Dhaka ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী কাঁটাখালিতে নবম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • ১৩২ Time View

সানোয়ার আরিফ রাজশাহীঃ

রাজশাহী পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের জয়পুর গ্রামের প্রতিবন্ধী রিয়াজ আলীর নবম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হরিয়ান ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের প্রতিবন্ধী রিয়াজ আলীর মেয়ে আশা (১৬) টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে অভিযুক্ত শাহিনুর আগে থেকেই ওত পেতে থাকে সুযোগ বুঝে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে দরজার এক কোণে লুকিয়ে থাকে মেয়েটি যখন ঘরে পানি নিয়ে প্রবেশ করে তখন শাহিনুর ঘরের দরজার খিল(হুক) লাগিয়ে দেয় এবং জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এক পর্যায়ে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও তার ভাই ছুটে এসে লাথি মেরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
এক পর্যায়ে মেয়েটির ভাই ছেলেটিকে চড় থাপ্পড় মারতেই মোবাইল ফোন ফেলে জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। একই গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে শাহিনুর ইসলাম (২৮) হুমকি দেয় যে পুলিশকে বা কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে।
এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। তা না হলে গ্রাম থেকে বেড় করে দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে তারা নিরুপায় হয়ে জোরপূর্বক বিচার সালিশ বসিয়েছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি হযরত আলী ও তার ছেলে রুবেল হোসেন।
তারা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ছেলেটিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০ টি বেত্রাঘাতের রায় দেয়।
ধর্ষিতার পরিবার এই রায় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিচারকার্য চলা অবস্থাতেই বিচারক মন্ডলীরা ধর্ষিতার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এবং এ রায় মেনে না নিলে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে মার খেয়ে পালিয়ে এসে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এবং থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মারপিট ও ধর্ষণের দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
ধর্ষিতার পরিবার বলেন, শাহিনুর আমাদের নাবালিকা মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি তার বিচার চাই।
অভিযুক্ত শাহিনুর ইসলামের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ওই মেয়ের সাথে একটা ঘটনা ঘটেছে আমরা শুনেছি এর বেশী কিছু বলতে পারবো না। সে এখন কোথায় আছে তা আমরা জানি না।
এ বিষয়ে, কাঁটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জিল্লুর রহমান জানান, থানায় মামলা রুজু হয়েছে। ওই মেয়ের মেডিক্যাল চেকআপ ও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আসামিকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয় সে বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

রাজশাহী কাঁটাখালিতে নবম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ

Update Time : ০১:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

সানোয়ার আরিফ রাজশাহীঃ

রাজশাহী পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের জয়পুর গ্রামের প্রতিবন্ধী রিয়াজ আলীর নবম শ্রেনী পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হরিয়ান ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের প্রতিবন্ধী রিয়াজ আলীর মেয়ে আশা (১৬) টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে অভিযুক্ত শাহিনুর আগে থেকেই ওত পেতে থাকে সুযোগ বুঝে মেয়েটির ঘরে প্রবেশ করে দরজার এক কোণে লুকিয়ে থাকে মেয়েটি যখন ঘরে পানি নিয়ে প্রবেশ করে তখন শাহিনুর ঘরের দরজার খিল(হুক) লাগিয়ে দেয় এবং জোরপূর্বক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এক পর্যায়ে তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও তার ভাই ছুটে এসে লাথি মেরে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
এক পর্যায়ে মেয়েটির ভাই ছেলেটিকে চড় থাপ্পড় মারতেই মোবাইল ফোন ফেলে জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। একই গ্রামের মৃত কাসেম আলীর ছেলে শাহিনুর ইসলাম (২৮) হুমকি দেয় যে পুলিশকে বা কাউকে জানালে জানে মেরে ফেলবে।
এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় প্রভাবশালীদের দ্বারা মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। তা না হলে গ্রাম থেকে বেড় করে দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে তারা নিরুপায় হয়ে জোরপূর্বক বিচার সালিশ বসিয়েছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি হযরত আলী ও তার ছেলে রুবেল হোসেন।
তারা উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ছেলেটিকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০ টি বেত্রাঘাতের রায় দেয়।
ধর্ষিতার পরিবার এই রায় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানালে বিচারকার্য চলা অবস্থাতেই বিচারক মন্ডলীরা ধর্ষিতার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এবং এ রায় মেনে না নিলে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে মার খেয়ে পালিয়ে এসে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হন। এবং থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে মারপিট ও ধর্ষণের দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
ধর্ষিতার পরিবার বলেন, শাহিনুর আমাদের নাবালিকা মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমি তার বিচার চাই।
অভিযুক্ত শাহিনুর ইসলামের পরিবারের সদস্যরা বলেন, ওই মেয়ের সাথে একটা ঘটনা ঘটেছে আমরা শুনেছি এর বেশী কিছু বলতে পারবো না। সে এখন কোথায় আছে তা আমরা জানি না।
এ বিষয়ে, কাঁটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জিল্লুর রহমান জানান, থানায় মামলা রুজু হয়েছে। ওই মেয়ের মেডিক্যাল চেকআপ ও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। আসামিকে যেন দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয় সে বিষয়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।