Dhaka ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গবেষক নির্বাচিত হয়েছেন ড. সালেহ হাসান নকীব

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১
  • ১৬৭ Time View

২০২০ সালে স্কোপাস তালিকাভুক্ত জার্নালগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সেরা গবেষক নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।

গত ৯ই জানুয়ারি সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর  স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালগুলোতে অধ্যাপক নকীবের প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধের সংখ্যা ২০টি।

এদিকে তালিকায় ১৭টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করে ২য় অবস্থানে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। আর ১২টি প্রকাশনা নিয়ে যৌথভাবে ৩য় অবস্থানে আছেন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাকের হোসেন ও অধ্যাপক অলোক কুমার পাল এবং ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক এম ইয়ামিন হোসেন।

অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০০৩ সালে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

গবেষণায় তার প্রধান আগ্রহের বিষয় হচ্ছে সুপারকন্ডাকটিভিটি এবং কম্পিউটেশনাল ফিজিক্স। ১৯৯৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করে শিক্ষকতাজীবন শুরু করেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় পদার্থবিজ্ঞান গবেষকদের একজন তিনি। পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৭ সালে সালে বিশ্ববিদ্যালয় ডিনস এওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৮ সালে টাওয়াস ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১১ সালে রাজ্জাক-শামসুন ফিজিক্স রিসার্চ প্রাইজ লাভ করেন।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধের সংখ্যার দিক থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রথমবারের মতো ৩য় অবস্থানে উঠে এসেছ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। গতবছর বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকগণ যৌথ ও এককভাবে স্কোপাস তালিকাভুক্ত জার্নালগুলোতে ৪৭০ টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন; যা ২০১৯ সালের চাইতে ১৪০টি বেশি। তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গবেষক নির্বাচিত হয়েছেন ড. সালেহ হাসান নকীব

Update Time : ০৮:২৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১

২০২০ সালে স্কোপাস তালিকাভুক্ত জার্নালগুলোতে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সেরা গবেষক নির্বাচিত হয়েছেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।

গত ৯ই জানুয়ারি সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ এর প্রতিবেদন প্রকাশ করে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর  স্কোপাস ইনডেক্সড জার্নালগুলোতে অধ্যাপক নকীবের প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধের সংখ্যা ২০টি।

এদিকে তালিকায় ১৭টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করে ২য় অবস্থানে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম। আর ১২টি প্রকাশনা নিয়ে যৌথভাবে ৩য় অবস্থানে আছেন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জাকের হোসেন ও অধ্যাপক অলোক কুমার পাল এবং ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক এম ইয়ামিন হোসেন।

অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০০৩ সালে তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

গবেষণায় তার প্রধান আগ্রহের বিষয় হচ্ছে সুপারকন্ডাকটিভিটি এবং কম্পিউটেশনাল ফিজিক্স। ১৯৯৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করে শিক্ষকতাজীবন শুরু করেন।

দেশের শীর্ষস্থানীয় পদার্থবিজ্ঞান গবেষকদের একজন তিনি। পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৭ সালে সালে বিশ্ববিদ্যালয় ডিনস এওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৮ সালে টাওয়াস ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১১ সালে রাজ্জাক-শামসুন ফিজিক্স রিসার্চ প্রাইজ লাভ করেন।

উল্লেখ্য, প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধের সংখ্যার দিক থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রথমবারের মতো ৩য় অবস্থানে উঠে এসেছ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। গতবছর বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষকগণ যৌথ ও এককভাবে স্কোপাস তালিকাভুক্ত জার্নালগুলোতে ৪৭০ টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন; যা ২০১৯ সালের চাইতে ১৪০টি বেশি। তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট।