অনেকের সাথে মহাকাশযানের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ব্লু অরিজিনের মালিক জেফ বেজোস। পৃথিবীতে স্বাগত জানান মহাকাশ ঘুরে আসা ছয় নারীকে। প্রথম বের হয়ে আসেন বেজোসের বাগদত্তা লরেন সানচেজ। এরপর বের হন পপতারকা কেটি পেরি। বেরিয়ে হাতে থাকা ডেইজি ফুলটি তুলে ধরেন আকাশে। এরপর চুমু খান মাটিতে। মহাকাশ থেকে পৃথিবীর রূপ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ছয় ভ্রমণকারী।
১১ মিনিটের ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন তাঁরা। ১৯৬৩ সালে ভ্যালেন্তিনা তেরেসকোভার পর এই প্রথম নারীদের দল নিয়ে মহাকাশ ভ্রমণ করে এলেন। বিবিসি জানিয়েছে, এনএস ৩১ নামের এই মিশনটির ব্যবস্থা করে জেফ বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিন।
মহাকাশ ভ্রমণ করা ছয় নারী হচ্ছেন, পপতারকা কেটি পেরি, লরেন সানচেজ, সাংবাদিক গেইল কিং, নাসার প্রকৌশলী আয়েশা বোয়ে, মানবাধিকার কর্মী আমান্ডা নুয়েন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক কেরিয়ান ফ্লিন।
সাংবাদিকদের লরেন সানচেজ বলেন, ‘মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে শান্ত ও সজীব দেখাচ্ছিল।’ কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমরা একটাই পৃথিবী পেয়েছি। ওকে রক্ষা করতে হবে।’
নিজের চার বছর বয়সী সন্তান ডেইজির জন্যই মহাকাশে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন কেটি পেরি। সঙ্গে করে নিয়েছিলেন একটা ডেইজি ফুল। যা পুরোটা সময় তাঁর হাতে ছিল। ফিরে আসার পরও ফুলটি হাতে নিয়েই চুমু খেয়েছেন পৃথিবীর মাটিতে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডেইজি ফুল কষ্ট সহ্য করে আবারও নিজের জীবনে ফিরে আসতে পারে। এতে ঈশ্বরের হাসি দেখা যায়।’ মা হওয়ার অভিজ্ঞতার পর এই মহাকাশ ভ্রমণই তাঁর জীবনের দ্বিতীয় সেরা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ব্লু অরিজিনের উড্ডয়নক্ষেত্র থেকে উৎক্ষেপন করা হয় নিউ শেপার্ড মহাকাশযান। এটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে ৩ মিনিটের মত অবস্থান করে। ওই সময় অবস্থান ও আসা যাওয়ার সময় ক্যাপসুলের বড় জানালা দিয়ে পৃথিবীকে দেখেন ছয় যাত্রী। এতে কোনো চালক ছিল না।