Dhaka ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনে গোপন তথ্য পাচারে অভিযুক্ত সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
  • ৯৫ Time View

যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চীনের কাছে গোপন তথ্য বিক্রি এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তির গোপনীতা প্রকাশ করায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই সোমবার হাওয়াইয়ের ফেডারেল আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত এন্ড্রু ইউক চেং মা গতবছর স্বীকার করেছেন যে, তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় থেকে চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অন্তত এক দশক ধরে অর্থের বিনিময়ে তিনি তথ্য পাচার করে আসছেন। সিআইএ কর্মকর্তা চেং মা গোপন এজেন্টের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতেন এবং গত মাস পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে গোপন তথ্য পাচার করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আন্ডারকভার এজেন্টের কাছে চেং মা স্বীকার করেছেন, তিনি বেইজিংয়ের পক্ষে কাজ করতে পেরে সন্তুষ্ট এবং কোভিড-১৯ মহামারি শেষ হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।

জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট বলেছে, চেং মাকে ১৪ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় এবং সোমবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

হংকংয়ে জন্ম নেয়া চেং মা (৬৭) মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সিআইএ’র উচ্চ পদে কাজ করেন। তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় রয়েছেন, তিনিও এই কাজে জড়িত। তার বয়স ৮৫ বছর, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় তাকে এই অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত একই সংস্থায় কাজ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, এই দু’জন অন্তত ২০০১ সালের শুরুর দিক থেকে বেইজিং মিনিস্টারি অব স্টেট সিকিউরিটির এজেন্টের (এমএসএস) কাছে তথ্য সরবরাহ করে আসছিলেন। এফবিআই তদন্তকারীরা ২০০১ সালের মার্চে হংকংয়ে এমএসএস এজেন্টের সঙ্গে বৈঠকের অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড পেয়েছে। তবে কিভাবে পেয়েছে তা জানায়নি।

ওই বৈঠকে তারা সিআইএ’র যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করে। এ জন্য তারা ৫০ হাজার ডলার গ্রহণ করে। মার্কিন গোয়েন্দাদের এসব গোপন তথ্য পেয়ে ২০১০ সালে চীন তাদের দেশের অভ্যন্তরে মার্কিন গোয়েন্দা চক্র ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়।

এর আগে গত নভেম্বরে ১৯৯৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিআইএ কাজ করা জেরি চুন সিং লিকে চীনের কাছে গোপন তথ্য বিক্রির দায়ে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল মার্কিন আদালত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

চীনে গোপন তথ্য পাচারে অভিযুক্ত সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা

Update Time : ১০:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ’র সাবেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চীনের কাছে গোপন তথ্য বিক্রি এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তির গোপনীতা প্রকাশ করায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই সোমবার হাওয়াইয়ের ফেডারেল আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত এন্ড্রু ইউক চেং মা গতবছর স্বীকার করেছেন যে, তিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থায় থেকে চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অন্তত এক দশক ধরে অর্থের বিনিময়ে তিনি তথ্য পাচার করে আসছেন। সিআইএ কর্মকর্তা চেং মা গোপন এজেন্টের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতেন এবং গত মাস পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে গোপন তথ্য পাচার করেছেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আন্ডারকভার এজেন্টের কাছে চেং মা স্বীকার করেছেন, তিনি বেইজিংয়ের পক্ষে কাজ করতে পেরে সন্তুষ্ট এবং কোভিড-১৯ মহামারি শেষ হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলবেন।

জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট বলেছে, চেং মাকে ১৪ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় এবং সোমবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

হংকংয়ে জন্ম নেয়া চেং মা (৬৭) মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং ১৯৮২ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সিআইএ’র উচ্চ পদে কাজ করেন। তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় রয়েছেন, তিনিও এই কাজে জড়িত। তার বয়স ৮৫ বছর, অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় তাকে এই অভিযোগ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তি ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত একই সংস্থায় কাজ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, এই দু’জন অন্তত ২০০১ সালের শুরুর দিক থেকে বেইজিং মিনিস্টারি অব স্টেট সিকিউরিটির এজেন্টের (এমএসএস) কাছে তথ্য সরবরাহ করে আসছিলেন। এফবিআই তদন্তকারীরা ২০০১ সালের মার্চে হংকংয়ে এমএসএস এজেন্টের সঙ্গে বৈঠকের অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড পেয়েছে। তবে কিভাবে পেয়েছে তা জানায়নি।

ওই বৈঠকে তারা সিআইএ’র যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করে। এ জন্য তারা ৫০ হাজার ডলার গ্রহণ করে। মার্কিন গোয়েন্দাদের এসব গোপন তথ্য পেয়ে ২০১০ সালে চীন তাদের দেশের অভ্যন্তরে মার্কিন গোয়েন্দা চক্র ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম হয়।

এর আগে গত নভেম্বরে ১৯৯৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিআইএ কাজ করা জেরি চুন সিং লিকে চীনের কাছে গোপন তথ্য বিক্রির দায়ে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল মার্কিন আদালত।