Dhaka ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সব সময় ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০
  • ২১৫ Time View

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সব সময় ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।

রাষ্ট্রপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বানীতে এ কথা বলেন।

মো. আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এক অবিস্মরণীয় নাম। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধেী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়।

তিনি বলেন, তাঁর (ভাসানী) নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। ‘তেভাগা’ ও ‘লাঙল যার জমি তার’ আন্দোলনসহ তিনি অধিকার বঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থ
রক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাঁকে কখনো আবিস্ট করতে পারেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে একজন মানুষ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সব সময় ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন

Update Time : ১২:৫৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর ২০২০

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সব সময় ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেন।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন।

রাষ্ট্রপতি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বানীতে এ কথা বলেন।

মো. আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এক অবিস্মরণীয় নাম। ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধেী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়।

তিনি বলেন, তাঁর (ভাসানী) নেতৃত্বের ভিত্তি ছিল সমাজে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ, কৃষক-শ্রমিক-সাধারণ জনগণ। ‘তেভাগা’ ও ‘লাঙল যার জমি তার’ আন্দোলনসহ তিনি অধিকার বঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থ
রক্ষায় নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন।

তিনি বলেন, ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাঁকে কখনো আবিস্ট করতে পারেনি। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে একজন মানুষ।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা করেন।