স্বাগতা অধিকারী,বিশেষ প্রতিনিধি,কলকাতা :

করোনার চোখরাঙানিতে যখন মহানগর ভয়ে কাঁপছে সেই সময়েই বিভিন্ন জায়গার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা চিন্তার সৃষ্টি করছে।

চলতি বছরে মহানগরী বেশ কয়েকটি ঘটনার সাক্ষী হয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একদিকে যেমন বহু মানুষ আশ্রয় হারিয়েছেন তেমনি অনেকেই হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনকে।
কলকাতার বুকে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম বাগবাজার অঞ্চলের “হাজারি” বস্তির অগ্নিকাণ্ড। প্রচন্ড শীতে বহু মানুষ ঘর ছাড়া হন সেদিন। পুড়ে খাক হয়ে বেশ কিছু ঝুপড়ি। সেদিনের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা না পাওয়া গেলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল প্রচুর।চলতি বছরের মার্চে বিধ্বংসী আগুনে প্রাণ হারান ৯ জন। ঘটনাটি ঘটেছিল স্ট্র্যান্ড রোডের পূর্ব রেলের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ে। এই ঘটনায় দমকলকর্মী, পুলিশকর্মী, রেলকর্মী এবং আর পি এফ কর্মী প্রাণ হারান। এর পরবর্তী ঘটনাটি ঘটে মে মাসের ২০ তারিখে। এদিন পার্ক স্ট্রিটের বহুতল এবং বিবাদী বাগ যুব কল্যাণ দফতর দুটি জায়গাতেই আগুন লেগে যায়। দমকল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরপর ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলি বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করছে কলকাতাবাসীর মধ্যে।

অতিমারীর সময়ে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন অনিশ্চয়তার সম্মুখীন সেই সময়েই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আরও আতঙ্কের সৃষ্টি করছে মানুষের মধ্যে। বিধ্বংসী আগুনের হাত থেকে বাঁচতে একটু সতর্কতার প্রয়োজন। তবে অনেক জায়গাতেই এর অভাব পরিলক্ষিত করা যায়। কলকাতার মানুষ পরপর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সম্মুখীন হলেও এখনও বেশ কিছু বাজারে তারের জটলা, বহু অফিসে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র না থাকা এগুলো দেখা যায়। এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে যেমন আরও নজর দিতে হবে তেমন সাধারণ মানুষকেও আরও সতর্ক হতে হবে। আশা করা যায় এতেই বিধ্বংসী আগুনের হাত থেকে আমরা বাঁচতে পারবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে