Dhaka ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থ্যালাসেমিয়া রোগনিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই – প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • ৯৩ Time View

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া রোগনিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়ের জন্য রক্তপরীক্ষা করে রোগটি সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।

এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা ও তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বৈষম্য মোকাবিলা’ -যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রক্তশূন্যতাজনিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৯০ শতাংশ জন্ম নেয় নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশসমূহে। দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে বেশিরভাগ শিশুই পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া রোগী ও পরিবার উভয়ই সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ এইচপিএনএসপি’র আওতায় ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট সেন্টার গঠন করেছে। এই সেন্টারসমূহে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইনস অন থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট ফর ফিজিশিয়ানস’ অনুযায়ী রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রেজিস্ট্রেশন করে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি’ থেকে আমরা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করছি।’

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতিমাসে এক থেকে দুইব্যাগ রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে রক্তের ৩০ শতাংশ চাহিদা মেটে, যার ফলে রোগীদের জন্য রক্তের অভাব বিরাজমান। তিনি দেশের যুবসমাজকে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২১’ – এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

থ্যালাসেমিয়া রোগনিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই – প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১০:০২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থ্যালাসেমিয়া রোগনিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয়ের জন্য রক্তপরীক্ষা করে রোগটি সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।

এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা ও তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বব্যাপী থ্যালাসেমিয়া রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য বৈষম্য মোকাবিলা’ -যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি মারাত্মক রক্তশূন্যতাজনিত রোগ। এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বিশ্বে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৯০ শতাংশ জন্ম নেয় নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশসমূহে। দারিদ্র্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে বেশিরভাগ শিশুই পর্যাপ্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়া রোগী ও পরিবার উভয়ই সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চতুর্থ এইচপিএনএসপি’র আওতায় ৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট সেন্টার গঠন করেছে। এই সেন্টারসমূহে ‘ন্যাশনাল গাইডলাইনস অন থ্যালাসেমিয়া ম্যানেজমেন্ট ফর ফিজিশিয়ানস’ অনুযায়ী রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হবে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের রেজিস্ট্রেশন করে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ‘ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি’ থেকে আমরা থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করছি।’

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের প্রতিমাসে এক থেকে দুইব্যাগ রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে রক্তের ৩০ শতাংশ চাহিদা মেটে, যার ফলে রোগীদের জন্য রক্তের অভাব বিরাজমান। তিনি দেশের যুবসমাজকে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ২০২১’ – এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।