Dhaka ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় সরকার যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
  • ১৩৯ Time View

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় সরকার যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা এখন থেকেই সচেতন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এই ধাক্কা (করোনার সেকেন্ড ওয়েভ) আমাদের দেশেও আসতে শুরু করেছে। আমরা এখন থেকেই সচেতন। হয়তো গতবার (করোনা আক্রমণের শুরুতে) হঠাৎ করে আসাতে অনেক কাজ আমরা করতে পারিনি। এবার আমরা আরো বেশি প্রস্তুতি নিয়েছি।’

তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং বাইরে মাস্ক ব্যবহারের জন্য জনগণের প্রতি তাঁর আহবান ও পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ একাদশ জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীজুড়ে মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। এখন আবার সেকেন্ড ওয়েভ এবং ব্যাপকভাবে সেটা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায়।

তিনি বলেন, যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে বা যেটা নিয়ে রিসার্স চলছে, আমরা আগাম বুকিং দিয়েছি। যাতে সেটা চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমরা আনতে পারি। সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাজেই সেই দিক থেকে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে বেশি লোকজনের সমাগম সেখানে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরবেন, সেটাই আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং গরম পানি খাওয়া, একটু উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গার্গেল করা, সব সময় হাত ধুয়ে একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অর্থাৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখার নিয়মাবলি সবাই যেন ভালো ভাবে মেনে চলেন।’

তিনি বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহম্মদ কাদেরের ভাষণে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, ‘বাচ্চাদেরতো আমরা মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারিনা।’

তিনি বলেন, আমেরিকায় একটা পর্যায়ে স্কুল খুলে দিয়ে পরে তারা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ইউরোপে তথা ইংল্যান্ডেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তার কারণ সেখানে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বেড়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, যখনই করোনার প্রকোপ কমে গেল আমরাও একটা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম স্কুল খুলে দেয়ার। আমি ও শিক্ষামন্ত্রী আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু তারপরে দেখলাম আবার ইউরোপে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েরা, শিক্ষকরা বা বাচ্চাদের নিয়ে তাঁদের অভিভাবকরা স্কুলে যাবেন। সেখানে এই ঝুঁকিটা আমরা ছেলে-মেয়েদের জন্য কেন নেব?

স্কুলে না যেতে পারায় বাচ্চাদের কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আগে একান্নবর্তী পরিবার ছিল সবাই একসঙ্গে চলতো। এখন সেই সুযোগটা কম। সেজন্য বাচ্চাদের খুবই কষ্ট, এতে কোন সন্দেহ নাই। তারপরও তাঁদেরতো মৃত্যুর ঝুঁকিতে আমরা ঠেলে দিতে পারিনা। সেটাও আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।’

– বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় সরকার যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে

Update Time : ০৬:০১:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

করোনার সেকেন্ড ওয়েভ থেকে দেশবাসীকে রক্ষায় সরকার যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা এখন থেকেই সচেতন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এই ধাক্কা (করোনার সেকেন্ড ওয়েভ) আমাদের দেশেও আসতে শুরু করেছে। আমরা এখন থেকেই সচেতন। হয়তো গতবার (করোনা আক্রমণের শুরুতে) হঠাৎ করে আসাতে অনেক কাজ আমরা করতে পারিনি। এবার আমরা আরো বেশি প্রস্তুতি নিয়েছি।’

তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং বাইরে মাস্ক ব্যবহারের জন্য জনগণের প্রতি তাঁর আহবান ও পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শেখ হাসিনা আজ একাদশ জাতীয় সংসদের দশম (মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ) অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীজুড়ে মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। এখন আবার সেকেন্ড ওয়েভ এবং ব্যাপকভাবে সেটা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায়।

তিনি বলেন, যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে বা যেটা নিয়ে রিসার্স চলছে, আমরা আগাম বুকিং দিয়েছি। যাতে সেটা চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমরা আনতে পারি। সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। কাজেই সেই দিক থেকে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেখানে বেশি লোকজনের সমাগম সেখানে যাওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরবেন, সেটাই আমি সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং গরম পানি খাওয়া, একটু উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গার্গেল করা, সব সময় হাত ধুয়ে একটু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা অর্থাৎ স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখার নিয়মাবলি সবাই যেন ভালো ভাবে মেনে চলেন।’

তিনি বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহম্মদ কাদেরের ভাষণে বিদ্যালয় খুলে দেয়ার প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, ‘বাচ্চাদেরতো আমরা মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারিনা।’

তিনি বলেন, আমেরিকায় একটা পর্যায়ে স্কুল খুলে দিয়ে পরে তারা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ইউরোপে তথা ইংল্যান্ডেও এমন ঘটনা ঘটেছে। তার কারণ সেখানে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বেড়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, যখনই করোনার প্রকোপ কমে গেল আমরাও একটা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম স্কুল খুলে দেয়ার। আমি ও শিক্ষামন্ত্রী আলোচনা করেছিলাম। কিন্তু তারপরে দেখলাম আবার ইউরোপে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েরা, শিক্ষকরা বা বাচ্চাদের নিয়ে তাঁদের অভিভাবকরা স্কুলে যাবেন। সেখানে এই ঝুঁকিটা আমরা ছেলে-মেয়েদের জন্য কেন নেব?

স্কুলে না যেতে পারায় বাচ্চাদের কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আগে একান্নবর্তী পরিবার ছিল সবাই একসঙ্গে চলতো। এখন সেই সুযোগটা কম। সেজন্য বাচ্চাদের খুবই কষ্ট, এতে কোন সন্দেহ নাই। তারপরও তাঁদেরতো মৃত্যুর ঝুঁকিতে আমরা ঠেলে দিতে পারিনা। সেটাও আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।’

– বাসস