Dhaka ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
বাংলাদেশি হলে গ্রহণ করা হবে, ভারতের পুশইন ইস্যুতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা আপাতত গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: উপদেষ্টা দেশের প্রধান অর্থনৈতিক উদ্বেগ মূল্যস্ফীতি তিউনিশিয়া থেকে ১৫৬ কোটি ব্যয়ে ২৫ হাজার টন সার কিনবে সরকার অনলাইনে রিটার্ন ১৬ লাখ ছাড়িয়েছে উপদেষ্টাদের বিদেশ সফরের বিল সংক্রান্ত ইস্যুতে নতুন নির্দেশনা পাক-ভারত সংঘাত : সীমান্তের জেলাগুলোতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ ভাঙা হবে কমলাপুর স্টেশন, হবে ‘মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ সশস্ত্র বাহিনীকে পাল্টা জবাব দেওয়ার অনুমতি দিলো পাকিস্তান ‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় আর বাকি সবকিছু মায়ের জন্য’

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫৮ Time View

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই বৃষ্টি আরও কয়েকদিন চলতে পারে বলে জানা গেছে।

এছাড়া উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শেষ সময়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের কারণে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের উত্তর পশ্চিম অংশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, দেশের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলোতে রেকর্ড বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, ভাসানচরে শনিবার ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা ও বরিশালে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। আর রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই ভারী বৃষ্টি শহরে জলাবদ্ধতা, গ্রামে ফসলের ক্ষতি এবং নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যা নিয়ে আসতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

বাংলাদেশি হলে গ্রহণ করা হবে, ভারতের পুশইন ইস্যুতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, বৃষ্টি থাকবে আরও কয়েকদিন

Update Time : ০৫:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর ২০২০

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই বৃষ্টি আরও কয়েকদিন চলতে পারে বলে জানা গেছে।

এছাড়া উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শেষ সময়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের কারণে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের উত্তর পশ্চিম অংশ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অন্যদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে, দেশের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলোতে রেকর্ড বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে সন্দ্বীপ, হাতিয়া, ভাসানচরে শনিবার ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোর মধ্যে খুলনা ও বরিশালে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। আর রাজধানীসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ১০০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এই ভারী বৃষ্টি শহরে জলাবদ্ধতা, গ্রামে ফসলের ক্ষতি এবং নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যা নিয়ে আসতে পারে।