Dhaka ১১:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সৌদিতে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা দুই মাস বাড়ালো ইসি সংস্কার না করে কোনো নির্বাচনেই ভালো ফল পাওয়া যাবে না : কমিশন প্রধান ঢাকায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস, বাড়বে গরমের অনুভূতি জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় টেকসই কর্মসূচি বাড়ানো হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা রাজনৈতিক পর্যায়ে সার্কের অগ্রগতি হয়নি : নেপালের রাষ্ট্রদূত শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৯১ রানেই অলআউট টাইগাররা প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে যাচ্ছেন সোমবার

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৩৯ Time View

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। জহুর আহদেম চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। শুধু তাই নয় এই জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে উঠে এসেছে তামিম ইকবালের দল। সেই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে সুপার লিগে ১০০ পয়েন্টের কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি ) শুরুতে ব্যাট করে লিটনের সেঞ্চুরি ও মুশফিকের নব্বই ছুঁইছুঁই ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৬ রানে। জবাবে ২১৮ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

৩০৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান। প্রথম ৪ ওভারের মধ্যেই সফরকারীরা ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। আফিফ হোসেনের সরাসরি থ্রোয়ে বিদায় নেন ওপেনার রিয়াজ আহমেদ (১)। এরপর শরিফুলের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহীদি (৫)। এবার দশম ওভারে সাকিব আল হাসানের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন চারে নামা আজমতুল্লাহ ওমরজাই (৯)।

দলীয় ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় আফগানরা। সেখান থেকেই নজিবুল্লাহ ও রহমতের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দুজনের জুটিতে আসে ৯০ বলে ৮৯ রান। এর মধ্যে রহমত ফিফটি তুলে নেন ৬৯ বলে। তবে পরের ওভারেই তাসকিনের বল রহমতের (৫২) স্ট্যাম্পের বেল ভেঙে দেয়। ওই ওভারেই সিরিজে টানা ফিফটি তুলে নেন নজিবুল্লাহ। ৫৭ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৩ ওভার পরে সেই তাসকিনের বলেই মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬১ বলে ৫৪ রান করেন নজিবুল্লাহ।  এরপর আঘাত হানেন সাকিব। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন রহমতউল্লাহ গুরবাজ (৭)।

১৫১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আফগানিস্তানের শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ নবি। রশিদ খানকে নিয়ে কিছুদূর এগিয়েও গিয়েছিলেন আফগান অলরাউন্ডার। কিন্তু বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই তাকে আফিফের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। নবির ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩২ রান। এরপর ৪১তম ওভারে মোস্তাফিজের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন রশিদ খান। কিন্তু তৃতীয় বলেই রশিদকে (২৯) ফুল কাটারে বোল্ড করে ফেরান মোস্তাফিজ। ৪৫তম ওভারে মুজিবকে (৮) বিদায় করেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে ফারুকিকে ফিরিয়ে আফগান ইনিংস গুঁটিয়ে দেন আফিফ।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ফজল হক ফারুকির বলে এলবিডব্লিওর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি। তার আগে ২৪ বলে ১২ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। তামিমের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমে সাকিব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ষষ্ঠদশ ওভারে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ২০ রান সংগ্রহ করে বিদায় নেন তিনি।

এরপর ব্যাট করতে নেমে লিটনকে সঙ্গ দেন মুশফিক। দুজনের ব্যাটে রানবন্যা বয়ে যায়। ৮ চারে ৬৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন আর মুশফিক ফিফটির দেখা পান ৬০ বলে। ফিফটির দেখা পাওয়ার লিটনের ব্যাট আরও চওড়া হতে থাকে। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে একবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটার পরে সেঞ্চুরি তুলে নিতে খুব বেশি দেরি করেননি। ১০৭ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

লিটনের পর ব্যক্তিগত ৬৯ রানে আফগান উইকেটরক্ষক স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করায় জীবন পান মুশফিকও। কিন্তু লিটন সেঞ্চুরি পেলেও মুশফিক পাননি। তবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩ হাজারি ক্লাবে পা রেখেছেন তিনি। তার আগে আছেন শুধু তামিম (১৪১৭৫ রান)।

৪৭তম ওভারে আফগান পেসার ফরিদ আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২৬ বলে ১৩৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলা ডানহাতি ওপেনার লিটন দাস। ইনিংসটি খেলার পথে ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। পরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা মুশফিকও। ডানহাতি এই ব্যাটার ৯৩ বলে ৯ চারে ৮৬ রান করেছেন। তাদের জুটি থেমেছে ২০২ রানে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় ২০০ ছাড়ানো জুটি এটি।  শেষদিকে ৫ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন প্রথম ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেন।  বল হাতে আফগানিস্তানের ফরিদ ২টি এবং ফারুকি ও রশিদ খান ১টি করে উইকেট নেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

