Dhaka ০৪:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এপ্রিল ফুলের করুণ ইতিহাস

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:০৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
  • ৯৫ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল, মুসলিম সভ্যতা ও
জ্ঞান বিজ্ঞানের লীলাভুমি স্পেনের রাজধানী গ্রানাডায় রাজা ফার্ডিল্যান্ড ও রাণী ইসাবেলার
নেতৃত্বে বিশাল খৃস্ট বাহিনী স্পেনের চারদিক ঘেরাও করে মুসলমানদের উপর আক্রমণ চালায়. সুদীর্ঘ আটশ বছরের গৌরবগাথা মুসলিম শাসনে পতন ঘটাতে, প্রতারক ফার্ডিল্যান্ড ঘোষণা দেয় যারা অস্ত্র ত্যাগ করে মসজিদে আশ্রয় নিবে তাদেরকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেয়া হবে।

* অবরুদ্ধ সরলপ্রান মুসলমানরা জীবন
রক্ষার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ,লক্ষ লক্ষ মুসলমান আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা আর নিস্পাপ শিশুরা পবিত্র মসজিদে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে প্রতারক খৃস্টান বাহিনী মসজিদের বাইরে তালা লাগিয়ে মুসলমানদেরকে মসজিদের ভেতর আটকে
ফেলে। এরপর হিংস্র খৃস্টান সেনারা সেই মসজিদগুলোর চারদিকে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে মুহুর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মুসলিম নারী পুরুষ ও শিশু আর্তচিৎকার করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় মসজিদের ভেতর।

* এ সময় নারী পুরুষ ও শিশুদের করুণ
আর্তনাদ ও বীভৎস চিৎকারে গ্রানাডার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল, তখন রাজা ফার্ডিল্যান্ড রাণী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল,  “Oh Muslim! How fool you are.” অর্থাৎ “হায় মুসলমান তোমরা কতই না বোকা”। সেদিনটি ছিল এপ্রিলের ১ তারিখ।

সেই থেকে খৃস্টানরা প্রতি বছরে ১লা
এপ্রিল অত্যন্ত আড়ম্বর ভাবে পালন করে
আসছে এপ্রিল ফুল অর্থাৎ এপ্রিলের
বোকা উৎসব।

* অথচ আমরা মুসলমানরা সেই করুণ ইতিহাস ভুলে পাশ্চাত্য দেশগুলোর অনুকরণে, সেই করুণ দিনটিকে হাসির দিবস হিসেবে পালন করি।
তাই আসুন মুসলমানরা আমরা আমাদের
ইতিহাসকে স্মরণ করে এপ্রিল ফুল পালন
করা থেকে বিরত থাকি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

এপ্রিল ফুলের করুণ ইতিহাস

Update Time : ০১:০৮:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১৪৯২ সালের ১ এপ্রিল, মুসলিম সভ্যতা ও
জ্ঞান বিজ্ঞানের লীলাভুমি স্পেনের রাজধানী গ্রানাডায় রাজা ফার্ডিল্যান্ড ও রাণী ইসাবেলার
নেতৃত্বে বিশাল খৃস্ট বাহিনী স্পেনের চারদিক ঘেরাও করে মুসলমানদের উপর আক্রমণ চালায়. সুদীর্ঘ আটশ বছরের গৌরবগাথা মুসলিম শাসনে পতন ঘটাতে, প্রতারক ফার্ডিল্যান্ড ঘোষণা দেয় যারা অস্ত্র ত্যাগ করে মসজিদে আশ্রয় নিবে তাদেরকে সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেয়া হবে।

* অবরুদ্ধ সরলপ্রান মুসলমানরা জীবন
রক্ষার প্রতিশ্রুতি পেয়ে ,লক্ষ লক্ষ মুসলমান আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা আর নিস্পাপ শিশুরা পবিত্র মসজিদে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে প্রতারক খৃস্টান বাহিনী মসজিদের বাইরে তালা লাগিয়ে মুসলমানদেরকে মসজিদের ভেতর আটকে
ফেলে। এরপর হিংস্র খৃস্টান সেনারা সেই মসজিদগুলোর চারদিকে আগুন ধরিয়ে দেয়। ফলে মুহুর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মুসলিম নারী পুরুষ ও শিশু আর্তচিৎকার করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় মসজিদের ভেতর।

* এ সময় নারী পুরুষ ও শিশুদের করুণ
আর্তনাদ ও বীভৎস চিৎকারে গ্রানাডার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠেছিল, তখন রাজা ফার্ডিল্যান্ড রাণী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল,  “Oh Muslim! How fool you are.” অর্থাৎ “হায় মুসলমান তোমরা কতই না বোকা”। সেদিনটি ছিল এপ্রিলের ১ তারিখ।

সেই থেকে খৃস্টানরা প্রতি বছরে ১লা
এপ্রিল অত্যন্ত আড়ম্বর ভাবে পালন করে
আসছে এপ্রিল ফুল অর্থাৎ এপ্রিলের
বোকা উৎসব।

* অথচ আমরা মুসলমানরা সেই করুণ ইতিহাস ভুলে পাশ্চাত্য দেশগুলোর অনুকরণে, সেই করুণ দিনটিকে হাসির দিবস হিসেবে পালন করি।
তাই আসুন মুসলমানরা আমরা আমাদের
ইতিহাসকে স্মরণ করে এপ্রিল ফুল পালন
করা থেকে বিরত থাকি।