Dhaka ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাবেন ২৬ মার্চ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • 68

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী ২৬ মার্চ রাতে চীন সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সফর চলাকালীন বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ২৮ মার্চ তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৫ থেকে ২৮ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপরই তিনি সেখান থেকে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য বেইজিং যাবেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে আরও জানা যায়, সপ্তাহখানেক ধরে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন এই সফরের আয়োজন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত সফরসূচি এবং আলোচ্যসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সম্প্রতি বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার মহাসচিব ঝ্যাং জুন ২৫ দেশের জোট বিএফএর সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। ওই সময় দুই দেশের সম্পর্কের পাঁচ দশক পূর্তিতে আগামী মার্চে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বেইজিং সফরে নিতে চায় চীন।

প্রধান উপদেষ্টাকে বেইজিং সফরে নিতে চীনের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজ পাঠানোর বিষয়টিও বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ওই দিন বিকেলে বেইজিং রওনা হতে পারেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেক্ষেত্রে হাইনান থেকে বেইজিংয়ের দূরত্বের কারণে ভাড়া করা উড়োজাহাজে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের আয়োজন করা হতে পারে। তাতে চীনের প্রস্তাব অনুযায়ী সে দেশের পাঠানো উড়োজাহাজে প্রধান উপদেষ্টা সফর করতে পারেন।

বিএফএ এশিয়াসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থার এই ফোরামে বিভিন্ন দেশের নেতা, শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা ও শিক্ষাবিদেরা অংশ নিয়ে থাকেন। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে এশিয়া: একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের পথে’। যেখানে উন্নয়ন, সংলাপকে উৎসাহ প্রদান, উদ্ভাবনী বিন্যাস অন্বেষণ এবং বাস্তব ফলাফলের মূল্যায়নের মতো বিষয়গুলোয় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যার অভীষ্ট লক্ষ্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সহযোগিতার বিকাশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

প্রধান উপদেষ্টা চীন সফরে যাবেন ২৬ মার্চ

Update Time : ০৮:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আগামী ২৬ মার্চ রাতে চীন সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সফর চলাকালীন বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে ২৮ মার্চ তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৫ থেকে ২৮ মার্চ চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠেয় বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপরই তিনি সেখান থেকে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য বেইজিং যাবেন।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে আরও জানা যায়, সপ্তাহখানেক ধরে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন এই সফরের আয়োজন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে চূড়ান্ত সফরসূচি এবং আলোচ্যসূচি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

সম্প্রতি বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার মহাসচিব ঝ্যাং জুন ২৫ দেশের জোট বিএফএর সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। ওই সময় দুই দেশের সম্পর্কের পাঁচ দশক পূর্তিতে আগামী মার্চে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বেইজিং সফরে নিতে চায় চীন।

প্রধান উপদেষ্টাকে বেইজিং সফরে নিতে চীনের পক্ষ থেকে উড়োজাহাজ পাঠানোর বিষয়টিও বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ওই দিন বিকেলে বেইজিং রওনা হতে পারেন মুহাম্মদ ইউনূস। সেক্ষেত্রে হাইনান থেকে বেইজিংয়ের দূরত্বের কারণে ভাড়া করা উড়োজাহাজে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের আয়োজন করা হতে পারে। তাতে চীনের প্রস্তাব অনুযায়ী সে দেশের পাঠানো উড়োজাহাজে প্রধান উপদেষ্টা সফর করতে পারেন।

বিএফএ এশিয়াসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বেসরকারি ও অলাভজনক সংস্থার এই ফোরামে বিভিন্ন দেশের নেতা, শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা ও শিক্ষাবিদেরা অংশ নিয়ে থাকেন। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে এশিয়া: একটি অভিন্ন ভবিষ্যতের পথে’। যেখানে উন্নয়ন, সংলাপকে উৎসাহ প্রদান, উদ্ভাবনী বিন্যাস অন্বেষণ এবং বাস্তব ফলাফলের মূল্যায়নের মতো বিষয়গুলোয় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যার অভীষ্ট লক্ষ্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং সহযোগিতার বিকাশ।