Dhaka ১০:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্পেনকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ইতালি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:১৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১
  • ৩১ Time View

ক্রীড়া ডেস্ক :

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গেল ইতালি। ইউরো কাপের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল আজ্জুরিরা।

নির্ধারিত সময়ে এক এক গোলের সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে আর কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জয়োল্লাসে ফেটে পড়ে ইতালি।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে ইতালি। ফেদেরিকো চিয়েসার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন মোরাতা। অতিরিক্ত সময়ও শেষ হয় ১-১ স্কোরলাইনে।

টাইব্রেকারে মানুয়েল লোকাতেল্লির নেওয়া ইতালির প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন। কিন্তু নিজেদের প্রথম শট উড়িয়ে মেরে সুযোগটা নষ্ট করেন দানি ওলমো। এরপর ইতালির আর কেউ ব্যর্থ হয়নি। পরের তিন শটে একে একে বল জালে পাঠান আন্দ্রেয়া বেলোত্তি, লিওনার্দো বোনুচ্চি, ফেদেরিকো বের্নারদেস্কি।

স্পেনের দুই ও তিন নম্বরে সফল শট নেন জেরার্দ মোরেনো ও থিয়াগো আলকান্তারা। কিন্তু তাদের চতুর্থ জন মোরাতার শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুমা। এরপর জর্জিনিয়ো ঠাণ্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নিলে শুরু হয় ইতালির জয়োল্লাস।

ইউরো থেকে টানা দ্বিতীয়বার ইতালির কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো স্পেনকে।

ম্যাচের শুরু থেকে দেখা মেলে স্পেনের চিরচেনা ফুটবল। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রাখা দলটি সুযোগও পায় প্রথম; তবে ডি-বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি মিকেল ওইয়ারসাবাল। ২৫তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে দানি ওলমোর শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।

বিরতি থেকে ফিরে এসে ৫২তম মিনিটে বুশকেটসের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। খেলার বিপরীতে গিয়ে ৬০তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় ইতালি। ইম্মোবিলের পাস থেকে বল নিয়ে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন চিয়েসা।

পিছিয়ে পড়ার পরই ফেররান তরেসকে বসিয়ে মোরাতাকে নামান কোচ। এই স্ট্রাইকারের দারুণ নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে স্পেন। ওলমোকে বল বাড়িয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে, ফিরতি পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে ম্যাচের সময় আরও ৩০ মিনিট বাড়ানো হয়। দ্বিতীয়ার্ধে জেগে ওঠা ইতালি অতিরিক্ত সময়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়ানোর মতো তেমন কিছুই করতে পারেনি।

তবে টাইব্রেকারে জিতে ৯ বছর আগের প্রতিশোধ নিল ইতালি। ২০১২ সালে ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। এবার সেই স্পেনকে হারিয়েই ফাইনালে উঠল ইতালি। টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত ইতালির ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড না ডেনমার্ক, তা নির্ধারিত হবে আগামী রোববার এই মাঠেই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

স্পেনকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল ইতালি

Update Time : ০৩:১৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক :

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গেল ইতালি। ইউরো কাপের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল আজ্জুরিরা।

নির্ধারিত সময়ে এক এক গোলের সমতার পর অতিরিক্ত সময়ে আর কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জয়োল্লাসে ফেটে পড়ে ইতালি।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতেছে ইতালি। ফেদেরিকো চিয়েসার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন মোরাতা। অতিরিক্ত সময়ও শেষ হয় ১-১ স্কোরলাইনে।

টাইব্রেকারে মানুয়েল লোকাতেল্লির নেওয়া ইতালির প্রথম শট ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন। কিন্তু নিজেদের প্রথম শট উড়িয়ে মেরে সুযোগটা নষ্ট করেন দানি ওলমো। এরপর ইতালির আর কেউ ব্যর্থ হয়নি। পরের তিন শটে একে একে বল জালে পাঠান আন্দ্রেয়া বেলোত্তি, লিওনার্দো বোনুচ্চি, ফেদেরিকো বের্নারদেস্কি।

স্পেনের দুই ও তিন নম্বরে সফল শট নেন জেরার্দ মোরেনো ও থিয়াগো আলকান্তারা। কিন্তু তাদের চতুর্থ জন মোরাতার শট ঠেকিয়ে দেন জানলুইজি দোন্নারুমা। এরপর জর্জিনিয়ো ঠাণ্ডা মাথায় ঠিকানা খুঁজে নিলে শুরু হয় ইতালির জয়োল্লাস।

ইউরো থেকে টানা দ্বিতীয়বার ইতালির কাছে হেরে বিদায় নিতে হলো স্পেনকে।

ম্যাচের শুরু থেকে দেখা মেলে স্পেনের চিরচেনা ফুটবল। প্রথম ১৫ মিনিটে ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রাখা দলটি সুযোগও পায় প্রথম; তবে ডি-বক্সে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি মিকেল ওইয়ারসাবাল। ২৫তম মিনিটে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে দানি ওলমোর শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক।

বিরতি থেকে ফিরে এসে ৫২তম মিনিটে বুশকেটসের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। খেলার বিপরীতে গিয়ে ৬০তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে গোল আদায় করে নেয় ইতালি। ইম্মোবিলের পাস থেকে বল নিয়ে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন চিয়েসা।

পিছিয়ে পড়ার পরই ফেররান তরেসকে বসিয়ে মোরাতাকে নামান কোচ। এই স্ট্রাইকারের দারুণ নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে স্পেন। ওলমোকে বল বাড়িয়ে ঢুকে পড়েন ডি-বক্সে, ফিরতি পাস প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে শেষ হলে ম্যাচের সময় আরও ৩০ মিনিট বাড়ানো হয়। দ্বিতীয়ার্ধে জেগে ওঠা ইতালি অতিরিক্ত সময়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে ভীতি ছড়ানোর মতো তেমন কিছুই করতে পারেনি।

তবে টাইব্রেকারে জিতে ৯ বছর আগের প্রতিশোধ নিল ইতালি। ২০১২ সালে ফাইনালে স্পেনের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। এবার সেই স্পেনকে হারিয়েই ফাইনালে উঠল ইতালি। টানা ৩৩ ম্যাচ অপরাজিত ইতালির ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড না ডেনমার্ক, তা নির্ধারিত হবে আগামী রোববার এই মাঠেই।