Dhaka ০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পার প্রতিবাদে ফের উত্তাল ফ্রান্স

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০
  • ১৪৪ Time View

সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে উত্তাল ছিল ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। যার রেস এখনও কাটেনি দেশটিতে। এর মাঝেই কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পার প্রতিবাদে ফের উত্তাল হয়েছে দেশটি। 

স্থানীয় সময় শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বিক্ষোভাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকালে বিভিন্ন স্থাপনার আগুন দেয়া হয়।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের রাজপথ আবারও রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহের মতো শনিবারও বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নাগরিকরা। যাতে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের মারমুখী আচরণের জবাবে  যানবাহন, ব্যাংক, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমার জন্য এ আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক, গত বছর আমি পুলিশের সহিংসতার শিকার হই। তখন থেকে পুলিশকে আমি ভীষণ ভয় পাই। দূর থেকে ওদের দেখলেও ভয় লাগে। পুলিশেকে একদম বিশ্বাস করি না আমি।

আরেকজন জানান,  ‘পুলিশের ভিত্তিটাই দুর্বল। ওদের ভালো প্রশিক্ষণ দরকার, নীতি দরকার। পুলিশের সঙ্গে জনসাধারণের বৈষম্য যাতে না থাকে সে ব্যবস্থা করা দরকার।’

সম্প্রতি ফ্রান্সে খসড়া আইনের ২৪ অনুচ্ছেদে পুলিশের চেহারা দেখাতে বারণ করা হয়েছে। এরপর থেকে দেশটির জনগণ বিশেষ যারা পুলিশের নির্যাতনের শিকার তারা অনুচ্ছেদটি বাতিলের দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা দাবি, পুলিশ সদস্যদের চেহারা দেখা না গেলে বা শনাক্ত করা সম্ভব না হলে, পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা আরো বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে এই খসড়া আইনকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পার প্রতিবাদে ফের উত্তাল ফ্রান্স

Update Time : ০১:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২০

সম্প্রতি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে উত্তাল ছিল ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। যার রেস এখনও কাটেনি দেশটিতে। এর মাঝেই কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পার প্রতিবাদে ফের উত্তাল হয়েছে দেশটি। 

স্থানীয় সময় শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বিক্ষোভাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকালে বিভিন্ন স্থাপনার আগুন দেয়া হয়।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের রাজপথ আবারও রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে। কর্মক্ষেত্রে পুলিশের ছবি প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইনের পরিকল্পনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহের মতো শনিবারও বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নাগরিকরা। যাতে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ।

বিক্ষোভের একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের মারমুখী আচরণের জবাবে  যানবাহন, ব্যাংক, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন তারা। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমার জন্য এ আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক, গত বছর আমি পুলিশের সহিংসতার শিকার হই। তখন থেকে পুলিশকে আমি ভীষণ ভয় পাই। দূর থেকে ওদের দেখলেও ভয় লাগে। পুলিশেকে একদম বিশ্বাস করি না আমি।

আরেকজন জানান,  ‘পুলিশের ভিত্তিটাই দুর্বল। ওদের ভালো প্রশিক্ষণ দরকার, নীতি দরকার। পুলিশের সঙ্গে জনসাধারণের বৈষম্য যাতে না থাকে সে ব্যবস্থা করা দরকার।’

সম্প্রতি ফ্রান্সে খসড়া আইনের ২৪ অনুচ্ছেদে পুলিশের চেহারা দেখাতে বারণ করা হয়েছে। এরপর থেকে দেশটির জনগণ বিশেষ যারা পুলিশের নির্যাতনের শিকার তারা অনুচ্ছেদটি বাতিলের দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা দাবি, পুলিশ সদস্যদের চেহারা দেখা না গেলে বা শনাক্ত করা সম্ভব না হলে, পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা আরো বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে এই খসড়া আইনকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।