Dhaka ০২:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারণে মামলা করতে গিয়ে পথ থেকেই ফিরে আসলেন শিপ্রা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০
  • ৮৬ Time View

পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী কক্সবাজারে গিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে চলা অনলাইন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মামলা করতে। মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার থানা থেকে শিপ্রাকে বলা হয়, রামু থানায় তাকে এ মামলা করতে হবে।

আজ বুধবার সকালে সেই রামু থানার উদ্দেশ্যেই বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবার ফিরে আসেন হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের কারণে। শিপ্রার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি অনলাইনে প্রকাশ করা নিয়ে দুই জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি রিটের ব্যাপারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদেশ দেয়া হবে এমন তথ্য জানার পর শিপ্রা সিদ্ধান্ত নেন আদালেতের সিদ্ধান্ত জানার পরেই তিনি মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু বলেন, ‘তারা সকালে মামলা করতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের আদেশ আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আসবে জানতে পেরে তারা থানায় না গিয়েই ফিরে যান।’

আদালত যে আদেশ ও নির্দেশনা দেবেন তারা সেটি অনুসরণ করবেন এবং সে অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মাহাবুবল আলম টিপু। তিনি বলেন, ‘রিটের আদেশে তো একটা নির্দেশনা থাকবে আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আগানোর চিন্তা করছি।’

গত ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক জনস্বার্থে রিট করেন। রিট আবেদনে শিপ্রাকে নিয়ে ফেইসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট করায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্তেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আর্জি জানানো হয়। পুলিশের ঐ দুই কর্মকর্তা হলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলি।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে একটি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা। তিনি তার আরও তিন সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং অন্য আরেকজনসহ ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

যে কারণে মামলা করতে গিয়ে পথ থেকেই ফিরে আসলেন শিপ্রা

Update Time : ০২:৫৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অগাস্ট ২০২০

পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী কক্সবাজারে গিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে চলা অনলাইন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে মামলা করতে। মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার থানা থেকে শিপ্রাকে বলা হয়, রামু থানায় তাকে এ মামলা করতে হবে।

আজ বুধবার সকালে সেই রামু থানার উদ্দেশ্যেই বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবার ফিরে আসেন হাইকোর্টের একটি সিদ্ধান্তের কারণে। শিপ্রার ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি অনলাইনে প্রকাশ করা নিয়ে দুই জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি রিটের ব্যাপারে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদেশ দেয়া হবে এমন তথ্য জানার পর শিপ্রা সিদ্ধান্ত নেন আদালেতের সিদ্ধান্ত জানার পরেই তিনি মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

শিপ্রা দেবনাথের আইনজীবী মাহাবুবুল আলম টিপু বলেন, ‘তারা সকালে মামলা করতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের আদেশ আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আসবে জানতে পেরে তারা থানায় না গিয়েই ফিরে যান।’

আদালত যে আদেশ ও নির্দেশনা দেবেন তারা সেটি অনুসরণ করবেন এবং সে অনুযায়ী পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মাহাবুবল আলম টিপু। তিনি বলেন, ‘রিটের আদেশে তো একটা নির্দেশনা থাকবে আমরা সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আগানোর চিন্তা করছি।’

গত ১৬ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক জনস্বার্থে রিট করেন। রিট আবেদনে শিপ্রাকে নিয়ে ফেইসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট করায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্তেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আর্জি জানানো হয়। পুলিশের ঐ দুই কর্মকর্তা হলেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শেলি।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে একটি চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা। তিনি তার আরও তিন সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত এবং অন্য আরেকজনসহ ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন।