Dhaka ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার শিবগঞ্জে আটককৃত মাদক বিক্রির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার সার্কেলকে বরিশাল রেঞ্জে বদলী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৩:২৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
  • ৯৭ Time View

ক্রাইম রিপোর্টার:

বগুড়ার মোকামতলায় ২৪৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে সেখান থেকে ৮৮ বোতল বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমান পাওয়ায় মোকামতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও একজন সাব ইন্সপেক্টরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও দায়িত্ব অবহেলা করার কারনে শিবগঞ্জ সার্কেল এএসপি মোঃ আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকে বরিশাল রেঞ্জে স্ট্যান্ড রিলিজ (বদলী) করা হয়েছে।

যাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন, শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহিন উজ্জামান ও ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা। বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল রাতে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশী করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। চেকপোস্টে নেতৃত্ব দেন শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য জানান, যানবাহন তল্লাশীকালে গত ৩ এপ্রিল ঢাকাগামী খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন নামে কোচ থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়। এঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।( মামলা নং- ৪ ও ৫, তারিখ-০৪-০৪-২১) পিংকি পরিবহন থেকে উদ্ধারকৃত ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলের স্থলে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেয়া হয়। বাকী ৮৮ বোতল ফেন্সিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা দুটি ডিবিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। এছাড়াও তিনি গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেন্সিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার স্বাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর আজ বুধবার বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইঁয়া বিপিএম বার তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ আব্দুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও একজন সাব ইন্সপেক্টরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং সহকারী পুলিশ সুপার শিবগঞ্জ সার্কেলকে বরিশাল রেঞ্জে বদলী করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বগুড়ার শিবগঞ্জে আটককৃত মাদক বিক্রির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার সার্কেলকে বরিশাল রেঞ্জে বদলী

Update Time : ০৩:২৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

ক্রাইম রিপোর্টার:

বগুড়ার মোকামতলায় ২৪৮ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে সেখান থেকে ৮৮ বোতল বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমান পাওয়ায় মোকামতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও একজন সাব ইন্সপেক্টরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও দায়িত্ব অবহেলা করার কারনে শিবগঞ্জ সার্কেল এএসপি মোঃ আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকে বরিশাল রেঞ্জে স্ট্যান্ড রিলিজ (বদলী) করা হয়েছে।

যাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা হলেন, শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শাহিন উজ্জামান ও ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদী উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা। বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল রাতে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশী করেন মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা। চেকপোস্টে নেতৃত্ব দেন শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য জানান, যানবাহন তল্লাশীকালে গত ৩ এপ্রিল ঢাকাগামী খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন নামে কোচ থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়। এঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।( মামলা নং- ৪ ও ৫, তারিখ-০৪-০৪-২১) পিংকি পরিবহন থেকে উদ্ধারকৃত ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিলের স্থলে ১১০ বোতল জব্দ দেখিয়ে সাইফুলের নামে মামলা দেয়া হয়। বাকী ৮৮ বোতল ফেন্সিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার মামলা দুটি ডিবিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। এছাড়াও তিনি গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেন্সিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার স্বাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর আজ বুধবার বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইঁয়া বিপিএম বার তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোঃ আব্দুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও একজন সাব ইন্সপেক্টরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং সহকারী পুলিশ সুপার শিবগঞ্জ সার্কেলকে বরিশাল রেঞ্জে বদলী করা হয়েছে।