Dhaka ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
  • ১১৯ Time View

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ৯ আগস্ট রেল মহাপরিচালক এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশন) মাঝে বৈঠকে সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ট্রেনগুলো চালু করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক মো. খাইরুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

চালু হতে যাওয়া ট্রেনগুলো হলো- মহানগর গোধূলী/প্রভাতী, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস (খুলনা-চাঁপাই), চাঁপাই-রহনপুর লোকাল, মহানন্দা এক্সপ্রেস (রহনপুর-খুলনা), পদ্মরাগ কমিউটার, নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, সাগরিকা কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার এবং বেতনা এক্সপ্রেস।

ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- যাত্রার দিনসহ ১০ দিন আগে আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কোচের ধারণক্ষমতার ৫০% টিকিট বিক্রি অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে মোবাইল অ্যাপ এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয় করা যাবে। তবে অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত কিংবা রিফান্ড করা যাবে না। সেইসঙ্গে সকল আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি সম্পূণরূপে বন্ধ থাকবে।

করোনাকালের মাঝে বিমানবন্দর স্টেশনসহ বেশ কয়েকটি স্টেশনে স্টপেজ বন্ধ ছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। বিমানবন্দর, জয়দেবপুর এবং নরসিংদী স্টেশনে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সকল আন্তঃনগর, কমিউটার এবং মেইল ট্রেন দাঁড়াবে। ভৈরব বাজারে শুধুমাত্র কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি কার্যকর হবে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এসব স্টেশনের কোটায় টিকিট দেওয়া হবে। আর ৫ তারিখ থেকে রাত্রিকালীন যাত্রায় উচ্চশ্রেণিতে বিছানা-কম্বল দেওয়া হবে। এবং সে অনুরূপ চার্জ যুক্ত হবে।

এসবের পাশাপাশি শুরু হতে যাচ্ছে ট্রেনে খাবার বিক্রি। ৫ সেপ্টেম্বর থেকেই ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস-বিস্কিট) সরবরাহ করা যাবে। এইচওআর, রেলওয়ে পাস, মিলিটারি ওয়ারেন্টের টিকিট আগের মতোই ইস্যু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য ২% টিকিট ট্রেন ছাড়ার ৩৬ ঘণ্টা আগে সংরক্ষণ করা যাবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তের কর্তৃক গণপরিবহনের জন্য জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ মেনে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Raj Kalam

Popular Post

আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে

Update Time : ০৬:০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত ৯ আগস্ট রেল মহাপরিচালক এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশন) মাঝে বৈঠকে সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ট্রেনগুলো চালু করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক মো. খাইরুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

চালু হতে যাওয়া ট্রেনগুলো হলো- মহানগর গোধূলী/প্রভাতী, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, তূর্ণা এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ধুমকেতু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস (খুলনা-চাঁপাই), চাঁপাই-রহনপুর লোকাল, মহানন্দা এক্সপ্রেস (রহনপুর-খুলনা), পদ্মরাগ কমিউটার, নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, সাগরিকা কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার এবং বেতনা এক্সপ্রেস।

ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- যাত্রার দিনসহ ১০ দিন আগে আন্তনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ইস্যু করা হবে। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কোচের ধারণক্ষমতার ৫০% টিকিট বিক্রি অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে মোবাইল অ্যাপ এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয় করা যাবে। তবে অনলাইনে ক্রয়কৃত টিকিট ফেরত কিংবা রিফান্ড করা যাবে না। সেইসঙ্গে সকল আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি সম্পূণরূপে বন্ধ থাকবে।

করোনাকালের মাঝে বিমানবন্দর স্টেশনসহ বেশ কয়েকটি স্টেশনে স্টপেজ বন্ধ ছিল। এবার সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। বিমানবন্দর, জয়দেবপুর এবং নরসিংদী স্টেশনে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সকল আন্তঃনগর, কমিউটার এবং মেইল ট্রেন দাঁড়াবে। ভৈরব বাজারে শুধুমাত্র কালনী এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি কার্যকর হবে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এসব স্টেশনের কোটায় টিকিট দেওয়া হবে। আর ৫ তারিখ থেকে রাত্রিকালীন যাত্রায় উচ্চশ্রেণিতে বিছানা-কম্বল দেওয়া হবে। এবং সে অনুরূপ চার্জ যুক্ত হবে।

এসবের পাশাপাশি শুরু হতে যাচ্ছে ট্রেনে খাবার বিক্রি। ৫ সেপ্টেম্বর থেকেই ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা, কফি, বোতলজাত পানি, প্যাকেটজাত খাবার (চিপস-বিস্কিট) সরবরাহ করা যাবে। এইচওআর, রেলওয়ে পাস, মিলিটারি ওয়ারেন্টের টিকিট আগের মতোই ইস্যু করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রেলওয়ে কর্মচারীদের জন্য ২% টিকিট ট্রেন ছাড়ার ৩৬ ঘণ্টা আগে সংরক্ষণ করা যাবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তের কর্তৃক গণপরিবহনের জন্য জারিকৃত নির্দেশনাসমূহ মেনে ট্রেন পরিচালনা করতে হবে।