হওয়ায় সবকিছু হারিয়ে এখন পথে বসেছি আমরা। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় আবাদ করা যাচ্ছে না। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই আমাদের।’

এদিকে রংপুরে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। এখন ডালিয়া, গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ২৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী।

জেলার ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, ‘পানি কখনো বাড়ছে কখনো কমছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় খুব বিপদে পড়েছি আমরা। কোনভাবে একবেলা রান্না করে তিনবেলা খেতে হচ্ছে। চারদিকে পানি হওয়ায় অসুস্থ হলে কোথাও যাওয়ার পথ নেই।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় ফের বন্যার আশঙ্কা

Update Time : ০৯:২৫:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদীর পানি বাড়ায় চলতি মৌসুমে চতুর্থবারের মত বন্যার উপক্রম। লালমনিরহাটে আরও বেড়েছে ধরলার পানি। বিভাগীয় জেলা রংপুরে তিনটি পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে নামলেও এখনও পানিবন্দী অন্তত ১০ হাজার মানুষ। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাইবান্ধায় আবারও বাড়ছে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি। এরই মধ্যে চরগুলোর নিম্নাঞ্চলসহ সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

জেলার ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘দফায় দফায় বন্যা হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা। এভাবে যদি বন্যা হতেই থাকে তাহলে আমরা দুর্ভিক্ষে পড়বো, বানের পানিতে ভেসে যাব।’

তবে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আমনের চারাসহ হাইব্রীড জাতের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে লালমনিরহাটে বেড়েছ ধরলার পানি। ৫০টি চর, দ্বীপচর ও নদী তীরবর্তী গ্রামে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ও সবজির ক্ষেত।

জেলার পানিবন্দী পরিবারগুলো বলছে, ‘এমনিতেই বন্যায় সবকিছু শেষ, তারপরও যতটুকু ফসল চাষ করা হয়েছে তাও নতুন করে ভেসে যাচ্ছে। বারবার বন্য হওয়ায় সবকিছু হারিয়ে এখন পথে বসেছি আমরা। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ডুবে যাওয়ায় আবাদ করা যাচ্ছে না। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই আমাদের।’

এদিকে রংপুরে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। এখন ডালিয়া, গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে এখন বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ২৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দী।

জেলার ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, ‘পানি কখনো বাড়ছে কখনো কমছে। ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় খুব বিপদে পড়েছি আমরা। কোনভাবে একবেলা রান্না করে তিনবেলা খেতে হচ্ছে। চারদিকে পানি হওয়ায় অসুস্থ হলে কোথাও যাওয়ার পথ নেই।’