Dhaka ০৬:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভূত ড্রোন ব্যবহার করতে যাচ্ছে ইউক্রেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২
  • ৪১ Time View

অনলাইন ডেস্ক:

ড্রোন কিংবা চালকবিহীন বিমান, যাই বলা হোক না কেন, চিনে ফেলবে সবাই। কিন্তু যদি বলা হয় ভূত ড্রোন? তাহলে তো ভ্রু কুঁচকে উঠবে অনেকেরই।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এমনই এক ধরণের ড্রোন ব্যবহার করতে যাচ্ছে ইউক্রেন।

এটি এমন একটি ড্রোন যা প্রতিপক্ষের সৈন্যের অবস্থান শনাক্ত করা ও হামলা চালানোর পাশাপাশি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যানকেও ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে পারে। কেননা এই ড্রোনে থাকা যুদ্ধাস্ত্রগুলো ভারী অ্যান্টি-আরমার ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত। যা দ্রুত সক্রিয় হতে ও হামলা চালাতে সক্ষম।

ইউক্রেনকে এই ভূত ড্রোন সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যার আসল নাম ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’। এটিকে অন্যতম শক্তিশালী ড্রোন হিসেবে উলে­খ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই ড্রোন সম্পর্কে জানতে কৌতুহলী সবাই। রাশিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্যাকেজ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যার অংশ হিসেবে ইউক্রেন পেতে যাচ্ছে এই ভূত ড্রোন।

এটি ডনবাস অঞ্চলে যুদ্ধের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে ১২১টিরও বেশি ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ ড্রোন পাঠাবে বলেও জানিয়েছে তারা। আমেরিকার বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ‘অ্যাভেক্স এরোস্পেস’ সংস্থা এই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন তৈরি করেছে।

শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক, বিমান বা সেনাদল ধংস করতে এই ড্রোনের একটি আঘাতই যথেষ্ট বলে দাবি করেছে আমেরিকা। যা প্রথমবারের মতো যুদ্ধে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে। নির্মাতা সংস্থা অ্যাভেক্স এরোস্পেসের দাবি, ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ ড্রোন যে কোনও যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

নতুন এই ড্রোন পরিচালনা করা খুব সহজ। এর জন্য ইউক্রেনের সেনাদের বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণও নিতে হবে না। শুধু একটি সুইচ টিপে দিলেই ছুটে যাবে ভূত ড্রোন। বেহাল অবস্থা করে ছাড়বে শত্রুপক্ষের।

‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ ড্রোনের রয়েছে একটি সম্ভাব্য লক্ষ্যের উপরে নজরদারি ও ঘোরাফেরা করার দারুণ দক্ষতা। কৌশলগতভাবে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এবং সঠিক সময়ে হামলার ক্ষমতাও রয়েছে। ড্রোনটি ছয় ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে লক্ষ্য অনুসন্ধান বা ট্র্যাক করতে পারে এবং ইনফ্রারেড সেন্সর ব্যবহার করে রাতেও কাজ করতে পারদর্শী। যা ঘন্টায় ১০০ মাইল গতিতে উড়তে পারে।

ইউক্রেনীয় সৈন্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ড্রোন সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য পোল্যান্ডে যাবে। তবে ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ সম্পর্কে যতটুকু তথ্য জানা গেছে তা সামান্যই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভূত ড্রোন ব্যবহার করতে যাচ্ছে ইউক্রেন

Update Time : ০৫:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

ড্রোন কিংবা চালকবিহীন বিমান, যাই বলা হোক না কেন, চিনে ফেলবে সবাই। কিন্তু যদি বলা হয় ভূত ড্রোন? তাহলে তো ভ্রু কুঁচকে উঠবে অনেকেরই।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এমনই এক ধরণের ড্রোন ব্যবহার করতে যাচ্ছে ইউক্রেন।

এটি এমন একটি ড্রোন যা প্রতিপক্ষের সৈন্যের অবস্থান শনাক্ত করা ও হামলা চালানোর পাশাপাশি ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া যানকেও ব্যতিব্যস্ত করে রাখতে পারে। কেননা এই ড্রোনে থাকা যুদ্ধাস্ত্রগুলো ভারী অ্যান্টি-আরমার ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত। যা দ্রুত সক্রিয় হতে ও হামলা চালাতে সক্ষম।

ইউক্রেনকে এই ভূত ড্রোন সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যার আসল নাম ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’। এটিকে অন্যতম শক্তিশালী ড্রোন হিসেবে উলে­খ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এই ড্রোন সম্পর্কে জানতে কৌতুহলী সবাই। রাশিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধে ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সবশেষ ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্যাকেজ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যার অংশ হিসেবে ইউক্রেন পেতে যাচ্ছে এই ভূত ড্রোন।

এটি ডনবাস অঞ্চলে যুদ্ধের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে ১২১টিরও বেশি ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ ড্রোন পাঠাবে বলেও জানিয়েছে তারা। আমেরিকার বিমানবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ‘অ্যাভেক্স এরোস্পেস’ সংস্থা এই বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন তৈরি করেছে।

শত্রুপক্ষের ট্যাঙ্ক, বিমান বা সেনাদল ধংস করতে এই ড্রোনের একটি আঘাতই যথেষ্ট বলে দাবি করেছে আমেরিকা। যা প্রথমবারের মতো যুদ্ধে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে। নির্মাতা সংস্থা অ্যাভেক্স এরোস্পেসের দাবি, ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ ড্রোন যে কোনও যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

নতুন এই ড্রোন পরিচালনা করা খুব সহজ। এর জন্য ইউক্রেনের সেনাদের বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণও নিতে হবে না। শুধু একটি সুইচ টিপে দিলেই ছুটে যাবে ভূত ড্রোন। বেহাল অবস্থা করে ছাড়বে শত্রুপক্ষের।

‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ ড্রোনের রয়েছে একটি সম্ভাব্য লক্ষ্যের উপরে নজরদারি ও ঘোরাফেরা করার দারুণ দক্ষতা। কৌশলগতভাবে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এবং সঠিক সময়ে হামলার ক্ষমতাও রয়েছে। ড্রোনটি ছয় ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে লক্ষ্য অনুসন্ধান বা ট্র্যাক করতে পারে এবং ইনফ্রারেড সেন্সর ব্যবহার করে রাতেও কাজ করতে পারদর্শী। যা ঘন্টায় ১০০ মাইল গতিতে উড়তে পারে।

ইউক্রেনীয় সৈন্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ড্রোন সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য পোল্যান্ডে যাবে। তবে ‘ফিনিক্স ঘোস্ট’ সম্পর্কে যতটুকু তথ্য জানা গেছে তা সামান্যই বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।