Dhaka ০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না,ছিলেন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’-ওবায়দুল কাদের

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
  • ১৩২ Time View

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গমাতা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’

আজ শনিবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শুধু বাঙালির জাতির পিতা আর বাংলাদেশের স্রষ্টাই হননি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী ও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের সঙ্গে বিশ্বের আরেক খ্যাতিমান নারী এলিনর রুজেভেল্টের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, এলিনর রুজেভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রের চারবার নির্বাচিত ও দীর্ঘকালীন সময়ের প্রেসিডেন্ট ফ্রন্কলিন ডি রুজেভেল্টের স্ত্রী। বেগম মুজিব আর এলিনর রুজেভেল্ট দুজনেই শৈশবে তাদের বাবা – মাকে হারিয়েছিলেন। দুজনেই তাদের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন আর দুজনেই তাদের স্বামীর রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে তাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একটা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছিলো, আর এলিনর রুজেভেল্টে তা হয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক অর্থাৎ ৭ মার্চের ভাষণের আগমূহুর্তে বঙ্গমাতাই জাতির পিতাকে চূড়ান্ত অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী মহীয়সী নারী, দেশের স্বাধীনতাসহ সকল গৌরব অর্জনের নেপথ্য প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা মুজিব।

এরআগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে যুব লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।

এরপর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের এদিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে নিহত হন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

‘বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না,ছিলেন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’-ওবায়দুল কাদের

Update Time : ০৭:১৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বঙ্গমাতা মুজিব বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহযোদ্ধা।’

আজ শনিবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে শুধু বাঙালির জাতির পিতা আর বাংলাদেশের স্রষ্টাই হননি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী ও বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সহযোদ্ধা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা বেগম মুজিবের সঙ্গে বিশ্বের আরেক খ্যাতিমান নারী এলিনর রুজেভেল্টের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে, এলিনর রুজেভেল্ট যুক্তরাষ্ট্রের চারবার নির্বাচিত ও দীর্ঘকালীন সময়ের প্রেসিডেন্ট ফ্রন্কলিন ডি রুজেভেল্টের স্ত্রী। বেগম মুজিব আর এলিনর রুজেভেল্ট দুজনেই শৈশবে তাদের বাবা – মাকে হারিয়েছিলেন। দুজনেই তাদের চাচাতো ভাইকে বিয়ে করেছিলেন আর দুজনেই তাদের স্বামীর রাজনীতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন। তবে তাদের দুজনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব একটা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছিলো, আর এলিনর রুজেভেল্টে তা হয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাক অর্থাৎ ৭ মার্চের ভাষণের আগমূহুর্তে বঙ্গমাতাই জাতির পিতাকে চূড়ান্ত অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী মহীয়সী নারী, দেশের স্বাধীনতাসহ সকল গৌরব অর্জনের নেপথ্য প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা মুজিব।

এরআগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে যুব লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।

এরপর দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের এদিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে তিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে নিহত হন।