Dhaka ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

ছুটির দিনে রাজধানীতে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • ২৮ Time View

বছর ঘুরে আবার আসছে ঈদ। নিজের আর পরিবারের জন্য কেনাকাটা ঈদের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনতে সবাই ভিড় করছেন শাড়ি, থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক, পাঞ্জাবি, পায়জামা এবং টিশার্টসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল থেকেই ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর অধিকাংশ মার্কেটে।

সকাল থেকে নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে সকাল থেকেই মানুষজন ভিড় করছেন।  আর প্রতিটি মার্কেটই সাজানো হয়েছে।  ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন পোশাক, স্টাইলিশ জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ এবং সাজসজ্জার নানা উপকরণে দোকানগুলো ভরে উঠেছে।

পুরো এলাকার শপিং মল ও মার্কেটগুলোর প্রায় প্রতিটি দোকানেই ঈদ উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মানুষদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র।  সেখান থেকে মাইকে বিভিন্ন বিষয়ে ক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

গাউছিয়া, চাঁদনি চক ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখো গেছে, এলাকায় একসঙ্গে অনেকগুলো মার্কেট আর সব ধরনের পণ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে এখানে আসেন কেনাকাটা করতে। বিশেষত, যেকোনো উৎসব ঘিরে সেখানকার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকে।

নিউমার্কেটে আসা ফাহিমা আক্তার বলেন, প্রতি বছর নিজের পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য নিউমার্কেট থেকে কেনাকাটা করি। কিছুদিন পর ভিড় বেড়ে যাবে আরও। তাই এসেছি কেনাকাটা সেরে ফেললাম।

এদিকে, কেনাকাটার কথা মাথায় আসলেই নগরবাসী ছুটে চলেন বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, কৃষি মার্কেটে। তবে রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের এলাকা থেকে এসব পরিচিত মার্কেটে যাতায়াত অনেকটা ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। তাই যারা বাড্ডা, নতুন বাজার এলাকায় থাকেন তাদের কেনাকাটার জন্য সবচেয়ে ভালো আশপাশের মার্কেটগুলো।

শুধু মাত্র বাড্ডা এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু শপিংমল। এ ছাড়াও রয়েছে ছোট ছোট দোকান। এমনটি শপিংমলের আশপাশে ভাসমান ভ্যানে পাওয়া যাচ্ছে পোশাকসহ বাহারি সব পণ্য।

মধ্যবাড্ডা বাজার গলির মুখে অবস্থিত লুৎফুন শপিং কমপ্লেক্সে। এ মার্কেটের নিচতলা ও দোতলায় প্রায় আড়াইশ দোকান রয়েছে।  সেখানে কিছুটা ক্রেতাদের আনাগোনা কম। এখানে মূলত থ্রি-পিস, ওড়না, বোরখা, পাঞ্জাবি, শাড়ি, জুতা, জুয়েলারি বিক্রি হয়।  স্বল্প থেকে মাঝারি দামে সেগুলো কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

বিপণিবিতান ছাপিয়ে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে। সব বয়সীদের আনাগোনা দেখা গেছে ঢাকার গুলিস্তান এলাকার ফুটপাতগুলো যেন পরিণত হয়েছে ঈদ বাজারে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসেন উদ্দীন বলেন, পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের সরাসরি উপস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আর সাদা পোশাকধারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরাও নজর রাখছেন।  এখন পর্যন্ত কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি। 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ছুটির দিনে রাজধানীতে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

Update Time : ০৮:২১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

বছর ঘুরে আবার আসছে ঈদ। নিজের আর পরিবারের জন্য কেনাকাটা ঈদের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনতে সবাই ভিড় করছেন শাড়ি, থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক, পাঞ্জাবি, পায়জামা এবং টিশার্টসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতে। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল থেকেই ভিড় দেখা গেছে রাজধানীর অধিকাংশ মার্কেটে।

সকাল থেকে নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের জন্য কেনাকাটা করতে সকাল থেকেই মানুষজন ভিড় করছেন।  আর প্রতিটি মার্কেটই সাজানো হয়েছে।  ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন পোশাক, স্টাইলিশ জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ এবং সাজসজ্জার নানা উপকরণে দোকানগুলো ভরে উঠেছে।

পুরো এলাকার শপিং মল ও মার্কেটগুলোর প্রায় প্রতিটি দোকানেই ঈদ উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।  নিউমার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা মানুষদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র।  সেখান থেকে মাইকে বিভিন্ন বিষয়ে ক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে।

গাউছিয়া, চাঁদনি চক ও নিউমার্কেট ঘুরে দেখো গেছে, এলাকায় একসঙ্গে অনেকগুলো মার্কেট আর সব ধরনের পণ্য পাওয়ার সুবিধা থাকায় ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে এখানে আসেন কেনাকাটা করতে। বিশেষত, যেকোনো উৎসব ঘিরে সেখানকার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকে।

নিউমার্কেটে আসা ফাহিমা আক্তার বলেন, প্রতি বছর নিজের পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য নিউমার্কেট থেকে কেনাকাটা করি। কিছুদিন পর ভিড় বেড়ে যাবে আরও। তাই এসেছি কেনাকাটা সেরে ফেললাম।

এদিকে, কেনাকাটার কথা মাথায় আসলেই নগরবাসী ছুটে চলেন বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, চাঁদনি চক, কৃষি মার্কেটে। তবে রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের এলাকা থেকে এসব পরিচিত মার্কেটে যাতায়াত অনেকটা ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। তাই যারা বাড্ডা, নতুন বাজার এলাকায় থাকেন তাদের কেনাকাটার জন্য সবচেয়ে ভালো আশপাশের মার্কেটগুলো।

শুধু মাত্র বাড্ডা এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু শপিংমল। এ ছাড়াও রয়েছে ছোট ছোট দোকান। এমনটি শপিংমলের আশপাশে ভাসমান ভ্যানে পাওয়া যাচ্ছে পোশাকসহ বাহারি সব পণ্য।

মধ্যবাড্ডা বাজার গলির মুখে অবস্থিত লুৎফুন শপিং কমপ্লেক্সে। এ মার্কেটের নিচতলা ও দোতলায় প্রায় আড়াইশ দোকান রয়েছে।  সেখানে কিছুটা ক্রেতাদের আনাগোনা কম। এখানে মূলত থ্রি-পিস, ওড়না, বোরখা, পাঞ্জাবি, শাড়ি, জুতা, জুয়েলারি বিক্রি হয়।  স্বল্প থেকে মাঝারি দামে সেগুলো কিনতে পারছেন ক্রেতারা।

বিপণিবিতান ছাপিয়ে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে। সব বয়সীদের আনাগোনা দেখা গেছে ঢাকার গুলিস্তান এলাকার ফুটপাতগুলো যেন পরিণত হয়েছে ঈদ বাজারে।

নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসেন উদ্দীন বলেন, পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের সরাসরি উপস্থিতিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আর সাদা পোশাকধারী কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরাও নজর রাখছেন।  এখন পর্যন্ত কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।