Dhaka ০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭৪ বছরের বৃদ্ধার ঠাঁই এখন ভাঙাচুরা ছাপড়া ঘরে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৫৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১
  • ২৭১ Time View

সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

ছোট বেলায় পল্লী কবি জসীমউদ্দিন এর বিখ্যাত কবিতা আসমানী পড়েছিলাম যার প্রথম ছয় লাইন ছিল…

আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,

রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
সেই কবিতায় রহিমদ্দির ছোট বাড়িতে যেতে বলা হয়েছে আর এখন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা উমরমজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি কৈকুড়ি গ্রামের মৃত মজর উদ্দিনের স্ত্রী আয়শা বেওয়া(৭৪) এর ভাঙাচুরা ছাপরা ঘরের কথা বলতে হচ্ছে। নিজের জায়গা নেই রাস্তার পাশেই রাস্তার জায়গায় ছোট্ট করে একটি ছাপরা ঘর তৈরি করে কোন রকমে রাত্রী যাপন করেন।

ছবিতে যে হতভাগীকে দেখা যাচ্ছে তার নাম আয়শা বেওয়া। স্বামী নেই, সন্তান থাকলেও তারাও নিজেরাই অচল। বয়স ৭৪ ছুঁই ছূঁই। তার নিজস্ব কোনো বাড়ি ভিটা নেই। বৃষ্টিতে হয় নাকাল অবস্থা। টিনের চালে হাজারো ফুঁটা। পানি বন্ধ করার জন্য পলিথিনের প্যাকেট দিয়ে পানি বন্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা। শুধুমাত্র চালের টিন চেয়ে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে সকলের নিকট আবেদন করেছেন।

বৃদ্ধার করুণ দশা দেখে আশেপাশের সকলের দাবি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ লক্ষ অসহায় ভূমিহীন মানুষদের ঘর দিচ্ছেন। তাই সেই সকল লক্ষ লক্ষ অসহায় ভূমিহীন মানুষদের মতো এই অসহায় আয়েশা বেওয়াকে      চলমান মুজিববর্ষে একটি ঘর দিত তাহলে অন্তত  খেয়ে না খেয়ে হলেও নিশ্চিন্তে মাথাগুজার ঠাঁইটুকু হতো।

আয়শা বেওয়া বলেন, পেটের তাগিদে সারাদিন অপরের বাড়িতে পরিশ্রম শেষে ঘরে এসে আরামে ঘুমাবো তাও পারি না। কখন যে ঝড় বাতাসে ঘরটি ভেঙে পড়ে এজন্য রাত জেগে থাকতে হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি করছি আমাকে যেন একটা ঘর করে দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭৪ বছরের বৃদ্ধার ঠাঁই এখন ভাঙাচুরা ছাপড়া ঘরে

Update Time : ১০:৫৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১

সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

ছোট বেলায় পল্লী কবি জসীমউদ্দিন এর বিখ্যাত কবিতা আসমানী পড়েছিলাম যার প্রথম ছয় লাইন ছিল…

আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,

রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
সেই কবিতায় রহিমদ্দির ছোট বাড়িতে যেতে বলা হয়েছে আর এখন কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা উমরমজিদ ইউনিয়নের বালাকান্দি কৈকুড়ি গ্রামের মৃত মজর উদ্দিনের স্ত্রী আয়শা বেওয়া(৭৪) এর ভাঙাচুরা ছাপরা ঘরের কথা বলতে হচ্ছে। নিজের জায়গা নেই রাস্তার পাশেই রাস্তার জায়গায় ছোট্ট করে একটি ছাপরা ঘর তৈরি করে কোন রকমে রাত্রী যাপন করেন।

ছবিতে যে হতভাগীকে দেখা যাচ্ছে তার নাম আয়শা বেওয়া। স্বামী নেই, সন্তান থাকলেও তারাও নিজেরাই অচল। বয়স ৭৪ ছুঁই ছূঁই। তার নিজস্ব কোনো বাড়ি ভিটা নেই। বৃষ্টিতে হয় নাকাল অবস্থা। টিনের চালে হাজারো ফুঁটা। পানি বন্ধ করার জন্য পলিথিনের প্যাকেট দিয়ে পানি বন্ধ করার ব্যর্থ চেষ্টা। শুধুমাত্র চালের টিন চেয়ে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে সকলের নিকট আবেদন করেছেন।

বৃদ্ধার করুণ দশা দেখে আশেপাশের সকলের দাবি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ লক্ষ অসহায় ভূমিহীন মানুষদের ঘর দিচ্ছেন। তাই সেই সকল লক্ষ লক্ষ অসহায় ভূমিহীন মানুষদের মতো এই অসহায় আয়েশা বেওয়াকে      চলমান মুজিববর্ষে একটি ঘর দিত তাহলে অন্তত  খেয়ে না খেয়ে হলেও নিশ্চিন্তে মাথাগুজার ঠাঁইটুকু হতো।

আয়শা বেওয়া বলেন, পেটের তাগিদে সারাদিন অপরের বাড়িতে পরিশ্রম শেষে ঘরে এসে আরামে ঘুমাবো তাও পারি না। কখন যে ঝড় বাতাসে ঘরটি ভেঙে পড়ে এজন্য রাত জেগে থাকতে হয়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুতি করছি আমাকে যেন একটা ঘর করে দেন।