বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অক্টোবরে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬৪ কোটি ৯৫ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য আটক করেছে।

আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৯ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৫৪ হাজার ৫৮৮ বোতল ফেনসিডিল, ১৪ হাজার ৩৮৬ বোতল বিদেশী মদ, ৩৮৫ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৪৮৭ কেজি গাঁজা, ৪৩০ গ্রাম হেরোইন, ১২ হাজার ৮৩৭টি উত্তেজক ইনজেকশন, ৪ হাজার ৮৮৮টি এ্যানেগ্রা অথবা সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৮০টি অন্যান্য ট্যাবলেট।

চোরাচালান পণ্যের মধ্যে ১৬ কেজি ৫৮২ গ্রাম স্বর্ণ, ১৫ কেজি ৪৬৫ গ্রাম রূপা, ১টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১ হাজার ৯০৫টি ইমিটেশনের গহনা, ৪৫ হাজার ৭৭৭টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৩ হাজার ৪৬৯টি শাড়ি, ৩৭৯টি থ্রিপিস বা শার্টপিস, ৩ হাজার ৪৯টি তৈরী পোশাক, ৫ হাজার ১৫৫ ঘনফুট কাঠ, ৪ হাজার ২৮৬ কেজি চা পাতা, ১৬ হাজার ৯০০ কেজি কয়লা, ৫টি ট্রাক, ৬টি প্রাইভেটকার, ৫টি পিকআপ, ৩১টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং ৯২টি মোটর সাইকেল রয়েছে।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬টি পিস্তল, ৮টি একনলা বন্দুক, ১টি ম্যাগাজিন এবং ৪০ রাউন্ড গুলি।

এছাড়াও সীমান্তে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৬৩ জন চোরাকারবারীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ২৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও ৭ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে আজ বিজিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে