সকল নাগরিকের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য, খাদ্য ক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত আয় এবং চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় খাদ্য যোগান নিশ্চিত করতে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করার দাবিতে অক্টোবর মাসজুড়ে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান করছে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ। 

সংবিধানের ১৫(ক) অনুচ্ছেদে খাদ্যকে জীবনধারণের মৌলিক প্রয়োজন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরও, ২০১৯ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে পৃথিবীর ১১৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৩তম অবস্থানে রয়েছে।  অন্যদিকে করোনা মহামারী লকডাউন সময়ে দেশের প্রায় ৯৮.৩ শতাংশ দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৮৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য সঙ্কটে ভুগেছে।  জাতিসংঘ বলছে, আগামি সময়ে পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ আসতে পারে।

তাই এখনই সময় জাতিসংঘ কৃষি ও খাদ্য সংস্থার ভলেন্টারি গাইডলাইনের আলোকে দেশের সকল মানুষের খাবার ও পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করার জন্য।

খানি বাংলাদেশ প্রতি বছরের মতো এবারও অক্টোবর মাসে গ্রামীণ নারী দিবস, বিশ্ব খাদ্য দিবস ও আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য নিরসন দিবসকে সামনে রেখে খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার আইন প্রণয়নে দাবি নিয়ে মাসব্যাপী প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে দেশের ৩০টি জেলায় জমায়েত, গণশুনানী, নারী-কৃষকদের সম্মাননা প্রদান, দুযোগকালীন খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও অনলাইন আলোচনার আয়োজন করবে।

এছাড়াও খাদ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন, নীতি, নিউজ ক্লিপিংস, মানবাধিকার কর্মীদের মতামত, খাদ্যের সংকট পোহানো মানুষের গল্প, ইনফ গ্রাফ ইত্যাদি বিষয়ক অনলাইন প্রচারণা প্রকাশিত হবে। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রচারাভিযান সম্পর্কে সব ধরণের তথ্যাদি পাওয়া যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে