Dhaka ০৮:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎসিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করলেন কঙ্গনা রানাউত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৮১ Time View

নিজের কর্মস্থল মুম্বাইতে নিরাপদবোধ করছেন না। সুশান্ত সিংহ রাজপুত-কাণ্ডে মুখ খোলার জন্যই তাকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। তাকে নিশানা করা হচ্ছে। উদ্ধব সরকারের নামোল্লেখ না করেও একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ কঙ্গনা রানাউতের।

মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইটা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন কঙ্গনা রানাউত। রবিবার বিকেলে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎসিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন বোন রঙ্গোলি রানাউতও। মুম্বাইয়ের পালি হিলে কঙ্গনার অফিসের একাংশ ভাঙা এবং তা ঘিরে তীব্র সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মুখ্য পরামর্শদাতা অজয় মেহতাকে তলব করেছিলেন কোশিয়ারি।

সেই বৈঠকে কঙ্গনার মতোই কোশিয়ারিও মত ছিল, পালি হিলের অফিসের একাংশ ‘অবৈধ’ নয়। তবে মুম্বাই পুরসভা নিজের যুক্তিতে অনড় থেকেছে। ফলে এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর ফের কঙ্গনার হাত শক্ত হতে চলেছে, তা মনে করছেন অনেকে।

যদিও রাজ্যপালের সঙ্গে কঙ্গনার ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, তা সবিস্তার উল্লেখ না করলেও বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদ্ধব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কঙ্গনার দাবি, ‘‘সুশান্ত-কাণ্ডে মুখ খোলার জন্যই আমাকে নিশানা করা হচ্ছে। হেনস্থা করা হচ্ছে আমাকে। আমি এখানে নিরাপদ নই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘মুম্বাই আমার কর্মস্থল। আমাকে এখান থেকে উপড়ে ফেলা যাবে না।’’

পাশাপাশি, কঙ্গনা জানিয়েছেন, নিজের প্রতি অবিচারের কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘‘কী রকম অন্যায়-অবিচারের শিকার হতে হয়েছে, তা (রাজ্যপালকে) জানিয়েছি। রাজ্যপাল নিজের মেয়ের মতো আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন। আশা করি, সুবিচার পাব, যাতে এই সিস্টেমের উপর সমস্ত নাগরিকের পাশাপাশি কমবয়সি মেয়েদেরও আস্থা ফিরে আসবে।’’

রাজ্যপালের পাশাপাশি পুরনো ‘শত্রু’ করণী সেনাকেও পাশে পেয়েছেন কঙ্গনা। পুরনো ‘শত্রুতা’ ভুলে কঙ্গনা রানাউতের পক্ষে তারা মুখ খুলেছিল আগেই। এ বার কঙ্গনাকে যাবতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিলেন করণী সেনার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা। মহারাষ্ট্র সরকার বনাম কঙ্গনা রানাউতের ‘দ্বন্দ্বে’ তারা যে অভিনেতার দিকেই ঝুঁকে রয়েছেন, তা-ও ফের স্পষ্ট করল করণী সেনা। এ দিন মুম্বাইয়ে কঙ্গনার বাড়িতে গিয়ে ওই কট্টরপন্থী সংগঠনের আশ্বাস, শহরে তার নিরাপত্তার দিকেও খেয়াল রাখবেন তারা।

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরই মুম্বাই পুলিশ তথা মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব কঙ্গনা। মুম্বইকে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ বলে তোপও দেগেছেন তিনি। তার পরই ‘প্রতিঘাত’ শুরু করে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। কঙ্গনাকে মুম্বাইতে পা রাখতে দেবেন না বলে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। ঘটনাচক্রে, এর পরই গত ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার পালি হিলের অফিসের ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভাঙতে শুরু করেছিল শিবসেনা পরিচালিত বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। কঙ্গনার আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাতে স্থগিতাদেশ দিলেও উদ্ধব সরকারের সঙ্গে অভিনেতার সঙ্ঘাত-বিরতি হয়নি। বরং তা আরও তীব্র মাত্রা পায়। এর পর খারে কঙ্গনার ফ্ল্যাটের ‘বেআইনি’ অংশ ভাঙতে তৎপর হয় বিএমসি। এর পরই একের পর এক টুইটে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেন কঙ্গনা। উদ্ধবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর টুইট ছিল, ‘‘আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে।’’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎসিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করলেন কঙ্গনা রানাউত

