Dhaka ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক ঘণ্টার ইমিগ্রেশন শেষে বিমানবন্দর ছাড়লেন আবদুল হামিদ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • 33

এক ঘণ্টার ইমিগ্রেশন শেষে বিমানবন্দর ছাড়লেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) সাবেক রাষ্ট্রপতি ঢাকায় আসেন। অবতরণের পর ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি হুইল চেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। রাত পৌনে ৩টার সময় তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়। পরে রাত ৩টায় বিমানবন্দর ত্যাগ করেন আবদুল হামিদ।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তার (আবদুল হামিদ) ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দেশে অবতরণের পর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আবদুল হামিদ ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। রাত পৌনে ৩টার সময় তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় এবং ৩টায় তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এর আগে ৮ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে। তার দেশ ছাড়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছিল।

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেদিন। তারা হলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফ, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম, এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মান।

২০১৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের অসুস্থতা ও মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তার রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ করেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন মো. সাহাবুদ্দিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

এক ঘণ্টার ইমিগ্রেশন শেষে বিমানবন্দর ছাড়লেন আবদুল হামিদ

Update Time : ০২:১৮:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

এক ঘণ্টার ইমিগ্রেশন শেষে বিমানবন্দর ছাড়লেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি-৩৩৯) সাবেক রাষ্ট্রপতি ঢাকায় আসেন। অবতরণের পর ১টা ৪৫ মিনিটে তিনি হুইল চেয়ারে করে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। রাত পৌনে ৩টার সময় তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়। পরে রাত ৩টায় বিমানবন্দর ত্যাগ করেন আবদুল হামিদ।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তার (আবদুল হামিদ) ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দেশে অবতরণের পর রাত ১টা ৪৫ মিনিটে আবদুল হামিদ ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যান। রাত পৌনে ৩টার সময় তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয় এবং ৩টায় তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এর আগে ৮ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের টিজি ৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন আবদুল হামিদ।

আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নামও রয়েছে। তার দেশ ছাড়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছিল।

আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সেদিন। তারা হলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহসিনা আরিফ, আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের সদর থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আজহারুল ইসলাম, এসবির এটিএসআই মো. সোলায়মান।

২০১৩ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের অসুস্থতা ও মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল তার রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ করেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন মো. সাহাবুদ্দিন।