Dhaka ০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডায়মন্ড হারবারে সমাজকর্মীর অকাল প্রয়াণ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:২৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
  • ১৯৪ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ভারত:

আজ ভোরের আলো ফোটার মুহূর্তে চিরবিদায় নিলেন অপরেশ হালদার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

তিনি ছিলেন ডায়মন্ডহারবার এলাকার অবহেলিত মানুষের নিষ্ঠাবান প্রতিনিধি। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপের মধ্যে তার জীবন অতিবাহিত হলেও তিনি ডায়মন্ডহারবার মহকুমা চাষী কৈবর্ত (মাহিষ্য) সমাজের সভাপতি হিসেবে সমধিক সক্রিয় ছিলেন। তাঁর পরিবার ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের শরিক। শিক্ষার প্রসার ও সমাজ উন্নয়নে ছিল তাদের অপরিসীম অবদান। ডায়মন্ড হারবার ফকির চাঁদ কলেজ তাঁদের পরিবারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ডায়মন্ড হারবারের কামারপোল গ্রামে,বর্ধিষ্ণু হালদার পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা মনোরঞ্জন হালদার ছিলেন খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত। ৯২ বছরের মা এখনও জীবিত। আজ কনিষ্ঠ পুত্রের মুখে শেষ বারের মতো স্নেহের হাত বুলিয়ে দিলেন।এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখার জন্য এলাকার মানুষ প্রস্তুত ছিল না। মাত্র ৬০ বছরে তাঁর এই অকাল প্রয়াণে সারা জেলায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছাত্র জীবনে তিনি ফকির চাঁদ কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র নেতা নীহার রঞ্জন মণ্ডলের সঙ্গে সারা জেলায় ছাত্র রাজনীতিতে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। সম্প্রতি অবহেলিত অনগ্ৰসর শ্রেণীর মানুষের সেবা ও দাবি আদায়ের আন্দোলনে তাঁকে অগ্ৰণী ভূমিকা নিতে গেছে। তিনি ছিলেন অকৃতদার, ধর্মনিষ্ঠ ও আদ্যন্ত জাতীয়তাবাদী।

তাঁর অকাল প্রয়াণে ডায়মণ্ড হারবারবাসী হারালো তাদের ‌এক প্রিয়জনকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ডায়মন্ড হারবারে সমাজকর্মীর অকাল প্রয়াণ

Update Time : ০৪:২৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ভারত:

আজ ভোরের আলো ফোটার মুহূর্তে চিরবিদায় নিলেন অপরেশ হালদার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

তিনি ছিলেন ডায়মন্ডহারবার এলাকার অবহেলিত মানুষের নিষ্ঠাবান প্রতিনিধি। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যকলাপের মধ্যে তার জীবন অতিবাহিত হলেও তিনি ডায়মন্ডহারবার মহকুমা চাষী কৈবর্ত (মাহিষ্য) সমাজের সভাপতি হিসেবে সমধিক সক্রিয় ছিলেন। তাঁর পরিবার ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের শরিক। শিক্ষার প্রসার ও সমাজ উন্নয়নে ছিল তাদের অপরিসীম অবদান। ডায়মন্ড হারবার ফকির চাঁদ কলেজ তাঁদের পরিবারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ডায়মন্ড হারবারের কামারপোল গ্রামে,বর্ধিষ্ণু হালদার পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা মনোরঞ্জন হালদার ছিলেন খেলাধুলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত। ৯২ বছরের মা এখনও জীবিত। আজ কনিষ্ঠ পুত্রের মুখে শেষ বারের মতো স্নেহের হাত বুলিয়ে দিলেন।এই মর্মান্তিক দৃশ্য দেখার জন্য এলাকার মানুষ প্রস্তুত ছিল না। মাত্র ৬০ বছরে তাঁর এই অকাল প্রয়াণে সারা জেলায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ছাত্র জীবনে তিনি ফকির চাঁদ কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ছাত্র নেতা নীহার রঞ্জন মণ্ডলের সঙ্গে সারা জেলায় ছাত্র রাজনীতিতে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন। সম্প্রতি অবহেলিত অনগ্ৰসর শ্রেণীর মানুষের সেবা ও দাবি আদায়ের আন্দোলনে তাঁকে অগ্ৰণী ভূমিকা নিতে গেছে। তিনি ছিলেন অকৃতদার, ধর্মনিষ্ঠ ও আদ্যন্ত জাতীয়তাবাদী।

তাঁর অকাল প্রয়াণে ডায়মণ্ড হারবারবাসী হারালো তাদের ‌এক প্রিয়জনকে।