Update Time : ০২:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

নিজের কর্মস্থল মুম্বাইতে নিরাপদবোধ করছেন না। সুশান্ত সিংহ রাজপুত-কাণ্ডে মুখ খোলার জন্যই তাকে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। তাকে নিশানা করা হচ্ছে। উদ্ধব সরকারের নামোল্লেখ না করেও একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ কঙ্গনা রানাউতের।

মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইটা আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন কঙ্গনা রানাউত। রবিবার বিকেলে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎসিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করলেন তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন বোন রঙ্গোলি রানাউতও। মুম্বাইয়ের পালি হিলে কঙ্গনার অফিসের একাংশ ভাঙা এবং তা ঘিরে তীব্র সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের মুখ্য পরামর্শদাতা অজয় মেহতাকে তলব করেছিলেন কোশিয়ারি।

সেই বৈঠকে কঙ্গনার মতোই কোশিয়ারিও মত ছিল, পালি হিলের অফিসের একাংশ ‘অবৈধ’ নয়। তবে মুম্বাই পুরসভা নিজের যুক্তিতে অনড় থেকেছে। ফলে এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর ফের কঙ্গনার হাত শক্ত হতে চলেছে, তা মনে করছেন অনেকে।

যদিও রাজ্যপালের সঙ্গে কঙ্গনার ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, তা সবিস্তার উল্লেখ না করলেও বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উদ্ধব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। কঙ্গনার দাবি, ‘‘সুশান্ত-কাণ্ডে মুখ খোলার জন্যই আমাকে নিশানা করা হচ্ছে। হেনস্থা করা হচ্ছে আমাকে। আমি এখানে নিরাপদ নই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘মুম্বাই আমার কর্মস্থল। আমাকে এখান থেকে উপড়ে ফেলা যাবে না।’’

পাশাপাশি, কঙ্গনা জানিয়েছেন, নিজের প্রতি অবিচারের কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তিনি। তার কথায়, ‘‘কী রকম অন্যায়-অবিচারের শিকার হতে হয়েছে, তা (রাজ্যপালকে) জানিয়েছি। রাজ্যপাল নিজের মেয়ের মতো আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন। আশা করি, সুবিচার পাব, যাতে এই সিস্টেমের উপর সমস্ত নাগরিকের পাশাপাশি কমবয়সি মেয়েদেরও আস্থা ফিরে আসবে।’’

রাজ্যপালের পাশাপাশি পুরনো ‘শত্রু’ করণী সেনাকেও পাশে পেয়েছেন কঙ্গনা। পুরনো ‘শত্রুতা’ ভুলে কঙ্গনা রানাউতের পক্ষে তারা মুখ খুলেছিল আগেই। এ বার কঙ্গনাকে যাবতীয় সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিলেন করণী সেনার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা। মহারাষ্ট্র সরকার বনাম কঙ্গনা রানাউতের ‘দ্বন্দ্বে’ তারা যে অভিনেতার দিকেই ঝুঁকে রয়েছেন, তা-ও ফের স্পষ্ট করল করণী সেনা। এ দিন মুম্বাইয়ে কঙ্গনার বাড়িতে গিয়ে ওই কট্টরপন্থী সংগঠনের আশ্বাস, শহরে তার নিরাপত্তার দিকেও খেয়াল রাখবেন তারা।

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরই মুম্বাই পুলিশ তথা মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব কঙ্গনা। মুম্বইকে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ বলে তোপও দেগেছেন তিনি। তার পরই ‘প্রতিঘাত’ শুরু করে উদ্ধব ঠাকরে সরকার। কঙ্গনাকে মুম্বাইতে পা রাখতে দেবেন না বলে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। ঘটনাচক্রে, এর পরই গত ৯ সেপ্টেম্বর কঙ্গনার পালি হিলের অফিসের ‘অবৈধ’ নির্মাণ ভাঙতে শুরু করেছিল শিবসেনা পরিচালিত বৃহন্মুম্বই পুরসভা (বিএমসি)। কঙ্গনার আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাতে স্থগিতাদেশ দিলেও উদ্ধব সরকারের সঙ্গে অভিনেতার সঙ্ঘাত-বিরতি হয়নি। বরং তা আরও তীব্র মাত্রা পায়। এর পর খারে কঙ্গনার ফ্ল্যাটের ‘বেআইনি’ অংশ ভাঙতে তৎপর হয় বিএমসি। এর পরই একের পর এক টুইটে উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার শুরু করেন কঙ্গনা। উদ্ধবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর টুইট ছিল, ‘‘আজ আমার ঘর ভেঙেছে, কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে।’’