Dhaka ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • ৮৬ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো জোরদার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গত সাড়ে ১১ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। দেশের ৯৭.৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। আমরা দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য দেশের মতো বাংলাদেশে ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালন করা হবে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যতœ নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ’- কোভিড-১৯ জনিত পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্ততায় যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমাদের সরকার এ সংকটের শুরু থেকেই সর্বাত্মক প্রস্ততি ও কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে এই বৈশ্বিক মহামারিতেও আমরা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, কৃষিতে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে আমরা করোনা পরিস্থিতিতেও ঘূর্ণিঝড় আম্পান, বন্যা প্রভৃতি অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি দক্ষভাবে মোকাবিলা করে কৃষি উৎপাদনের সফল ধারা অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কোন খাদ্য সংকট হয়নি, কারণ-পর্যাপ্ত মজুদের ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিল্প স্থাপনে যাতে কৃষি জমি নষ্ট না হয়, সে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১১ বছরে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। যেগুলোর মাঝে কয়েক দফায় সার, বীজসহ বিভিন্ন কষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের জন্য ঋণ ও প্রণোদনা সুবিধা সম্প্রসারণ, দশ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, কৃষি গবেষণায় অধিক বিনিয়োগের মাধ্যমে নিত্যনতুন জাত প্রযুক্তির উদ্ভাবন, কৃষি বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়ন, কৃষিযন্ত্রকে সুলভ ও সম্প্রসারিত করা, বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান অন্যতম।

ফলে বাংলাদেশের কৃষিতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে। বৃহত্তর কৃষির আঙ্গিনায় মাঠ ফসল, ফলমূল, শাকসবজির পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ। সরকার এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহবান

Update Time : ১২:০৬:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণের প্রচেষ্টায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো জোরদার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা গত সাড়ে ১১ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। দেশের ৯৭.৫ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। আমরা দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য দেশের মতো বাংলাদেশে ১৬ অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ পালন করা হবে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সবাইকে নিয়ে একসাথে বিকশিত হোন, শরীরের যতœ নিন, সুস্থ থাকুন। আমাদের কর্মই আমাদের ভবিষ্যৎ’- কোভিড-১৯ জনিত পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্ততায় যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমাদের সরকার এ সংকটের শুরু থেকেই সর্বাত্মক প্রস্ততি ও কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে এই বৈশ্বিক মহামারিতেও আমরা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, কৃষিতে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে আমরা করোনা পরিস্থিতিতেও ঘূর্ণিঝড় আম্পান, বন্যা প্রভৃতি অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি দক্ষভাবে মোকাবিলা করে কৃষি উৎপাদনের সফল ধারা অক্ষুন্ন রাখতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কোন খাদ্য সংকট হয়নি, কারণ-পর্যাপ্ত মজুদের ব্যবস্থা আমরা রেখেছি। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সে জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিল্প স্থাপনে যাতে কৃষি জমি নষ্ট না হয়, সে নির্দেশনাও প্রদান করা হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সাড়ে ১১ বছরে কৃষি উন্নয়নে কৃষিবান্ধব নীতি ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। যেগুলোর মাঝে কয়েক দফায় সার, বীজসহ বিভিন্ন কষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের জন্য ঋণ ও প্রণোদনা সুবিধা সম্প্রসারণ, দশ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, কৃষি গবেষণায় অধিক বিনিয়োগের মাধ্যমে নিত্যনতুন জাত প্রযুক্তির উদ্ভাবন, কৃষি বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়ন, কৃষিযন্ত্রকে সুলভ ও সম্প্রসারিত করা, বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা প্রদান অন্যতম।

ফলে বাংলাদেশের কৃষিতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে। বৃহত্তর কৃষির আঙ্গিনায় মাঠ ফসল, ফলমূল, শাকসবজির পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষ উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ। সরকার এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।