Dhaka ০৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

৮ উইকেট আর ৩৯ বল হাতে রেখেই জয় পেল ব্যাঙ্গালুরু

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০
  • ১৩৭ Time View

ব্যাটসম্যানরাই ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। লক্ষ্য মাত্র ৮৫ রানের। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে আর কী মিরাকলে আটকে রাখতে পারতেন কলকাতার বোলাররা!

না, মিরাকল ঘটেনি। ছোট লক্ষ্য সহজেই পেরিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। ৮ উইকেট আর ৩৯ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে বিরাট কোহলির দল।

রান তাড়ায় নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ৪৬ রান এনে দেন দেবদূত পাডিক্কেল আর অ্যারন ফিঞ্চ। লুকি ফার্গুসনের করা ইনিংসের সপ্তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে এই দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু।

ফিঞ্চ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২১ বলে ১৭ করে, ১৭ বলে ২৫ রান করে কামিন্সের থ্রোতে রানআউট হন পাডিক্কেল। তবে এরপর আর দলকে কোনো বিপদে পড়তে দেননি গুরকিরাত সিং আর বিরাট কোহলি। গুরকিরাত ২৬ বলে ২১ আর কোহলি ১৭ বলে ১৮ রানে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে আবুধাবিতে ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের তোপে ৮ উইকেটে মাত্র ৮৪ রানে থামমে ইয়ন মরগ্যানের কলকাতা।

টস জিতে ব্যাট করতে নামাই যেন কাল হয় কলকাতার। শুরুতেই মোহাম্মদ সিরাজের তোপের মুখে পড়ে দলটি। ১৪ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট, এর মধ্যে সিরাজেরই শিকার ৩ ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই আগুন ঝরাতে থাকেন সিরাজ। ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাহুল ত্রিপাথিকে (১), চতুর্থ বলে সরাসরি বোল্ড নীতিশ রানা (০)।

পরের ওভারে শুভমান গিলকে (১) সাজঘরের পথ দেখান নবদ্বীপ সাইনি। চতুর্থ ওভারে আবার সিরাজ। টম ব্যান্টন চাপের মুখেও হাত খুলে খেলতে চেয়েছিলেন। ৮ বলে একটি করে চার ছক্কায় ১০ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে উইকেটরক্ষক এবি ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ বানান সিরাজ।

সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি কলকাতা। দিনেশ কার্তিক (৪), প্যাট কামিন্সও (৪) হন ব্যর্থ। চরম বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে যা একটু লড়েছেন ইয়ন মরগ্যান। তবে চাপ নিয়ে আর কত খেলা যায়!

ইনিংসের ১৬তম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হন মরগ্যান। ৩৪ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় করেন ৩৩। শেষদিকে কুলদ্বীপ যাদবের ১৯ বলে ১২ আর লুকি ফার্গুসনের ১৬ বলে ১৯ রানে লজ্জাটা একটু কমায় কলকাতা।

ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সিরাজ, ৪ ওভারে মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। লেগস্পিনার ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল পান ২ উইকেট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

৮ উইকেট আর ৩৯ বল হাতে রেখেই জয় পেল ব্যাঙ্গালুরু

Update Time : ০১:০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০২০

ব্যাটসম্যানরাই ম্যাচটা শেষ করে দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের। লক্ষ্য মাত্র ৮৫ রানের। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুকে আর কী মিরাকলে আটকে রাখতে পারতেন কলকাতার বোলাররা!

না, মিরাকল ঘটেনি। ছোট লক্ষ্য সহজেই পেরিয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। ৮ উইকেট আর ৩৯ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে বিরাট কোহলির দল।

রান তাড়ায় নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ৪৬ রান এনে দেন দেবদূত পাডিক্কেল আর অ্যারন ফিঞ্চ। লুকি ফার্গুসনের করা ইনিংসের সপ্তম ওভারে তিন বলের ব্যবধানে এই দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল ব্যাঙ্গালুরু।

ফিঞ্চ উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ২১ বলে ১৭ করে, ১৭ বলে ২৫ রান করে কামিন্সের থ্রোতে রানআউট হন পাডিক্কেল। তবে এরপর আর দলকে কোনো বিপদে পড়তে দেননি গুরকিরাত সিং আর বিরাট কোহলি। গুরকিরাত ২৬ বলে ২১ আর কোহলি ১৭ বলে ১৮ রানে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে আবুধাবিতে ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের তোপে ৮ উইকেটে মাত্র ৮৪ রানে থামমে ইয়ন মরগ্যানের কলকাতা।

টস জিতে ব্যাট করতে নামাই যেন কাল হয় কলকাতার। শুরুতেই মোহাম্মদ সিরাজের তোপের মুখে পড়ে দলটি। ১৪ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট, এর মধ্যে সিরাজেরই শিকার ৩ ব্যাটসম্যান।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই আগুন ঝরাতে থাকেন সিরাজ। ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান রাহুল ত্রিপাথিকে (১), চতুর্থ বলে সরাসরি বোল্ড নীতিশ রানা (০)।

পরের ওভারে শুভমান গিলকে (১) সাজঘরের পথ দেখান নবদ্বীপ সাইনি। চতুর্থ ওভারে আবার সিরাজ। টম ব্যান্টন চাপের মুখেও হাত খুলে খেলতে চেয়েছিলেন। ৮ বলে একটি করে চার ছক্কায় ১০ রান করা এই ব্যাটসম্যানকে উইকেটরক্ষক এবি ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ বানান সিরাজ।

সেই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি কলকাতা। দিনেশ কার্তিক (৪), প্যাট কামিন্সও (৪) হন ব্যর্থ। চরম বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে যা একটু লড়েছেন ইয়ন মরগ্যান। তবে চাপ নিয়ে আর কত খেলা যায়!

ইনিংসের ১৬তম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে আউট হন মরগ্যান। ৩৪ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় করেন ৩৩। শেষদিকে কুলদ্বীপ যাদবের ১৯ বলে ১২ আর লুকি ফার্গুসনের ১৬ বলে ১৯ রানে লজ্জাটা একটু কমায় কলকাতা।

ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সিরাজ, ৪ ওভারে মাত্র ৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। লেগস্পিনার ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল পান ২ উইকেট।