Dhaka ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিংড়ায় স্বাধীনতা বিরোধিতাকারীর ছেলের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
  • ১২৯ Time View

আশরফুল ইসলাম সুমন, সিংড়া:

নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শেরকোল গ্রামের মৃত ইয়াতুল্লাহ মোল্লা ও তার ছেলে আফছার আলী স্বজনদের সাথে নিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে প্রতিবেশী মৃত আজগর আলীর প্রথম স্ত্রী মোছা. নকিরন নেছা ওরফে লকিরন নেছাকে ধর্ষণে সহায়তা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেশীদের সমলোচনার মুখে আজগর আলীর স্ত্রী একই গ্রামে ভাইয়ের বাড়ি, খোদাবক্স মন্ডল ও খলিল মন্ডলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসের দিকে আসামীগণ জোর পূর্বক আফছার আলীর বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে আসার পর আফছার আলীর বাড়িতেই মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর ১৯৯০ সালের ২৮ মার্চ দিনের বেলায় আজগর আলীকে তেঁতুল গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিঠ করে ঘরের ভিতর ঢুকে ঘরের যাবতীয় জিনিসিপত্র লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আজগর আলীর বাড়ির দক্ষিণ দুয়ারী একটি ৫ চালা টিনের ঘরও ভেঙ্গে নিয়ে গেছেন। লুট করা ওই ঘরে এখনো আফছার আলী বসবাস করছেন।
১৯৯৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঝড়ে আজগর আলীর বাড়ির অপর ঘরটি পড়ে গেলে আফছার আলীর বাড়ির উত্তর দুয়ারী ঘরের পশ্চিম-উত্তর কোণের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পরের দিন সকালে আফছার আলীর বাড়ির বারান্দায় আজগর আলীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগপাড়া শেরকোল গ্রামবাসীরা। এবিষয়ে ধর্ষিতার ছেলে বাদী হয়ে মাতা-পিতা খুন ঘর-বাড়ি লুটের জন্য আফছার আলী গংয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন আলীরাজ বলেন,আফছার আলী এলাকার একজন চিহিৃত চরিত্রহীন লোক। তাদের অত্যাচারে ওই গ্রামের অনেক নারীর স্বামীর সংসার ভেঙ্গে গেছে। স্বামীর সংসার হারিয়ে কেউ কেউ মানুষিক ভারসাম্যহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওই গ্রামে ওদের সামনে মাতা উচু করে কথা বলা ও প্রতিবাদ করার সাহস কারো নাই।

আগপাড়া শেরকোল গ্রামের সবাই যেনো বোবা। বাদী আনোয়ার হোসেন আলীরাজ ও তার নিজের জীবনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল ১৪ এপ্রিল সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে-এ আলম সিদ্দিকী অভিযোগটি আমলে নিয়ে এসআই আব্দুর রহিমকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

সিংড়ায় স্বাধীনতা বিরোধিতাকারীর ছেলের বিরুদ্ধে জোড়া খুনের মামলা

Update Time : ১১:৫৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

আশরফুল ইসলাম সুমন, সিংড়া:

নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শেরকোল গ্রামের মৃত ইয়াতুল্লাহ মোল্লা ও তার ছেলে আফছার আলী স্বজনদের সাথে নিয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে প্রতিবেশী মৃত আজগর আলীর প্রথম স্ত্রী মোছা. নকিরন নেছা ওরফে লকিরন নেছাকে ধর্ষণে সহায়তা করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেশীদের সমলোচনার মুখে আজগর আলীর স্ত্রী একই গ্রামে ভাইয়ের বাড়ি, খোদাবক্স মন্ডল ও খলিল মন্ডলের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসের দিকে আসামীগণ জোর পূর্বক আফছার আলীর বাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে আসার পর আফছার আলীর বাড়িতেই মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর ১৯৯০ সালের ২৮ মার্চ দিনের বেলায় আজগর আলীকে তেঁতুল গাছের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারপিঠ করে ঘরের ভিতর ঢুকে ঘরের যাবতীয় জিনিসিপত্র লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার সময় আজগর আলীর বাড়ির দক্ষিণ দুয়ারী একটি ৫ চালা টিনের ঘরও ভেঙ্গে নিয়ে গেছেন। লুট করা ওই ঘরে এখনো আফছার আলী বসবাস করছেন।
১৯৯৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঝড়ে আজগর আলীর বাড়ির অপর ঘরটি পড়ে গেলে আফছার আলীর বাড়ির উত্তর দুয়ারী ঘরের পশ্চিম-উত্তর কোণের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পরের দিন সকালে আফছার আলীর বাড়ির বারান্দায় আজগর আলীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগপাড়া শেরকোল গ্রামবাসীরা। এবিষয়ে ধর্ষিতার ছেলে বাদী হয়ে মাতা-পিতা খুন ঘর-বাড়ি লুটের জন্য আফছার আলী গংয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন আলীরাজ বলেন,আফছার আলী এলাকার একজন চিহিৃত চরিত্রহীন লোক। তাদের অত্যাচারে ওই গ্রামের অনেক নারীর স্বামীর সংসার ভেঙ্গে গেছে। স্বামীর সংসার হারিয়ে কেউ কেউ মানুষিক ভারসাম্যহীন হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওই গ্রামে ওদের সামনে মাতা উচু করে কথা বলা ও প্রতিবাদ করার সাহস কারো নাই।

আগপাড়া শেরকোল গ্রামের সবাই যেনো বোবা। বাদী আনোয়ার হোসেন আলীরাজ ও তার নিজের জীবনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল ১৪ এপ্রিল সিংড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে-এ আলম সিদ্দিকী অভিযোগটি আমলে নিয়ে এসআই আব্দুর রহিমকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।