Dhaka ০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

কোরবানি ঈদে নতুন নোট, ক্রেতাদের সাড়া নেই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • ১৬৩ Time View

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: রোজা ও কোরবানি দুই ঈদে নতুন নোটের ব্যাপক চাহিদা বাড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকও ঈদের আগে নতুন নোট প্রকাশ করে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে নতুন নোটের চাহিদা আগের মতো নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বটতলা ও গুলিস্তান মোড়ের নতুন নোটের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে ফুটপাতে টেবিলের উপর বিভিন্ন মূল্যমানের নতুন নোট সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। কিন্তু ক্রেতাদের সাড়া নেই। হাতেগোনা কয়েকজন খরিদ্দারের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আজিবুর রহমান নতুন নোট বিনিময় করতে এসেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বটতলায়। তিনি বলেন, বিগত সময়ে ৫০ হাজার টাকার নতুন নোট নিয়েছি। এবার নিয়েছি মাত্র ৩০ হাজার। কারণ, এ বছর বাসার বাইরে খুব বেশি যাওয়া হবে না। তাই নতুন নোট কম নিয়েছি। আজিবুর রহমান আরও বলেন, চাহিদা কম থাকায় এবার বিনিময় মূল্যও কমে গেছে। ১০ টাকার ১০০টি নোটের একটি বান্ডিল কিনেছি ১ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে। গত বছ ১০ টাকা মূল্যমানের নোটের একটি বান্ডিলের দাম ছিল ১ হাজার ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বটতলার নতুন নোট বিক্রেতা রাশিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার নতুন নোটের চাহিদা কম। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ বাইরে বের হতে চায় না। এ কারণে নতুন টাকার চাহিদাও কমে গেছে। কোরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা কিছুটা হলেও রোজার ঈদের আগে বলা যায় একদমই বন্ধ ছিল।

গুলিস্তান মোড় থেকে নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ২০০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল ২০ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। তবে ৫০ ও ১০০ টাকার নোটের বান্ডিলের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তিনি বলেন, বিগত সময় নোটের দোকানে ভিড় থাকলেও এবার বিক্রেতারা খরিদ্দারদের ডেকে নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কয়েকটি সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা থেকে ঈদের আগে নতুন নোট বিনিময় করা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নতুন নোট বিনিময় বন্ধ রয়েছে। তবে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নতুন টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বের করে বিক্রি করা হচ্ছে গুলিস্তানের মোড় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বটতলায়।

গুলিস্তান মোড়ে স্থায়ীভাবে নতুন নোটের দোকান বসলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সের রাস্তার পাশে নতুন নোটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে মাঝে মধ্যে পুলিশ এসে ধাওয়া দিয়ে উঠিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পরে আবার বিক্রি হচ্ছে নতুন নোট। এভাবেই চলছে বেচাকেনা।

বিক্রেতারা জানান, চাহিদার শীর্ষে থাকা ২ ও ৫ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ করা হয় না। তারা বলেন, ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকলেও আশান‍ুরূপ বিক্রি হচ্ছে না নতুন টাকা।

গুলিস্তান মোড় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাহিদা কমে যাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার বিনিময় মূল্য কমানো হয়েছে। আগে ১০ টাকার ১০০টি নোটের একটি বান্ডিল ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল ২ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার ১০ থেকে ১০ হাজার ১২০ টাকায়।

এদিকে ঈদ উপলক্ষে ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নতুন টাকা দেওয়া হলেও সেখানে ৫শ’ ও ১ হাজার টাকার নোট দেওয়া হয়। তবে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ১০ থেকে ১০০ টাকার নোটের। বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ছাড়াও নতুন নোটের চাহিদা মেটান বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বটতলা ও গুলিস্তানের মোড়ের বিক্রেতারা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

