Dhaka ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিলমারীতে ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা (জিআর) পায়নি ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি পরিবার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • ১৪১ Time View

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরকারী ভাবে আসে সহায়তা বিতরন হয় সাথে লুটপাটেরও চলে মহাউৎসব। অনিয়ম আর লুটপাটের উৎসবে সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয় হাজারো অসহায় দারিদ্র, দুঃস্থ, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধি পরিবারগুলো।

সেই সাথে ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) সুবিধা থেকে বাদ পড়লো ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি পরিবার মহর, ফরিদা, মৌসুমীসহ দারিদ্র, দুঃস্থসহ শতশত অসহায় পরিবার। জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি মহর উদ্দিন। স্ত্রী মালেকা কিছুটা সুস্থ্য থাকলেও পরিবারের সকলেই প্রতিবন্ধি। প্রতিবন্ধি মহর আলী বয়সের ভাবে নুয়ে পড়লেও স্ত্রী সন্তানসহ সারাদিন ভিক্ষা করেন যা পান তাই দিয়ে দিন পাড় করেন, এভাবেই চলে তার সংসার। ভিক্ষা করলে খাবার জোটে, না করলে উপোসে কাটতে হয়। স্বপরিবারে প্রতিবন্ধি এর উপর সকলে ভিক্ষাবৃত্তির করেই জীবন ধারন করে এরপরেও সরকারের দেয়া সদ্য ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) থেকে বঞ্চিত হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। হাজার হাজার পরিবারের জন্য আসা অনুদান তাহলে কে পাচ্ছে মন্তব্য করে অনেকে বলেন কারা পাচ্ছে এসব সুবিধা নাকি বিতরনের নামে চলে লুটপাট। শুধু মহর আলী নয় বানুকিশামত এলাকার প্রতিবন্ধি মৌসুমী, পাত্রখাতা এলাকায় অন্যের জায়গায় বাস করেন প্রতিবন্ধি ফরিদাসহ অনেকের ভাগ্যে জোটেনি ভিজিএফ কিংবা মানবিক সহায়তা (জিআর) বরাদ্দের টাকা। খোজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলায় এবারে ২৫ হাজার ১৬২ পরিবারকে পরিবার প্রতি ভিজিএফ এর ৪৫০ টাকা ও ৩হাজার ৭৫০ পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) এর পরিবার প্রতি ৪শত টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়নে খোজ নিয়ে জানা গেছে কতিপয় সংশ্লিষ্টরা তালিকায় অনিয়ম করে নিজেদেরও পকেট ভারি করতে লুটপাটে নেমে পড়েছিলেন ফলে শতশত পরিবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নাম প্রকাশে বেশ কিছু সুবিধাভুগিরা জানান, টাকা তুলে ভাগও দেয়া লেগেছে। বেশকিছু সচেতন মহল মন্তব্য করে বলেন, যা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এই উপজেলার দারিদ্র ও দুঃস্থ মানুষ তো দুরের কথা কেউ বাদ পড়ার কথা নয়, প্রতিটি ওয়ার্ডের তালিকা ধরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়াও দাবি জানান তারা। কথা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান বলেন, শুধু মহর, ফরিদা বা মৌসুমী কেন বরাদ্দ অনুযায়ী তো কোন অসহায় দুঃস্থ পরিবার বাদ পড়ার কথা নয়, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

চিলমারীতে ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা (জিআর) পায়নি ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি পরিবার

Update Time : ০৯:৫৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরকারী ভাবে আসে সহায়তা বিতরন হয় সাথে লুটপাটেরও চলে মহাউৎসব। অনিয়ম আর লুটপাটের উৎসবে সহায়তা থেকে বঞ্চিত হয় হাজারো অসহায় দারিদ্র, দুঃস্থ, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধি পরিবারগুলো।

সেই সাথে ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) সুবিধা থেকে বাদ পড়লো ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি পরিবার মহর, ফরিদা, মৌসুমীসহ দারিদ্র, দুঃস্থসহ শতশত অসহায় পরিবার। জানা গেছে, চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের গাবেরতল এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধি মহর উদ্দিন। স্ত্রী মালেকা কিছুটা সুস্থ্য থাকলেও পরিবারের সকলেই প্রতিবন্ধি। প্রতিবন্ধি মহর আলী বয়সের ভাবে নুয়ে পড়লেও স্ত্রী সন্তানসহ সারাদিন ভিক্ষা করেন যা পান তাই দিয়ে দিন পাড় করেন, এভাবেই চলে তার সংসার। ভিক্ষা করলে খাবার জোটে, না করলে উপোসে কাটতে হয়। স্বপরিবারে প্রতিবন্ধি এর উপর সকলে ভিক্ষাবৃত্তির করেই জীবন ধারন করে এরপরেও সরকারের দেয়া সদ্য ভিজিএফ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) থেকে বঞ্চিত হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। হাজার হাজার পরিবারের জন্য আসা অনুদান তাহলে কে পাচ্ছে মন্তব্য করে অনেকে বলেন কারা পাচ্ছে এসব সুবিধা নাকি বিতরনের নামে চলে লুটপাট। শুধু মহর আলী নয় বানুকিশামত এলাকার প্রতিবন্ধি মৌসুমী, পাত্রখাতা এলাকায় অন্যের জায়গায় বাস করেন প্রতিবন্ধি ফরিদাসহ অনেকের ভাগ্যে জোটেনি ভিজিএফ কিংবা মানবিক সহায়তা (জিআর) বরাদ্দের টাকা। খোজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলায় এবারে ২৫ হাজার ১৬২ পরিবারকে পরিবার প্রতি ভিজিএফ এর ৪৫০ টাকা ও ৩হাজার ৭৫০ পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় (জিআর) এর পরিবার প্রতি ৪শত টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়নে খোজ নিয়ে জানা গেছে কতিপয় সংশ্লিষ্টরা তালিকায় অনিয়ম করে নিজেদেরও পকেট ভারি করতে লুটপাটে নেমে পড়েছিলেন ফলে শতশত পরিবার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নাম প্রকাশে বেশ কিছু সুবিধাভুগিরা জানান, টাকা তুলে ভাগও দেয়া লেগেছে। বেশকিছু সচেতন মহল মন্তব্য করে বলেন, যা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এই উপজেলার দারিদ্র ও দুঃস্থ মানুষ তো দুরের কথা কেউ বাদ পড়ার কথা নয়, প্রতিটি ওয়ার্ডের তালিকা ধরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়াও দাবি জানান তারা। কথা হলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ কোহিনুর রহমান বলেন, শুধু মহর, ফরিদা বা মৌসুমী কেন বরাদ্দ অনুযায়ী তো কোন অসহায় দুঃস্থ পরিবার বাদ পড়ার কথা নয়, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।