Dhaka ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
‘ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’ ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেটের ঘোষণা আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে : আলী রীয়াজ ট্রাম্প-জিনপিং তৈরি করবে না, মোদিও ধাক্কা দিয়ে কিছু করতে পারবে না রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান যাতে ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ ইন্টারপোলে শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন বিচার-সংস্কার-গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামছে এনসিপি

পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • ১৩৮ Time View

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সোমেন মিত্র মারা গেছেন। বুধবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি কয়েক সপ্তাহ কিডনি এবং হার্ট এর সমস্যা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ছিলেন। সেখানেই শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়িকা শিখা মিত্র ও যুব কংগ্রেস নেতা পুত্র রোহানকে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালেই তাঁর হৃদযন্ত্রে পেস মেকার বসানো হয়েছিল। কিডনি সমস্যায় ভোগার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পেসমেকার বদলে দেয়া হবে। সেই সুযোগ তাঁরা আর পেলেন না। সোমেন মিত্র দীর্ঘদিন শিয়ালদহ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।

আটের দশকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ নিয়ে তাঁর ও মমতা বন্দোপাধ্যায় এর নির্বাচনী লড়াই এপিক আখ্যা পায়। ঐ নির্বাচনে সোমেন জেতেন। দুহাজার সাত – আট সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গড়েন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দোপাধ্যায় এর আমন্ত্রণে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন ও ডায়মন্ডহারবার থেকে সাংসদ হন। ২০১৪তে তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। ২০১৮ সালে তিনি রাজ্য কংগ্রেস এর সভাপতি হন। রাজ্য রাজনীতিতে ৭৮ বছরের সোমেনবাবু ছোড়দা নামেই পরিচিত ছিলেন। ফুটবল অত্যান্ত ভালোবাসতেন সোমেন বাবু। চারবছর অন্তর বিশ্বকাপ ফুটবল এর আসরে তাঁর যাওয়াটা ছিল বাধ্যতামূলক। কলকাতার এক সাংবাদিক তাঁর জন্যে হোটেল বুক করে রাখতেন। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায় থেকে আর এক নেতা বুয়া চক্রবর্তীকে সঙ্গে করে সোমেন মিত্র পৌঁছে যেতেন আমেরিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপানে। ঘটা করে কালীপুজো করতেন আমহার্স্ট স্ট্রিট এ, যে আমহার্স্ট স্ট্রিট বহুদিন বঙ্গ রাজনীতির ভরকেন্দ্র ছিল।

সোমেন মিত্র’র প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক মহলে যে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল তা বলাই বাহুল্য।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

‘ওয়ারেন্টি দিচ্ছি, দেশের মানুষ নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে বাঁচবে’

পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ

Update Time : ০৫:৫৫:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সোমেন মিত্র মারা গেছেন। বুধবার গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। তিনি কয়েক সপ্তাহ কিডনি এবং হার্ট এর সমস্যা নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ছিলেন। সেখানেই শেষ নিঃস্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, প্রাক্তন বিধায়িকা শিখা মিত্র ও যুব কংগ্রেস নেতা পুত্র রোহানকে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালেই তাঁর হৃদযন্ত্রে পেস মেকার বসানো হয়েছিল। কিডনি সমস্যায় ভোগার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পেসমেকার বদলে দেয়া হবে। সেই সুযোগ তাঁরা আর পেলেন না। সোমেন মিত্র দীর্ঘদিন শিয়ালদহ কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।

আটের দশকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ নিয়ে তাঁর ও মমতা বন্দোপাধ্যায় এর নির্বাচনী লড়াই এপিক আখ্যা পায়। ঐ নির্বাচনে সোমেন জেতেন। দুহাজার সাত – আট সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গড়েন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দোপাধ্যায় এর আমন্ত্রণে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন ও ডায়মন্ডহারবার থেকে সাংসদ হন। ২০১৪তে তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। ২০১৮ সালে তিনি রাজ্য কংগ্রেস এর সভাপতি হন। রাজ্য রাজনীতিতে ৭৮ বছরের সোমেনবাবু ছোড়দা নামেই পরিচিত ছিলেন। ফুটবল অত্যান্ত ভালোবাসতেন সোমেন বাবু। চারবছর অন্তর বিশ্বকাপ ফুটবল এর আসরে তাঁর যাওয়াটা ছিল বাধ্যতামূলক। কলকাতার এক সাংবাদিক তাঁর জন্যে হোটেল বুক করে রাখতেন। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যায় থেকে আর এক নেতা বুয়া চক্রবর্তীকে সঙ্গে করে সোমেন মিত্র পৌঁছে যেতেন আমেরিকা, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপানে। ঘটা করে কালীপুজো করতেন আমহার্স্ট স্ট্রিট এ, যে আমহার্স্ট স্ট্রিট বহুদিন বঙ্গ রাজনীতির ভরকেন্দ্র ছিল।

সোমেন মিত্র’র প্রয়াণে বাংলার রাজনৈতিক মহলে যে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল তা বলাই বাহুল্য।