কোরবানি ঈদে নতুন নোট, ক্রেতাদের সাড়া নেই

Update Time : ০৯:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

অনলাইন নিউজ ডেস্ক: রোজা ও কোরবানি দুই ঈদে নতুন নোটের ব্যাপক চাহিদা বাড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংকও ঈদের আগে নতুন নোট প্রকাশ করে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে নতুন নোটের চাহিদা আগের মতো নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বটতলা ও গুলিস্তান মোড়ের নতুন নোটের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে ফুটপাতে টেবিলের উপর বিভিন্ন মূল্যমানের নতুন নোট সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। কিন্তু ক্রেতাদের সাড়া নেই। হাতেগোনা কয়েকজন খরিদ্দারের উপস্থিতি দেখা গেছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আজিবুর রহমান নতুন নোট বিনিময় করতে এসেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বটতলায়। তিনি বলেন, বিগত সময়ে ৫০ হাজার টাকার নতুন নোট নিয়েছি। এবার নিয়েছি মাত্র ৩০ হাজার। কারণ, এ বছর বাসার বাইরে খুব বেশি যাওয়া হবে না। তাই নতুন নোট কম নিয়েছি। আজিবুর রহমান আরও বলেন, চাহিদা কম থাকায় এবার বিনিময় মূল্যও কমে গেছে। ১০ টাকার ১০০টি নোটের একটি বান্ডিল কিনেছি ১ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে। গত বছ ১০ টাকা মূল্যমানের নোটের একটি বান্ডিলের দাম ছিল ১ হাজার ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বটতলার নতুন নোট বিক্রেতা রাশিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার নতুন নোটের চাহিদা কম। করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ বাইরে বের হতে চায় না। এ কারণে নতুন টাকার চাহিদাও কমে গেছে। কোরবানির ঈদের আগে বেচাকেনা কিছুটা হলেও রোজার ঈদের আগে বলা যায় একদমই বন্ধ ছিল।

গুলিস্তান মোড় থেকে নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ২০০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল ২০ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। তবে ৫০ ও ১০০ টাকার নোটের বান্ডিলের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তিনি বলেন, বিগত সময় নোটের দোকানে ভিড় থাকলেও এবার বিক্রেতারা খরিদ্দারদের ডেকে নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকসহ কয়েকটি সরকারি বেসরকারি ব্যাংকের শাখা থেকে ঈদের আগে নতুন নোট বিনিময় করা হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নতুন নোট বিনিময় বন্ধ রয়েছে। তবে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নতুন টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বের করে বিক্রি করা হচ্ছে গুলিস্তানের মোড় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বটতলায়।

গুলিস্তান মোড়ে স্থায়ীভাবে নতুন নোটের দোকান বসলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সের রাস্তার পাশে নতুন নোটের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে মাঝে মধ্যে পুলিশ এসে ধাওয়া দিয়ে উঠিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পরে আবার বিক্রি হচ্ছে নতুন নোট। এভাবেই চলছে বেচাকেনা।

বিক্রেতারা জানান, চাহিদার শীর্ষে থাকা ২ ও ৫ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরবরাহ করা হয় না। তারা বলেন, ঈদের কয়েক দিন বাকি থাকলেও আশান‍ুরূপ বিক্রি হচ্ছে না নতুন টাকা।

গুলিস্তান মোড় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাহিদা কমে যাওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার বিনিময় মূল্য কমানো হয়েছে। আগে ১০ টাকার ১০০টি নোটের একটি বান্ডিল ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও এবার ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল ২ হাজার ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০০ টাকার নোটের ১০০টির একটি বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ১০ হাজার ১০ থেকে ১০ হাজার ১২০ টাকায়।

এদিকে ঈদ উপলক্ষে ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নতুন টাকা দেওয়া হলেও সেখানে ৫শ’ ও ১ হাজার টাকার নোট দেওয়া হয়। তবে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ১০ থেকে ১০০ টাকার নোটের। বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ছাড়াও নতুন নোটের চাহিদা মেটান বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বটতলা ও গুলিস্তানের মোড়ের বিক্রেতারা।