Dhaka ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ দেশের সাড়ে ৪ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • ১০৮ Time View

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস ও খরা-বন্যার প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি দেশের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে।

স্থানীয় সময় গতকাল এক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা জানায় আঞ্চলিক সংস্থা সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এসএডিসি)। এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে বলছে তারা।

এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, ‘করোনা ভাইরাস মহামারির বিধ্বংসী প্রভাবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আর দারিদ্রতা ব্যাপক হারে বেড়েছে।

‘করোনার বিধিনিষেধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম, চাকরি ও রেমিট্যান্সের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে এসএডিসি বলেছে, ‘শহুরে দরিদ্রদের মধ্যে যারা অনানুষ্ঠানিক খাত কিংবা স্থানীয় বাজারের ওপর নির্ভরশীল, তারা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাদ্য সংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

২০২০ সালে এই অঞ্চলের ৮৪ লাখ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানো চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলে দেওয়া খাদ্যে নির্ভরশীল বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভুগছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এসএডিসির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা করোনায় ভুগছে বেশি, সাড়ে চার লাখের বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৭ হাজার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

১৩ দেশের সাড়ে ৪ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে

Update Time : ০৩:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস ও খরা-বন্যার প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি দেশের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে।

স্থানীয় সময় গতকাল এক প্রতিবেদনে এ আশঙ্কার কথা জানায় আঞ্চলিক সংস্থা সাউদার্ন আফ্রিকান ডেভেলপমেন্ট কমিউনিটি (এসএডিসি)। এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়েছে বলছে তারা।

এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, ‘করোনা ভাইরাস মহামারির বিধ্বংসী প্রভাবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আর দারিদ্রতা ব্যাপক হারে বেড়েছে।

‘করোনার বিধিনিষেধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম, চাকরি ও রেমিট্যান্সের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে উল্লেখ করে এসএডিসি বলেছে, ‘শহুরে দরিদ্রদের মধ্যে যারা অনানুষ্ঠানিক খাত কিংবা স্থানীয় বাজারের ওপর নির্ভরশীল, তারা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাদ্য সংকটে থাকা মানুষের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

২০২০ সালে এই অঞ্চলের ৮৪ লাখ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। তাদের মধ্যে ২৩ লাখ শিশুর জীবন বাঁচানো চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলে দেওয়া খাদ্যে নির্ভরশীল বাচ্চারা অপুষ্টিতে ভুগছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এসএডিসির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা করোনায় ভুগছে বেশি, সাড়ে চার লাখের বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৭ হাজার।