মা-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা

Update Time : ০২:১২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

চট্টগ্রামে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। জহুর আহদেম চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে আফগানিস্তানকে ৮৮ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। শুধু তাই নয় এই জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে উঠে এসেছে তামিম ইকবালের দল। সেই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে সুপার লিগে ১০০ পয়েন্টের কীর্তি গড়ল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৫শে ফেব্রুয়ারি ) শুরুতে ব্যাট করে লিটনের সেঞ্চুরি ও মুশফিকের নব্বই ছুঁইছুঁই ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩০৬ রানে। জবাবে ২১৮ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

৩০৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে আফগানিস্তান। প্রথম ৪ ওভারের মধ্যেই সফরকারীরা ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে। আফিফ হোসেনের সরাসরি থ্রোয়ে বিদায় নেন ওপেনার রিয়াজ আহমেদ (১)। এরপর শরিফুলের বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আফগান অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শহীদি (৫)। এবার দশম ওভারে সাকিব আল হাসানের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন চারে নামা আজমতুল্লাহ ওমরজাই (৯)।

দলীয় ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারায় আফগানরা। সেখান থেকেই নজিবুল্লাহ ও রহমতের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দুজনের জুটিতে আসে ৯০ বলে ৮৯ রান। এর মধ্যে রহমত ফিফটি তুলে নেন ৬৯ বলে। তবে পরের ওভারেই তাসকিনের বল রহমতের (৫২) স্ট্যাম্পের বেল ভেঙে দেয়। ওই ওভারেই সিরিজে টানা ফিফটি তুলে নেন নজিবুল্লাহ। ৫৭ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৩ ওভার পরে সেই তাসকিনের বলেই মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬১ বলে ৫৪ রান করেন নজিবুল্লাহ।  এরপর আঘাত হানেন সাকিব। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন রহমতউল্লাহ গুরবাজ (৭)।

১৫১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আফগানিস্তানের শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ নবি। রশিদ খানকে নিয়ে কিছুদূর এগিয়েও গিয়েছিলেন আফগান অলরাউন্ডার। কিন্তু বিপদজনক হয়ে ওঠার আগেই তাকে আফিফের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। নবির ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩২ রান। এরপর ৪১তম ওভারে মোস্তাফিজের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন রশিদ খান। কিন্তু তৃতীয় বলেই রশিদকে (২৯) ফুল কাটারে বোল্ড করে ফেরান মোস্তাফিজ। ৪৫তম ওভারে মুজিবকে (৮) বিদায় করেন মাহমুদউল্লাহ। পরের ওভারে ফারুকিকে ফিরিয়ে আফগান ইনিংস গুঁটিয়ে দেন আফিফ।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ফজল হক ফারুকির বলে এলবিডব্লিওর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন তিনি। তার আগে ২৪ বলে ১২ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। তামিমের বিদায়ের পর ব্যাট করতে নেমে সাকিব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ষষ্ঠদশ ওভারে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ২০ রান সংগ্রহ করে বিদায় নেন তিনি।

এরপর ব্যাট করতে নেমে লিটনকে সঙ্গ দেন মুশফিক। দুজনের ব্যাটে রানবন্যা বয়ে যায়। ৮ চারে ৬৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন লিটন আর মুশফিক ফিফটির দেখা পান ৬০ বলে। ফিফটির দেখা পাওয়ার লিটনের ব্যাট আরও চওড়া হতে থাকে। ব্যক্তিগত ৮৭ রানে একবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটার পরে সেঞ্চুরি তুলে নিতে খুব বেশি দেরি করেননি। ১০৭ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

লিটনের পর ব্যক্তিগত ৬৯ রানে আফগান উইকেটরক্ষক স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ মিস করায় জীবন পান মুশফিকও। কিন্তু লিটন সেঞ্চুরি পেলেও মুশফিক পাননি। তবে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১৩ হাজারি ক্লাবে পা রেখেছেন তিনি। তার আগে আছেন শুধু তামিম (১৪১৭৫ রান)।

৪৭তম ওভারে আফগান পেসার ফরিদ আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২৬ বলে ১৩৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলা ডানহাতি ওপেনার লিটন দাস। ইনিংসটি খেলার পথে ১৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। পরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা মুশফিকও। ডানহাতি এই ব্যাটার ৯৩ বলে ৯ চারে ৮৬ রান করেছেন। তাদের জুটি থেমেছে ২০২ রানে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মাত্র তৃতীয় ২০০ ছাড়ানো জুটি এটি।  শেষদিকে ৫ রানে মাহমুদউল্লাহ এবং ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন প্রথম ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেন।  বল হাতে আফগানিস্তানের ফরিদ ২টি এবং ফারুকি ও রশিদ খান ১টি করে উইকেট নেন।