Dhaka ০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইতিহাস কখনো মোছা যায় না: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২১ Time View

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা এ সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখনো মোছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কী করবে সেটি তাদের ব্যাপার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এসময় গার্ড অব অনার শেষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়। এ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই এই সরকারই সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের ওপর কোনো কিছু আরোপ করা যায় না। ইতিহাস ইতিহাসই। এই সরকারের শপথগ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি চিরকাল শ্রদ্ধা ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সবার স্মরণ রাখা দরকার।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে আদালতে মামলা থাকার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। এ বিষয়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০’র ওপর আদালতে মামলা রয়েছে। এ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে।

মুজিবনগর আম্রকাননে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্যগুলো ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো স্থাপনা ঘুরে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হবে। ভুল কিছু এখানে আরোপিত করা হবে না, সত্যিকার ইতিহাস মোচনও করা হবে না।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবসটি উপলক্ষে ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটের সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে মুজিবনগর আম্রকাননে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া হয়। মুজিবনগর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এই কর্মসূচি পালন করে।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা লে. কর্নেল ফারুক ই আযম বীর প্রতীক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার হুসাইন শওকত, মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মেহেরপুর পুলিশের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গার্ড অফ অনার প্রদানকারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা দুজন আনসার সদস্য সিরাজ উদ্দিন ও আজিমউদ্দিনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

ইতিহাস কখনো মোছা যায় না: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা

Update Time : ০৪:৩৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, মুজিবনগর সরকারের নাম পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা এ সরকারের নেই। কারণ ইতিহাস কখনো মোছা যায় না। ইতিহাসকে ইতিহাসের জায়গায় রাখতে হয়। পরবর্তী নির্বাচিত সরকার এসে কী করবে সেটি তাদের ব্যাপার।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। এসময় গার্ড অব অনার শেষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, মুজিবনগর সরকার প্রবাসী কিংবা অস্থায়ী সরকার নয়। এ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তাই এই সরকারই সাংবিধানিক সরকার। ইতিহাসের ওপর কোনো কিছু আরোপ করা যায় না। ইতিহাস ইতিহাসই। এই সরকারের শপথগ্রহণ একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি চিরকাল শ্রদ্ধা ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সবার স্মরণ রাখা দরকার।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিষয়ে তিনি বলেন, সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তৈরি করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে আদালতে মামলা থাকার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে সরকার। এ বিষয়ে প্রায় ২ হাজার ৭০০’র ওপর আদালতে মামলা রয়েছে। এ মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পরই মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে।

মুজিবনগর আম্রকাননে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ভাস্কর্যগুলো ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো স্থাপনা ঘুরে দেখা হচ্ছে। দ্রুত ভাস্কর্যগুলো স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ঐতিহাসিক বস্তুনিষ্ঠতার ওপর ভিত্তি করে স্থাপনাগুলো নির্মাণ করা হবে। ভুল কিছু এখানে আরোপিত করা হবে না, সত্যিকার ইতিহাস মোচনও করা হবে না।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দিবসটি উপলক্ষে ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটের সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে মুজিবনগর আম্রকাননে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়া হয়। মুজিবনগর দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এই কর্মসূচি পালন করে।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা লে. কর্নেল ফারুক ই আযম বীর প্রতীক।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইসরাত জাহান চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার হুসাইন শওকত, মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মাকসুদা আক্তার খানম। এছাড়া প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মেহেরপুর পুলিশের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এছাড়া ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গার্ড অফ অনার প্রদানকারীদের মধ্যে বেঁচে থাকা দুজন আনসার সদস্য সিরাজ উদ্দিন ও আজিমউদ্দিনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।