Dhaka ০৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৯৯৫ সালের পর সেমিফাইনালে উঠলো পিএসজি!

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • ১১০ Time View

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে ১৯৯৫ সালের পর সেমিফাইনালে উঠলো পিএসজি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে আটলান্টাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ২৫ বছর পর সেমিতে ওঠা নিশ্চিত করলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ক্লাবটি।

বুধবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাতে লিসবনের স্টাডিও দ্য লুজে ম্যাচের ২৬ মিনিটে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার মারিও পাসালিক গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিলেন নেইমাররা। কিন্তু ৯০ মিনিটে মারকুইনোসের গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। আর যোগ করা সময়ে (৯০+৩) মিনিটে এরিক মেক্সিমের গোলে নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল। প্রথম গোলে সহায়তা করেন নেইমার, দ্বিতীয় গোলে কালিয়ান এমবাপে।

ম্যাচে চার- চারটি সুযোগ হাতছাড়া করেছেন নেইমার। তার মধ্যে সহজ এবং সেরা মিসটা করেন ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায়। দারুণ এক বল নিয়ে আটালান্টার বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আটলান্টা। এ সময় পাসালিকের বাঁকানো শট কেইলর নাভাসের ডান পাশ দিয়ে জালে আশ্রয় নেয়।

এই গোলের সুবাদে প্রথমার্ধেই পিএসজিকে চাপে ফেলে দেয় আটলান্টা। ওই চাপ পুরো ম্যাচে মাথায় নিয়ে খেলতে হয়েছে নেইমার-থিয়াগো সিলভাদের। ইনজুরির কারণে ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন না এমবাপ্পে। ৬১ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচে বাড়তি গতি আনেন তিনি।

মিডফিল্ডে ভেরাত্তি ও ডি মারিয়া না থাকায় বাড়তি চাপ হয়েছে পিএসজির জন্য। নেইমারকে তাই মাঝমাঠ থেকে ম্যাচ গড়ে খেলতে হয়েছে। দ্বিতীয়ার্থেও দুটি সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার। তবে শেষ পর্যন্ত পিএসজির ত্রাতা ওই নেইমার-এমবাপ্পেই।

শেষ মুহূর্তে গিয়ে দুটি সুযোগের দুটি থেকেই গোল আদায় করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি। ৯০ মিনিটে নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল জালে জড়িয়ে সমতায় ফেরান মারকুইনহোস। আর যোগ করা সময়ে এমবাপের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন এরিক মেক্সিম।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

১৯৯৫ সালের পর সেমিফাইনালে উঠলো পিএসজি!

Update Time : ০৩:১৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে ১৯৯৫ সালের পর সেমিফাইনালে উঠলো পিএসজি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুই গোল করে আটলান্টাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ২৫ বছর পর সেমিতে ওঠা নিশ্চিত করলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ক্লাবটি।

বুধবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাতে লিসবনের স্টাডিও দ্য লুজে ম্যাচের ২৬ মিনিটে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টার মারিও পাসালিক গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিলেন নেইমাররা। কিন্তু ৯০ মিনিটে মারকুইনোসের গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। আর যোগ করা সময়ে (৯০+৩) মিনিটে এরিক মেক্সিমের গোলে নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল। প্রথম গোলে সহায়তা করেন নেইমার, দ্বিতীয় গোলে কালিয়ান এমবাপে।

ম্যাচে চার- চারটি সুযোগ হাতছাড়া করেছেন নেইমার। তার মধ্যে সহজ এবং সেরা মিসটা করেন ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায়। দারুণ এক বল নিয়ে আটালান্টার বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় আটলান্টা। এ সময় পাসালিকের বাঁকানো শট কেইলর নাভাসের ডান পাশ দিয়ে জালে আশ্রয় নেয়।

এই গোলের সুবাদে প্রথমার্ধেই পিএসজিকে চাপে ফেলে দেয় আটলান্টা। ওই চাপ পুরো ম্যাচে মাথায় নিয়ে খেলতে হয়েছে নেইমার-থিয়াগো সিলভাদের। ইনজুরির কারণে ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন না এমবাপ্পে। ৬১ মিনিটে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচে বাড়তি গতি আনেন তিনি।

মিডফিল্ডে ভেরাত্তি ও ডি মারিয়া না থাকায় বাড়তি চাপ হয়েছে পিএসজির জন্য। নেইমারকে তাই মাঝমাঠ থেকে ম্যাচ গড়ে খেলতে হয়েছে। দ্বিতীয়ার্থেও দুটি সুযোগ নষ্ট করেন নেইমার। তবে শেষ পর্যন্ত পিএসজির ত্রাতা ওই নেইমার-এমবাপ্পেই।

শেষ মুহূর্তে গিয়ে দুটি সুযোগের দুটি থেকেই গোল আদায় করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় পিএসজি। ৯০ মিনিটে নেইমারের বাড়িয়ে দেওয়া বল জালে জড়িয়ে সমতায় ফেরান মারকুইনহোস। আর যোগ করা সময়ে এমবাপের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন এরিক মেক্সিম।