Dhaka ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ার নন্দীগ্রামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৭৬৩৪ পরিবার সুবিধা পাচ্ছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০
  • ১৬৫ Time View

টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম,বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৭৬৩৪ পরিবার সুবিধা পাচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ব্যাপকভাবে যাচাই বাছাই করে ৫ ইউনিয়নে ৭৬৩৪ পরিবারকে কার্ড দেয়া হয়েছে।

তারা সবাই গরীব, হতদরিদ্র ও অসচ্ছল। এরা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গরীব, হতদরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের কথা ভেবে এ কর্মসূচি চালু করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের নির্দেশনায় করোনাকালীন সময়ে শতভাগ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড পরিবর্তন করে ভোক্তাদের হাতে নতুন কার্ড দেয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান বলেন, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘মুজিব বর্ষের লগো’ সম্বলিত রঙ্গিন নতুন কার্ড ভোক্তাদের হাতে দেয়া হয়েছে। বিদ্যমান তালিকা থেকে মৃত, সচ্ছল, ভুয়া ও সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে ইউনিয়ন ভিক্তিক সংশোধিত তালিকা করে নতুন কার্ড তৈরী করা হয়। এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সাথে যারা সার্বক্ষণিক শ্রম ও সময় দিয়েছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নে ১৭৬৩, ২নং নন্দীগ্রাম ইউনিয়নে ৯৯২, ৩নং ভাটরা ইউনিয়নে ১৫৮৫, ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নে ১৫৭২ ও ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নে ১৭২২ পরিবারকে কার্ড দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার নিজে উপস্থিত থেকে এ কার্ড বিতরণ করেন। কার্ড বিতরণের পর ভোক্তারা ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে অনেকটা খুশি হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তা হাটকড়ই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার পরিবারে ৪ জন সদস্য রয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে আমি উপকৃত হয়েছি। এখন আর কেউ না খেয়ে মরবে না। একই গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য রয়েছে। আমিও ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে খুশি হয়েছি। নিনগ্রামের ঝরনা বেগম বলেন, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করি। এখন ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে অনেকটা ভালো আছি। শেখ হাসিনা সরকার আমাদের দিকে লক্ষ্য রেখেছে এজন্য আমরা শেখ হাসিনাকে দোয়া করি। এ সরকার থাকলে দেশের মানুষ সবসময় ভালো থাকবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

বগুড়ার নন্দীগ্রামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৭৬৩৪ পরিবার সুবিধা পাচ্ছে

Update Time : ১২:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০২০

টিপু সুলতান,নন্দীগ্রাম,বগুড়া:

বগুড়ার নন্দীগ্রামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৭৬৩৪ পরিবার সুবিধা পাচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ব্যাপকভাবে যাচাই বাছাই করে ৫ ইউনিয়নে ৭৬৩৪ পরিবারকে কার্ড দেয়া হয়েছে।

তারা সবাই গরীব, হতদরিদ্র ও অসচ্ছল। এরা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গরীব, হতদরিদ্র ও অসচ্ছল মানুষের কথা ভেবে এ কর্মসূচি চালু করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতারের নির্দেশনায় করোনাকালীন সময়ে শতভাগ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড পরিবর্তন করে ভোক্তাদের হাতে নতুন কার্ড দেয়া হয়। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান বলেন, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘মুজিব বর্ষের লগো’ সম্বলিত রঙ্গিন নতুন কার্ড ভোক্তাদের হাতে দেয়া হয়েছে। বিদ্যমান তালিকা থেকে মৃত, সচ্ছল, ভুয়া ও সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে ইউনিয়ন ভিক্তিক সংশোধিত তালিকা করে নতুন কার্ড তৈরী করা হয়। এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সাথে যারা সার্বক্ষণিক শ্রম ও সময় দিয়েছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ১নং বুড়ইল ইউনিয়নে ১৭৬৩, ২নং নন্দীগ্রাম ইউনিয়নে ৯৯২, ৩নং ভাটরা ইউনিয়নে ১৫৮৫, ৪নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নে ১৫৭২ ও ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নে ১৭২২ পরিবারকে কার্ড দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার নিজে উপস্থিত থেকে এ কার্ড বিতরণ করেন। কার্ড বিতরণের পর ভোক্তারা ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে অনেকটা খুশি হয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তা হাটকড়ই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার পরিবারে ৪ জন সদস্য রয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে আমি উপকৃত হয়েছি। এখন আর কেউ না খেয়ে মরবে না। একই গ্রামের আব্দুর রহমান বলেন, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য রয়েছে। আমিও ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে খুশি হয়েছি। নিনগ্রামের ঝরনা বেগম বলেন, আমার পরিবারে ৬ জন সদস্য নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করি। এখন ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করতে পেরে অনেকটা ভালো আছি। শেখ হাসিনা সরকার আমাদের দিকে লক্ষ্য রেখেছে এজন্য আমরা শেখ হাসিনাকে দোয়া করি। এ সরকার থাকলে দেশের মানুষ সবসময় ভালো থাকবে।