Dhaka ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের খসড়ায় নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০
  • ১১৯ Time View

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের খসড়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) অনুমোদন দিয়েছে। প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ এর অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধনীগুলো সম্পন্ন হলে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। 

আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় খসড়া আইনটি অনুমোদ দেওয়া হয়। তবে খসড়া আইনটিতে কমিশনার মাহবুব তালুকদার আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) করেন।

জানা যায়, খসড়া অনুমোদনের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের মতামত চায় কমিশন।

আজকের সভার পর কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘কমিশন আইনের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে কিছু সংযোজন-বিয়োজনের নির্দেশনাসহ এটি অনুমোদন দিয়েছে। আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংযোজন-বিয়োজন সম্পন্ন করে কমিশনারদের কাছে উপস্থাপন করব। তারা এটি দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।’

বর্তমানে সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার পরিষদ দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে আলমগীর বলেন, ‘নিবন্ধনের বিষয়টি আরপিওতে (জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিয়ম-কানুন সংক্রান্ত প্রধান আইন ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার’) থাকলে তা কেবল সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের জন্য আলাদা আইনের প্রয়োজন পড়বে। আরপিও থেকে নিবন্ধনের চ্যাপ্টারটি বের করে একটি স্বতন্ত্র আইন করা হলে এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’

আধুনিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি ৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ছিল না উল্লেখ করে সচিব জানান, বিষয়টি ২০০৮ সালে আরপিওতে যুক্ত হয়েছে। তখন আলাদা আইনের কথা উঠেছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে তড়িঘড়ি করে এটিকে আরপিওতে যুক্ত করা হয়। তবে বর্তমান কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আলাদা করে আইন করার প্রয়োজন বলে মনে করছে। তারা মনে করছেন, আইনের এই অংশটি আরপিও থেকে বের করে স্বতন্ত্র করা উচিত। তাছাড়া সরকারের একটি সিদ্ধান্ত আছে, সব আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন করার। যার কারণে এটি বাংলায় করা হচ্ছে।

খসড়া আইনটিতে ১৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনসহ ৪১ প্রতিনিধির মতামত নেওয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের খসড়ায় নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন

Update Time : ১০:৫৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অগাস্ট ২০২০

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের খসড়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) অনুমোদন দিয়েছে। প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ এর অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধনীগুলো সম্পন্ন হলে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। 

আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় খসড়া আইনটি অনুমোদ দেওয়া হয়। তবে খসড়া আইনটিতে কমিশনার মাহবুব তালুকদার আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) করেন।

জানা যায়, খসড়া অনুমোদনের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের মতামত চায় কমিশন।

আজকের সভার পর কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘কমিশন আইনের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে কিছু সংযোজন-বিয়োজনের নির্দেশনাসহ এটি অনুমোদন দিয়েছে। আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংযোজন-বিয়োজন সম্পন্ন করে কমিশনারদের কাছে উপস্থাপন করব। তারা এটি দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।’

বর্তমানে সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার পরিষদ দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে আলমগীর বলেন, ‘নিবন্ধনের বিষয়টি আরপিওতে (জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিয়ম-কানুন সংক্রান্ত প্রধান আইন ‘দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপল অর্ডার’) থাকলে তা কেবল সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের জন্য আলাদা আইনের প্রয়োজন পড়বে। আরপিও থেকে নিবন্ধনের চ্যাপ্টারটি বের করে একটি স্বতন্ত্র আইন করা হলে এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।’

আধুনিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি ৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ছিল না উল্লেখ করে সচিব জানান, বিষয়টি ২০০৮ সালে আরপিওতে যুক্ত হয়েছে। তখন আলাদা আইনের কথা উঠেছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে তড়িঘড়ি করে এটিকে আরপিওতে যুক্ত করা হয়। তবে বর্তমান কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আলাদা করে আইন করার প্রয়োজন বলে মনে করছে। তারা মনে করছেন, আইনের এই অংশটি আরপিও থেকে বের করে স্বতন্ত্র করা উচিত। তাছাড়া সরকারের একটি সিদ্ধান্ত আছে, সব আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন করার। যার কারণে এটি বাংলায় করা হচ্ছে।

খসড়া আইনটিতে ১৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনসহ ৪১ প্রতিনিধির মতামত নেওয়া হয়েছে।