Dhaka ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বড় শঙ্কা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৭ Time View

বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানির সুবিধাসংক্রান্ত ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিল করেছে ভারত। এর ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্যে নয়া শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এ ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এটি বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুনের এক আদেশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বা ক্লোজ-বডি ট্রাক ভারতীয় স্থল কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করে সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের পথে পাঠানো যেত, সেটি এখন বাতিল করা হয়েছে।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রভাব

ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব বাণিজ্য ভারতের অবকাঠামো ব্যবহার করে সম্পন্ন হতো। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) বলছে, এখন থেকে এই সুবিধা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। যদিও পূর্বে প্রবেশ করা পণ্যবাহী যানবাহন বিদ্যমান নিয়মে ভারত ত্যাগ করতে পারবে।

জিটিআরআইর প্রধান এবং সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য একতরফাভাবে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়ে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের লালমনিরহাটে চীনের সহায়তায় একটি বিমানঘাঁটি পুনর্জীবিত করার পরিকল্পনা এবং চিকেন নেক করিডোরের নিকটে একটি কৌশলগত ঘাঁটি তৈরির প্রচেষ্টা এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।

ডব্লিউটিওর নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে কি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তুলতে পারে। ডব্লিউটিওর গ্যাট ১৯৯৪-এর ধারা ৫ অনুযায়ী, সব সদস্য দেশকে স্থলবেষ্টিত দেশের পণ্যের মুক্ত ট্রানজিট সুবিধা দিতে হয়। ট্রানজিটে দেরি করা, অপ্রয়োজনীয় বাধা সৃষ্টি করা কিংবা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা নিষিদ্ধ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের নতুন সিদ্ধান্ত, আঞ্চলিক বাণিজ্যে বড় শঙ্কা

Update Time : ১২:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের জন্য ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে রপ্তানির সুবিধাসংক্রান্ত ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিল করেছে ভারত। এর ফলে আঞ্চলিক বাণিজ্যে নয়া শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার (০৯ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের এ ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থাটি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এটি বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ জুনের এক আদেশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বা ক্লোজ-বডি ট্রাক ভারতীয় স্থল কাস্টম স্টেশন ব্যবহার করে সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের পথে পাঠানো যেত, সেটি এখন বাতিল করা হয়েছে।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের প্রভাব

ভারতের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রপ্তানি ও আমদানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব বাণিজ্য ভারতের অবকাঠামো ব্যবহার করে সম্পন্ন হতো। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) বলছে, এখন থেকে এই সুবিধা সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হয়েছে। যদিও পূর্বে প্রবেশ করা পণ্যবাহী যানবাহন বিদ্যমান নিয়মে ভারত ত্যাগ করতে পারবে।

জিটিআরআইর প্রধান এবং সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ভারত গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য একতরফাভাবে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়ে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশের লালমনিরহাটে চীনের সহায়তায় একটি বিমানঘাঁটি পুনর্জীবিত করার পরিকল্পনা এবং চিকেন নেক করিডোরের নিকটে একটি কৌশলগত ঘাঁটি তৈরির প্রচেষ্টা এই সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।

ডব্লিউটিওর নিয়ম লঙ্ঘন হচ্ছে কি?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভারতের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দায়বদ্ধতার প্রশ্ন তুলতে পারে। ডব্লিউটিওর গ্যাট ১৯৯৪-এর ধারা ৫ অনুযায়ী, সব সদস্য দেশকে স্থলবেষ্টিত দেশের পণ্যের মুক্ত ট্রানজিট সুবিধা দিতে হয়। ট্রানজিটে দেরি করা, অপ্রয়োজনীয় বাধা সৃষ্টি করা কিংবা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা নিষিদ্ধ।